আর্টস বিপ্লবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

মিডজার্নি ও ডাল-ই—এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দুটোকে নির্দেশ দিলেই তৈরি করে দেয় ছবি। এগুলোর পেছনের কথা, ব্যবহারের নিয়ম ও কপিরাইটসহ নানা দিক...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন কয়েকটি এআই টুলসের কল্যাণে ব্যাপক জনপ্রিয়। যদিও বেশ আগে থেকেই নানাভাবে এআই টুলস নিয়ে অনেকে কাজ করছেন। তবে এখন একটি বড় পার্থক্য এসেছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে সময়ের আলোচিত ওপেন এআইয়ের মালিকানাধীন ‘চ্যাটজিপিটি’ চালু হয়। এর পর এআই টুলসের ব্যবহারকারী বেড়ে গেছে অনেক। এ টুলস নিয়ে অনেকের মধ্যে দারুণ আগ্রহ জন্মেছে। শুরুতে বিনা মূল্যে যে কাউকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এআই টুলস। এখন অন্যান্য নানা কাজের জন্য তৈরি হওয়া এআই টুলসও ধীরে ধীরে অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুরুতে ‘চ্যাটজিপিটি’ ছিল শুধুই একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটবট বা এআই চ্যাটবট। ব্যবহারকারী যা জানতে চান, সেটির লিখিতভাবে উত্তর দিত। আর বর্তমানে চ্যাটজিপিটি ৪ সংস্করণে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের পছন্দমতো ইমেজ বা ছবি দিয়েও নির্দেশ দিতে পারছেন, তৈরি করে নিতে পারছেন ওয়েবসাইট কিংবা ভিডিও গেমসও। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল ব্যবসা বা স্বাস্থ্যসেবার মতো কাজে আটকে নেই, বরং এআই প্রযুক্তিনিয়ন্ত্রিত শিল্পের নতুন যুগ সূচনা করে সৃজনশীল শিল্প তৈরিতে কাজ শুরু করেছে।

আর্টিস্টিক ছবির জন্য মিডজার্নি

২০২২ সালের মার্চে যাত্রা শুরু করে চমকে দেয় ‘মিডজার্নি’ নামের একটি এআই প্রোগ্রাম। ব্যবহারকারীর দেওয়া ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ পড়ে সে অনুযায়ী পছন্দসই ইমেজ বা ছবি তৈরি করে দিতে পারে এটি। মিডজার্নি উদ্ভাবনের ফলে চলচ্চিত্রসহ অন্যান্য সৃজনশীল শিল্পের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদনের নতুন দুয়ার খুলে গেছে। সহজ ভাষায়, এটি একটি ইমেজ জেনারেটর। এতে ব্যবহারকারী যেভাবে বর্ণনা করবেন, সেভাবেই ছবি পাবেন। ব্যবহারকারী যত বিস্তারিত বর্ণনা দেবেন, তত সুন্দর ছবি দেবে মিডজার্নি। ব্যবহারকারী কী ধরনের ছবি চাইছেন, তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী চারটি ছবি তৈরি করে দেয় এই এআই। এর মধ্যে ব্যবহারকারী পছন্দসই ছবি পেলে সেটি বড় আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এ ছাড়া যেসব ছবি তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে ব্যবহারকারীর কোনোটি পছন্দ না হলে ‘রিজেনারেট’ বা নতুন করে তৈরি করার সুযোগ থাকছে। যাত্রা শুরুর পর এটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর সাহায্যে এমনকি জনপ্রিয় ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট–এর ২০২২ সালের জুনের একটি সংখ্যার প্রচ্ছদও তৈরি করা হয়। এ তো গেল বিদেশের কথা। বাংলাদেশেও বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ ‘সায়েন্স বি’ দেশে প্রথমবারের মতো মিডজার্নির মাধ্যমে তৈরি করে পুরো একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। পাওয়া যাবে এ ঠিকানায় (sciencebee.com.bd/ebook-3)।

