সম্প্রতি চার অপেশাদার নভোচারী মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন। চলতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার তাঁরা মহাকাশ ভ্রমণে যান। এর মাধ্যমে মহাকাশে বাণিজ্যিক ভ্রমণের এক নতুন দিক উন্মোচিত হলো। এতদিন শুধু পেশাদার নভোচারীরা বিভিন্ন মিশনে মহাকাশে গেছেন। স্পেস স্টেশনের কাজেও গেছেন অনেক নভোচারী। কিন্তু এর কাজ বা মিশন ছাড়া শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যে চার নভোচারীর এ যাত্রা মানবজাতির জন্য এক নতুন মাইলফলক। মানুষের এই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। এই মিশনের নাম ছিল স্পেসএক্স পোলারিস ডন মিশন।
এ যাত্রায় নভোচারী হিসেবে ছিলেন স্পেসএক্সের দুই কর্মকর্তা এবং দুজন ধনী মানুষ। মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বিলিয়নিয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। তিনি এর আগেও ‘ইনস্পিরেশন৪’ মিশনে মহাশূন্যে ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁরা মহাকাশে গিয়ে এক ঘণ্টার বেশি নভোযানের বাইরে ছিলেন। সেখান থেকে দেখেছেন পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য। ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার ক্যাপসুলের বাইরে থেকে পৃথিবী দেখার সেই বিস্ময়কর মুহূর্তগুলো সরাসরি সম্প্রচার করেছিল বিবিসি, রয়টার্স ও আল জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
পেশাদার নভোচারীদের পাশাপাশি যে অপেশাদার নভোচারীরাও মহাকাশে ভ্রমণ করতে পারে, এই মিশন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
নভোচারী আইজ্যাকম্যান যখন স্পেসশিপের ক্যাপসুলের দরজা খুলে ৭৫৭ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালেন, তখন পোলারিস ডন ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। আইজ্যাকম্যানের পরে ক্যাপসুলের বাইরে আসেন স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়ার সারাহ গিলিস। মিশনের অন্য দুই সদস্য হিসেবে ছিলেন মার্কিন এয়ার ফোর্সের কমান্ডার স্কট কিড এবং স্পেসএক্সের আরেক ইঞ্জিনিয়ার আন্না মেনন।
পেশাদার নভোচারীদের পাশাপাশি যে অপেশাদার নভোচারীরাও মহাকাশে ভ্রমণ করতে পারে, এই মিশন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সরকারি মিশনগুলোর পাশাপাশি এখন থেকে হয়তো বাণিজ্যিকভাবে অনেক মিশন আমরা দেখতে পাবো। শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যেও কেউ কেউ যেতে পারেন মহাকাশে। সে জন্য শুধু কোটিপতি হতে হবে। ভবিষ্যতে মানবজাতির জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচন করে দিল স্পেসএক্স।