মুঠোফোনে কী কী ধাতু থাকে

আমাদের সব সময়ের সঙ্গী মুঠোফোনটিতে প্রায় ৬২ শতাংশ বিভিন্ন রকমের ধাতু পাওয়া যায়। পুরো মুঠোফোনটির ওজনের প্রায় ১৫ শতাংশ থাকে কপার, যা এর ভেতরের যন্ত্রাংশে বিদ্যুৎ চলাচলে বিশেষ সুবিধা করে।

কপারের নমনীয় গুণ আর কম রোধ থাকলেও কপারের (তামা) তুলনায় সোনা প্রায় ৬০০ গুণ বেশি দামি। তবু মরিচা না পড়ার কারণে এটি যেকোনো বৈদ্যুতিক বর্তনীর জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু সমস্যা বাধে এর ঝালাইয়ে। কারণ, সাধারণত কারখানাগুলোতে ঝালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয় টিন-সিলভার ঝালাই পদ্ধতি, যা বেশ কম সময়ে ও কম খরচেই করা যায়। অন্যদিকে সোনার ঝালাই করতে হলে বিশেষ ধরনের ইন্ডিয়াম-টিন ঝালাই পদ্ধতির প্রয়োজন। কিংবা একই সময়ে উচ্চ তাপ ও আল্ট্রাসাউন্ড এনার্জি ব্যবহার করেও সোনা ঝালাই করা সম্ভব। উভয় ক্ষেত্রেই এটি বেশ ব্যয়বহুল।

এ ছাড়া আধুনিক মোবাইলগুলোতে প্রায় ৪০ মিলিগ্রাম রৌপ্য থাকে। এসব মোবাইলের অতি ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যাপাসিটর (তড়িৎ ধারক) তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় ট্যানটালাম ধাতু।

মুঠোফোনের ধাতব মানচিত্র

আসুন, জেনে নিই কেন এত রকমের ধাতু থাকে আমাদের মুঠোফোনগুলোতে।

মুঠোফোনের অ্যানাটমি
ছবি: বিজ্ঞানচিন্তা

কপার

ভেতরের সব যন্ত্রাংশে বিদ্যুত্ সরবরাহ করে কপার বা তামার তৈরি বর্তনী।

ট্যানটালাম

মোবাইলে চার্জ সংরক্ষণের মূল হাতিয়ার ক্যাপাসিটর তৈরিতে ব্যবহূত হয় ট্যানটালাম।

সোনা

গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশে মরিচা প্রতিরোধী সোনার বর্তনী ব্যবহার করা হয়।

লিথিয়াম

মোবাইলের অত্যাধুনিক পাতলা ব্যাটারিগুলোর ধনাত্মক প্রান্ত লিথিয়াম এবং ঋণাত্মক প্রান্ত কার্বন দিয়ে তৈরি।

টাংস্টেন

ভাইব্রেশন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ফোনের স্থিতির ভারসাম্য রক্ষায় ব্যবহৃত হয়।

সূত্র: পপুলার সায়েন্স

*লেখাটি ২০১৭ সালে বিজ্ঞানচিন্তার এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত