কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক অ্যালান টুরিং

অ্যালান ম্যাথিসন টুরিং। তাত্ত্বিক কম্পিউটার প্রকৌশল বা আধুনিক প্রোগ্রামেবল কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক। টুরিং টেস্ট ও টুরিং মেশিনের প্রবর্তক তিনি।

তাঁর বাবা জুলিয়াস টুরিং ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের ভারতীয় কর্মচারী। মা এথেল স্টোনি টুরিং গৃহিণী। বাবা-মা ভারতে থাকাকালীন তিনি মায়ের গর্ভে আসেন। সন্তানকে তাঁরা ইংল্যান্ডে বড় করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য এথেল চলে আসেন ইংল্যান্ডে। ১৯১২ সালের ২৩ জুন, লন্ডনে অ্যালান টুরিংয়ের জন্ম।

টুরিংয়ের তোতলামির একটু সমস্যা ছিল। কিন্তু তিনি ছিলেন পাকা দৌড়বিদ। বিভিন্ন দৌড় প্রতিযোগিতায় রেকর্ডও করেছেন তিনি। সারাদিন ডুবে থাকতেন নিজের জগতে। শিক্ষকরা তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নানাভাবে বিদ্রুপ করত তাঁকে নিয়ে। পড়াশোনায় ভালো ছিলেন, তার ওপর আনমনা, এদিকে আবার পাকা দৌড়বিদ—এগুলোই হয়তো কারণ। এ সময় টুরিংয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় ক্রিস্টোফার মরকমের। দারুণ বন্ধু হয়ে ওঠের দুজনে। কিন্তু ক্রিস্টোফার ছিলেন টুরিংয়ের এক ক্লাস ওপরে। তিনি টুরিংকে গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ১৯৩০ সালে টিউবারকিউলোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ক্রিস্টোফার। এলোমেলো হয়ে যায় টুরিংয়ের মনোজগৎ।

একদিকে তথাকথিত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা, অন্যদিকে নিজের জগতে ব্যস্ত থাকা, দুইয়ে মিলে ১৯৩১ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে বৃত্তির আবেদন করলে, তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কেমব্রিজের কিংস কলেজে গণিত নিয়ে পড়েন টুরিং। ১৯৩৫ সালে সেই কলেজের ফেলো নির্বাচিত হন ‘গাউসিয়ান এরর ফাংশন’ নিয়ে গবেষণার জন্য। বছরখানেক পরে তিনি টুরিং মেশিনের কথা প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবনা ছিল মূলত দুটো জটিল প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্ন দুটো হলো—

১. র‍্যান্ডমভাবে কোনো যন্ত্রকে বেছে নিয়ে পরীক্ষা করে বলতে পারবে, যন্ত্রটি চক্রে আটকা পড়ে গেছে কি না (মানে, হিসেবের কাজ আর এগিয়ে নিতে পারছে না, আটকে গেছে)—এমন কোনো যন্ত্র কি আছে?

২. র‍্যান্ডমভাবে কোনো যন্ত্রকে বেছে নিয়ে পরীক্ষা করে বলতে পারবে, যন্ত্রটিতে যদি কোনো চিহ্ন ইনপুট দেওয়া হয়, তাহলে যন্ত্রটি সেই একই চিহ্ন আউটপুট দিচ্ছে কি না—এমন কোনো যন্ত্র কি আছে?

অতিসরলীকরণ করে বললে, এই দুটো প্রশ্নের উত্তরে টুরিং কম্পিউটারের জন্য নিয়ে আসেন অ্যালগরিদমের ধারণা। প্রোগ্রামেবল যেকোনো কম্পিউটারকে আমরা এখন কোনো কাজের নির্দেশ দিই ‘কোড’ বা ‘প্রোগ্রাম’ লিখে। এই প্রোগ্রাম লেখা হয় মূলত অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে। টুরিং বললেন, কোনো যন্ত্রকে যদি অ্যালগরিদমের নিয়মের ভেতরে বেঁধে ফেলা যায়, তাহলে সেটা সব ধরনের গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারবে।’ এজন্য ১৯৩৬ সালে সম্ভাব্যতা তত্ত্বে তাঁকে স্মিথ পুরষ্কার দেওয়া হয়।

পরের বছর, ১৯৩৭ সালে টুরিং চলে গেলেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। গাণিতিক যুক্তিবিদ্যার ওপর পিএইচডি শেষ করে, ১৯৩৯ সালে এসে যোগ দিলেন ব্লেচলি পার্কে, ব্রিটিশ সরকারের কোড অ্যান্ড সাইফার স্কুলে। ঠিক এ সময় শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। শুরু হয়ে গেল ইতিহাসের নির্মমতম অধ্যায়গুলোর একটি।

