বিমান কীভাবে ওড়ে?

আকাশে ভাসার স্বপ্নকে বাস্তবে আনতে নানা প্রতিবন্ধকতা পেরোতে হয়েছে মানুষকে। তবু ওড়ার পেছনের বিজ্ঞান আর বাতাসে ভেসে থাকার অ্যারোডায়নামিক্সকে কাজে লাগিয়ে বিমানে সবশেষে চড়েই বসেছে মানুষ। চলুন জেনে নেওয়া যাক পৃথিবীর অভিকর্ষ বলকে উপেক্ষা করে হাওয়ায় ভেসে থাকার পেছনের বিজ্ঞান।

মাত্র এক শ বছর আগে প্রথম হাওয়ার বুকে ভেসেছিল রাইট ব্রাদার্সের বিমান। এখন প্রতিদিন সারা বিশ্বে এক লাখেরও বেশি বিমান ওড়ে আকাশে। এখনকার সবচেয়ে ভারবাহী বিমান সর্বোচ্চ ৬১৯ টন পর্যন্ত মালামাল নিয়ে আকাশে উড়তে পারে। পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে উপেক্ষা করে হাওয়ায় ভেসে থাকতে এই বিমানগুলোকে প্রচুর ঊর্ধ্বমুখী চাপ তৈরি করতে হয়। শক্তিশালী ইঞ্জিন আর অ্যারোডায়নামিকসের সবকিছু ঠিক থাকলে এক দেশ থেকে আরেক দেশের সীমানায় পৌঁছে যায় এই দানবীয় বিমানগুলো।

টারবোফ্যান জেট ইঞ্জিন

ইঞ্জিনের ভেতরে থাকা বিশালকার ফ্যান বাইরের বাতাস ভেতরের দিকে টানে। দহনের অংশে বাতাস প্রবেশের আগেই কিছু বাতাস উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। সেখানে ফুয়েলের সঙ্গে মিলে উত্তপ্ত গ্যাস তৈরি হয়, যা ইঞ্জিনকে আরও বেগবান করে। এর ফলে বিমান আরও সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অবশ্য কম গতিতে ইঞ্জিনের বাইরের দিকেও কিছু বাতাসের প্রবাহ হয়। গতি কম হলেও ইঞ্জিন পরিচালনায় এই বাতাসেরও ভূমিকা আছে।