মিডজার্নি একেবারে সাধারণ ছবির মতো করে ছবি তৈরি করে দেয় না। ব্যবহারকারীর বর্ণনা অনুযায়ী কিছুটা আর্টিস্টিক বা ইলাস্ট্রেটরভিত্তিক ছবি দেয় এটি। টুলসটির প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড হলজ এ বিষয়ে বলেন, ‘মিডজার্নি একটি টেক্সট টু ইমেজভিত্তিক এআই টুলস, যেখানে ব্যবহারকারীর পছন্দসই বর্ণনা মোতাবেক দারুণ ভিজ্যুয়াল ছবি তৈরি করে দেয়।’ মিডজার্নিতে তৈরি সাম্প্রতিক ছবিগুলো দেখতে পারেন midjourney.com/showcase/recent–এ ঠিকানায় গিয়ে। পাশাপাশি নতুনদের জন্য রয়েছে দারুণ সব তথ্য। সেগুলো দেখতে চাইলে চলে যান docs.midjourney.com–এ ঠিকানায়।

ছবি তৈরির জন্য ডাল-ই

‘চ্যাটজিপিটি’র পাশাপাশি ওপেন এআই তৈরি করেছে বর্ণনা অনুযায়ী ছবি তৈরির টুলস ‘ডাল-ই’। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে একটি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে টুলসটির কথা জানায় ওপেন এআই। ‘ডাল-ই’ নামটি অ্যানিমেশন সিনেমা নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওর তৈরি জনপ্রিয় সিনেমা ওয়াল-ই থেকে অনুপ্রাণিত। ওপেন এআই জানিয়েছে, ‘ডাল-ই’ ব্যবহারকারীর বর্ণনা অনুযায়ী চিত্র তৈরি, পণ্যের নকশা এবং ব্যবসার জন্য নতুন ধারণা তৈরি করতে ব্যবহার করা যাবে। পেশাদার শিল্পীদের পাশাপাশি আগ্রহী যে কেউ এ টুলস ব্যবহার করতে পারবেন। এর সহজ ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস দিয়ে যে কেউ সুন্দর সুন্দর ছবি তৈরি করতে পারেবেন। টুলসটির নতুন সংস্করণে যুক্ত হয়েছে দ্রুত ও বাস্তবসম্মত ছবি পাওয়ার সুবিধা, সহজে পণ্যের নকশা করা, ইলাস্ট্রেশন তৈরি, ছবির একাধিক লেয়ার নিজের মতো করে ব্যবহার ইত্যাদি। কাজটি করার জন্য ‘ডাল-ই’ টুলসকে প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ছবির মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।

দুটি টুলসই ইতিমধ্যে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। কীভাবে আরও নিখুঁত বাস্তব ছবি পাওয়া যাবে, সেটি ইতিমধ্যে দুটি টুলসের নতুন সংস্করণে যুক্ত হয়েছে। এ দুটি টুলস ছাড়াও একই ধরনের আরও কিছু টুলসের মধ্যে রয়েছে ১০ সেকেন্ডের কম সময়ে সহজ উপায়ে ছবি পাওয়ার টুলস ‘ইমেজেস এআই’, একেবারে স্ক্যাচ বা শূন্য থেকে বাস্তবসম্মত ছবি তৈরির টুলস ‘স্টেবলকগ’, তৈরিকৃত সিনেমার মালিকানা প্রদান সুবিধাযুক্ত ‘নাইটক্যাফে’, বিভিন্ন পেইন্টিং শৈলীযুক্ত ছবি তৈরির টুলস ‘ডিপড্রিম’ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি জমা ছবি, ফুটেজ, মিউজিক ইত্যাদির জনপ্রিয় জায়গা ‘শাটারস্টক’-এ পাওয়া যাবে ইমেজ তৈরির সুবিধা।

মুঠোফোনে সেলফি তুলছেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। এআইয়ের বানানো কাল্পনিক ছবি