তৎকালীন ১৯২৬ সালের ব্লেচলি পার্ক
ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক হামলা করে যাচ্ছে জার্মানরা। ডুবিয়ে দিচ্ছে ব্রিটিশদের জাহাজ। কখন, কোথায় কীভাবে যে হামলা করছে জার্মান নৌ-বাহিনী, কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না। নিজেদের ভেতরে যোগাযোগ করার জন্য তারা ব্যবহার করছে ‘এনিগমা’, এনকোডিং যন্ত্র।

যেকোনো তথ্যকে হাবিজাবি এলোমেলো কিছুতে বদলে দেওয়াকে বলে এনকোডিং। এই এনকোডিং ভেঙ্গে আবার মূল তথ্য ফিরে পাওয়াকে বলে ডিকোড বা ডিসাইফার করা। কোড ভাঙার জন্য ‘কী’ লাগে। ‘কী’ মানে তথ্য, যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মূল তথ্যগুলোকে এনকোড করা হয়েছে। একটা উদাহরণ দিই।

ধরা যাক, আমি দুটো মেসেজ পাঠিয়েছি।

এক, 113.0120.0118.0118.0112.0125। আর দুই, 0114.0119.0120.0125.0131.0112।

এই মেসেজ দুটো দেখে আপনি এমনিতে কিছুই বুঝবেন না। কিন্তু আমি যদি আপনাকে আগে থেকে জানিয়ে রাখি, কাজটা কীভাবে করেছি, তাহলেই আপনি চট করে পুরো বিষয়টা ধরে ফেলতে পারবেন।

এখানে প্রতি মেসেজে ইংরেজি ৬টা করে অক্ষর দিয়েছি। প্রত্যেকটা নতুন অক্ষর বোঝাতে (শব্দের প্রথম অক্ষর ছাড়া) আমরা শুরুতে জিরো (0) দিয়েছি। কিন্তু শব্দের প্রথম অক্ষরের সামনে কোনো জিরো নেই। এছাড়া, প্রতিটা অক্ষরের মাঝে একটা ডট (.) আছে। এটা জানলে আপনি বুঝে যাবেন 113, 0120, 0118—এগুলো একেকটা ইংরেজি অক্ষর। আরও দুটো তথ্য আপনাকে জানতে হবে। এক, আমরা এখানে শুধু বড় হাতের অক্ষর দিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছি। আর দুই, গণনা শুরু করেছি 112 থেকে! (এটা না জানলে আপনি বের করবেন কীভাবে? অনেক বুদ্ধিমান হলে প্যাটার্ন দেখেই ধরে ফেলতে পারবেন, আর না হয় সাহায্য নিতে হবে কম্পিউটারের।)

আমাদের কী-চার্টটা ছিল এরকম—

আমাদের কী-চার্ট
ছবি: সংগৃহীত

হ্যাঁ, ওপরের মেসেজটা ডিসাইফার করলে পাওয়া যাবে BIGGANCHINTA!

আমাদের এই এনক্রিপশন বা এনকোডিংটা খুবই সহজ। কিন্তু জার্মানদের এনিগমা ব্যবহার করে কোনো তথ্য এনক্রিপ্ট করা হলে, সম্ভাব্য সমাধান হতে পারত ১৫৯ মিলিয়ন ভিন্ন ধরনের। এর মধ্যে কোনটি আসল সমাধান, সেটা বোঝার উপায় কী? ১৯৩৮ সালে মারিয়ান রেজেস্কির নেতৃত্বে একদল গণিতবিদ ‘বোম্বা’ নামে একটি যন্ত্র তৈরি করেন, যা এনিগমার এনকোডিং ডিসাইফার করতে পারে, মানে, কী-টা বের করে ফেলতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, এই ‘কী’ বের করে কোনো লাভ হয় না। কারণ, প্রতিদিন রাত ১২টায় জার্মানরা এনিগমা যন্ত্রের কী-চার্ট বদলে ফেলে। মানে, বোম্বা যতক্ষণে এনিগমার ‘কী’ বের করে, ততক্ষণে বদলে যায় সেই ‘কী’, চলে আসে নতুন ‘কী-চার্ট’। রেজেস্কি তাঁর গবেষণার সব তথ্য পাঠিয়ে দেন ব্রিটিশদের। টুরিং তখন ব্লেচলি পার্কে এনিগমার কোড ভাঙার চেষ্টায় ব্যস্ত। রেজেস্কির কাজের ওপর ভিত্তি করে তিনি তৈরি করেন ‘বোম্বা’। এই যন্ত্র অনেক কম সময়ে ভেঙে ফেলতে পারে এনিগমার এনক্রিপশন, বের করে ফেলতে পারে সেদিনের ‘কী’।

