আজই আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ—সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে দেখা যেতে পারে ডেভিল কমেট। হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকেই দেখা যাবে। ধূলোবালু কম—এমন উঁচু স্থান থেকে তুলনামূলক ভালো দেখা যাবে। টেলিস্কোপ থাকলে তো কথাই নেই।
যাঁরা রাজশাহীর আশপাশে থাকেন, তাঁরা চাইলে পদ্মা পাড়ের টি-বাঁধের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল অ্যাসেসিয়েশনের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন ধূমকেতু দেখার আয়োজনে। টেলিস্কোপের সাহায্যে তাঁরা বিনামূল্যে ধূমকেতু দেখার এ আয়োজন করছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ৭১ বছর পর ফিরছে ডেভিল কমেট, রাজশাহীতে বিশেষ আয়োজন।
কয়েক মাস ধরেই এ ধূমকেতু নিয়ে বেশ আলোড়ন চলছে। কারণ এটি ৭১ বছর পরপর দেখা দেয়। ধূমকেতুটি আজ ২১ এপ্রিল, রোববার বাংলাদেশের আকাশেও দেখা যাবে। হয়তো জীবদ্দশায় মাত্র একবারই এর দেখা পাবেন। এবং সেটা আজই। কারণ ধূমকেতুটি আবার দেখা যাবে ২০৯৫ সালে।
আজ পৃথিবী থেকে এটি সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে। তবে চাইলে এর পরেও কেউ হয়তো টেলিস্কোপের সাহায্যে ধূমকেতুটি দেখতে পারবেন। কিন্তু ২ জুনের পরে আর পৃথিবী থেকে এটি দেখা যাবে না।
একে অনেকে ‘ডেভিল কমেট’ বা ‘শিংওয়ালা ধূমকেতু’ বলছে। কারণ ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রিচার্ড মাইলসের মতে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ধূমকেতুতে একটা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ফলে এর ভেতরের ধূলিকণাগুলো প্রায় সাত হাজার গুণ বেশি ছড়িয়ে পরে। তখন দেখতে হয়েছিল অনেকটা ঘোড়ার খুরের মতো। এ জন্য নাম হয়েছে ‘শিংওয়ালা ধূমকেতু’ বা ডেভিল কমেট (শয়তানের ধূমকেতু)। তবে এর আসল নাম ১২পি/পন্স-ব্রুকস।
এই ধূমকেতুটির ইতিহাস বেশ পুরোনো। চীনা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথম ১৩৮৫ সালে এ ধূমকেতু দেখতে পান। এরপর ১৪৫৭ সালে দেখেছিলেন এক ইতালীয় জ্যোতির্বিদ। তবে নামকরণ করা হয়েছে আরও পরে। দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নামানুসারে এটির নাম রাখা হয়। ১৮১২ সালে ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিন-লুই পন্স-এর নামানুসারে ধূমকেতুর প্রথম অংশ এবং ১৮৮৩ সালে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম ব্রুকসের নামানুসারে এর দ্বিতীয় অংশের নামকরণ করা হয়েছে।