প্রশ্ন: ব্ল্যাকহোল কী?
তাহসান তূর্য্য, মডেল একাডেমি
উত্তর: ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর হলো কোনো ভারী নক্ষত্রের অন্তিম দশা। কোনো ভারী নক্ষত্র—যেমন সূর্যের ২০ গুণ ভারী বা তারও বেশি—সব জ্বালানি পুড়িয়ে শেষ করে ফেললে, সেটি তখন কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হয়। যেকোনো নক্ষত্রের ভেতরের সাম্য বজায় রাখে দুটি বল—একটি অন্তর্মুখী মাধ্যাকর্ষণ বল, অন্যটি বহির্মুখী বিকিরণ চাপ। সব জ্বালানি যখন শেষ হয়ে যায়, তখন কেন্দ্রের নিউক্লিয়ার চুল্লিটি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বিকিরণ চাপ কমে আসে। এসব নক্ষত্রের ভর যেহেতু অনেক বেশি, তাই অত্যন্ত দ্রুত মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে তারাটি চুপসে যায়। ফলে ভীষণ একটা বিস্ফোরণ হয়, যাকে আমরা সুপারনোভা বলি। এই সুপারনোভা বিস্ফোরণের অবশেষ হিসেবে একটি ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয়। অনেকগুলো ব্ল্যাকহোলের সমন্বয়ে কিংবা অতিভারী গ্যাসমেঘ চুপসেও অতিভারী কৃষ্ণগহ্বর বা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল হতে পারে। সাধারণত গ্যালাক্সির কেন্দ্রে এ ধরনের অতিভারী ব্ল্যাকহোল থাকে। এদের ভর সূর্যের ভরের কয়েক লাখ গুণ হতে পারে। আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রেও একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল আছে।
উত্তর দিয়েছেন: ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)