যেভাবে কাজ করে

সময়ের আলোচিত মিডজার্নি চাইলে যে কেউ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য মিডজার্নি ওয়েবসাইটে (midjourney.com) গিয়ে নিচে ‘জয়েন দ্য বেটা’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তবে টুলসটি ব্যবহার করতে চাইলে শুরুতে ডিসকর্ড (discord.com) নামের একটি চ্যাটভিত্তিক অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। ডিসকর্ড চালু করে মিডজার্নিতে গিয়ে ‘জয়েন দ্য বেটা’ অপশনে ক্লিক করলে ব্যবহারকারী ডিসকর্ডে থাকা মিডজার্নি সার্ভারে যুক্ত হয়ে যাবেন। এ সার্ভারে প্রতিনিয়ত অনেকে বিনা মূল্যে নিজের পছন্দসই ছবি তৈরি করছেন। নতুন হিসেবে যে কেউ ‘নিউকামার রুম’ নামের অপশন থেকে গিয়ে প্রথমে অন্য ব্যবহারকারীদের তৈরি করা ছবিগুলো দেখতে পারেন। অন্য ব্যবহারকারীরা কী ধরনের বর্ণনা দিয়ে কী ধরনের ছবি পাচ্ছেন, সেটি দেখলে দারুণ আইডিয়া পাওয়া যায়।

নিজেই ছবি তৈরি করতে প্রথমে লিখতে হবে: /Imagine আর এরপর দিতে হবে বর্ণনা। সাধারণত বর্তমানে ইংরেজিতেই বর্ণনা দিতে হয়। কিছু সময়ের মধ্যে চারটি ছবি তৈরি হবে বর্ণনা অনুসারে। এর মধ্যে ছবির নিচে রয়েছে U2, U3, U4, U5 নামের আইকন। চারটি ছবির মধ্যে ব্যবহারকারীর যেটি পছন্দ, সে অনুযায়ী ক্লিক করলে নির্দিষ্ট ছবিটি বড় আকারে চলে আসবে। এর মধ্যে একটিও পছন্দ না হলে আবার ছবির নিচে ‘রিজেনারেট’ করা যাবে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট পছন্দের ছবিটি আরও নিখুঁত বা কিছু যুক্ত করতে চাইলে সেটিও একাধিকবার রিজেনারেট করার সুযোগ রয়েছে। চাইলে যে কেউ নিজের পছন্দের কোনো ছবি থেকে সে অনুযায়ী ছবি তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে মিডজার্নিতে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। তখন ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত সার্ভারে নিজের পছন্দের সব ছবি তৈরি করে নিতে পারবেন।

একইভাবে ডাল-ই টুলসে ছবি তৈরি করতে প্রথমে ওপেনআই ল্যাবস (labs.openai.com) থেকে একটি অ্যাকাউন্ট করে নিতে হবে। তারপর ডাল-ই টুলসে প্রবেশ করলে ডান পাশে থাকা অ্যাকাউন্টে দেখা যাবে ব্যবহারকারীর জন্য কত ‘ক্রেডিট’ রয়েছে। প্রতিটি ছবি তৈরির হিসাবে ক্রেডিট কমতে থাকবে। এবার সাইটে থাকা বক্সে নিজের পছন্দের ছবির বর্ণনা দিয়ে ‘জেনারেট’ ক্লিক করলে চলে আসবে পছন্দের ছবি। এ বক্সের নিচে রয়েছে নিজের পছন্দসই ছবি আপলোডের সুযোগ, যেখানে ছবি দিয়ে সে অনুযায়ী নতুন ছবি তৈরি করা যায়। কেউ চাইলে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ক্রেডিট কিনতে পারবেন ও নিজের ইচ্ছেমতো ছবি তৈরির কাজ করতে পারবেন। নিজের তৈরি সব ছবি ‘হিস্ট্রি’ অপশনে পেয়ে যাবেন ব্যবহারকারীরা।

এআইকে বলা হয়েছিল পরমাণু দেখতে কেমন, তেমন একটা ছবি আঁকতে। ফলাফল এই ছবি।

ছবি বা আর্টের কপিরাইট কার হবে

এআই দিয়ে যেসব ছবি তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলোর মালিকানা বা কপিরাইট করা হবে, সেটিও এখন বেশ আলোচিত। যদিও এআই দিয়ে তৈরি করা সব ছবি একেবারে নতুন। অর্থাৎ এসব ছবি কোনো সার্চ ইঞ্জিন কিংবা কোনো ওয়েবসাইটে আগে থেকে নেই। তবে ছবি যখন ব্যবহারকারী তৈরি করছেন, তখন তিনি সেটি নানা কাজে ব্যবহার করছেন। তাই কপিরাইটের বিষয়টিও বেশ আলোচনায় এসেছে। মিডজার্নি কপিরাইট বা ট্রেডমার্ক বিষয়ে বলেছে, তাদের তৈরি সব ছবি বা আর্টওয়ার্ক উন্মুক্ত লাইসেন্স ক্রিয়েটিভ কমন্সের আওতায় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এ টুলস ব্যবহার করে তৈরি সব ছবি এ লাইসেন্সের আওতায় থাকবে। এ লাইসেন্সে সাধারণত ছবি যে কেউ কোনো ধরনের কপিরাইট ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন। তবে ওপেন এআইয়ের ডাল-ই জানিয়েছে, তাদের টুলস ব্যবহার করে তৈরি সব ছবির কপিরাইট বা স্বত্ব ওপেন এআইয়ের। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের ব্যক্তিগত উদ্যোগের জন্য কপিরাইট প্রযোজ্য হবে না। সহজ কথায়, এখন পর্যন্ত মিডজার্নি কিংবা ডাল-ই টুলসের মাধ্যমে তৈরি ছবি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো কপিরাইট প্রযোজ্য হবে না। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট অফিস জানিয়েছে, এআই টুলস দিয়ে তৈরি কোনো ছবি কপিরাইটের আওতাধীন নয়, অন্তত এখনো। কারণ, এগুলো মানুষের তৈরি নয়।

এআই এবং ছবি, আর্টসের ভবিষ্যৎ

এআই প্রযুক্তি এখনো রয়েছে গবেষণা পর্যায়ে। ধীরে ধীরে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে নানা ধরনের কাজ নিয়ে গবেষণা করছেন প্রযুক্তি–দুনিয়ার মানুষ। যেকোনো ধরনের প্রশ্ন বা তথ্যপ্রাপ্তির জন্য বর্ণনা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে তথ্য। একইভাবে ছবি কিংবা আর্টস তৈরির কাজটিও এখন সবার হাতের নাগালে চলে এসেছে। এআই নিয়ে তাই অনেকের মনে জেগেছে ভয় বা শঙ্কা। তবে এআই যেহেতু মানুষের তৈরি প্রযুক্তি, তাই সবচেয়ে বড় বিষয় হবে নিজেকে এর সঙ্গে হালনাগাদ করে রাখা। কারণ, সব ধরনের এআই টুলসে যত ভালোভাবে বর্ণনা দিয়ে তথ্য বা ছবি চাওয়া হবে, ততই সেটি ভালো ফলাফল দেবে। তাই এসব টুলস থেকে সেরা ফলাফল পেতে চাইলে ‘কী লিখে সেটি পেতে হবে’ সেটি নিয়ে যত বেশি শেখার চেষ্টা করা যায়, ততই ভালো। হাতে আঁকা ছবি বা পেইন্টিং আর এআই দিয়ে তৈরি করা ছবি বা পেইন্টিং হয়তো ভবিষ্যতে একই রকম হবে। যাঁরা এসব কাজে এআই টুলস ব্যবহার করবেন, তাঁরা আরও বেশি আউটপুট বের করতে পারবেন।

দেশে এখন এআই ব্যবহার করে পুরো একটি ম্যাগাজিন তৈরি হয়েছে। বিদেশেও এআই টুলসের ব্যবহার বাড়ছে ক্রমাগত। মিডজার্নি সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করছে। অনেকে অর্থ খরচ করে ব্যবহারও করছেন। এগুলোর কপিরাইটও তাই, মিডজার্নির তথ্যানুযায়ী, ব্যবহারকারীর মালিকানাধীন থাকছে।

তাই সময়ের সঙ্গে এবং এসব প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনিও তৈরি করে ফেলুন মনের মতো কিছু। আর যাঁরা এখন এসব কাজের সঙ্গে পেশাগতভাবে যুক্ত আছেন, তাঁরা নিজেদের কাজের সঙ্গে এ ধরনের এআই টুলসের ব্যবহার শিখে নিয়ে নিজেকে নিয়ে যান নতুন উচ্চতায়।

লেখক: সাংবাদিক ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষক

সূত্র: মিডজার্নি, ওপেন এআই