বোম্বার এই রেপ্লিকাটি আছে ব্লেচলি পার্কের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব কম্পিউটিং-এ
ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ সরকার এ তথ্য জার্মানদের বুঝতে দিতে চায়নি। সেজন্য অনেকবার নির্দিষ্ট জায়গায়, ব্রিটিশ জাহাজে হামলা হবে জেনেও সেখান থেকে জাহাজ সরিয়ে নেয়নি ব্রিটিশ নৌ-বাহিনী। এতে অনেক মানুষ মারা যান, টুরিং এটা ঠিক মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু সরকারের নির্দেশ ছিল। তিনি নিজেকে শক্ত করেন। বুঝতে পারেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য, মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে বাঁচানোর জন্য এটা মেনে নিতে হবে। যদিও, ব্রিটিশ সরকারের এই কৌশলের অনেক সমালোচনা হয়েছে। যাই হোক, পরবর্তীতে এনিগমা কোড ভেঙে পাওয়া গোপন তথ্য ব্যবহার করে জার্মানদের ওপর চড়াও হয় মিত্রবাহিনী। আটলান্টিক মহাসাগরের যুদ্ধে প্রবলভাবে হেরে যায় নাৎসি বাহিনী। সে সময়কার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মতে, টুরিংয়ের জন্য যুদ্ধ অন্তত দুই বছর কমে গিয়েছিল। ঐতিহাসিকরা বলেন, টুরিং অন্তত ১৪ মিলিয়ন প্রাণ বাঁচিয়েছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবদানের জন্য টুরিংকে ১৯৪৬ সালে ‘অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ উপাধি দেওয়া হয়।

যুদ্ধশেষে, ১৯৪৫ সালে টুরিং লন্ডনের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবে যোগ দেন। সেখানে তিনি স্বয়ংক্রিয় গণনাকারী কম্পিউটার বানানোর কাজে হাত দেন। গণনার জন্য ব্যবহার করেন অ্যালগরিদম। পরবর্তীতে, ১৯৪৮ সালে তিনি একজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের সঙ্গে দাবা খেলতে পারবে, এরকম একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখেন। সে সময় এরকম প্রোগ্রাম চালানোর মতো কম্পিউটারও ছিল না! তবু টুরিং জোর করে এই প্রোগ্রাম চালিয়ে দেখেছিলেন, একেকটা চাল দিতেই আধাঘন্টা লেগে যায়। মানে, চাল দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ হিসেব করতে হয়, সে হিসেব করতে গিয়ে তখনকার কম্পিউটারে একেবারে যায় যায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিল! টুরিং তাঁর সময় থেকে কতটা এগিয়ে ছিলেন, এখান থেকে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়।

১৯৫০ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে টুরিং একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, কম্পিউটিং মেশিনারি এন্ড ইন্টেলিজেন্স। এখানেই উঠে আসে টুরিং টেস্টের কথা। এই টুরিং টেস্ট আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মূল ভিত্তি। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে টুরিং টেস্টের কথা অনেকবার এসেছে। আমরা যে ক্যাপচা দিই, ব্রাউজারে ‘আই এম নট আ রোবট’ সিলেক্ট করতে হয়, সেটাও আসলে এক ধরনের টুরিং টেস্ট।

টুরিং টেস্ট
ছবি: সংগৃহীত

টুরিং টেস্ট বোঝার জন্য একটা সহজ উদাহরণের কথা ভাবা যেতে পারে। ক, খ দুটো ভিন্ন ঘরে বসে আছে, কেউ কাউকে দেখতে পারছে না। গ একজন পরীক্ষক, যে টুরিং টেস্ট করছে। তার কাছে দুটো কাগজ আছে। কাগজ দুটোতে একই প্রশ্ন, হুবহু লেখা। দুটো ঘরে সে দুটো কাগজ ঢুকিয়ে দিলে, ক, খ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিল। এখন, এই উত্তর পড়ে গ-কে বলতে পারতে হবে, ক ও খ—দুজনেই মানুষ কি না, নাকি এর একটা যন্ত্র। ধরে নিই, আমাদের এই উদাহরণে ক একটি যন্ত্র, কিন্তু গ ক-এর উত্তর পড়ে সেটা ধরতে পারল না। তারমানে, ক যন্ত্রটি টুরিং টেস্টে পাস করে গেছে। মানুষকে সে সফলভাবে অনুকরণ করতে পেরেছে। এমনটা যদি হয়, তাহলে বুঝতে হবে যন্ত্রটি নিজে নিজে চিন্তা করতে পারছে আসলেই। টুরিং যখন এই টেস্টের কথা বলেন, পুরো ব্যাপারটা শুনিয়েছিল কল্পগল্পের মতো। এখন আমরা জানি, এটা কল্পগল্প নয়। নিখাদ বাস্তব। ক্যাপচা তো আমরা প্রতিদিন-ই ব্যবহার করি। গুগল অ্যাসিসটেন্ট বা সিরিও আছে আমাদের হাতের মুঠোয়। হয়তো আমাদের জীবদ্দশাতেই আমরা এরকম যন্ত্রের দেখাও পেয়ে যাব, যারা সত্যিকার অর্থেই লেটার মার্কস পেয়ে পাশ করে যাবে টুরিং টেস্টে।

দ্য ইমিটেশন গেম চলচ্চিত্রে অ্যালান টুরিংয়ের চরিত্রে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ
ছবি: সংগৃহীত

একটা মজার তথ্য দিই। অ্যালান টুরিং নিজে এই টেস্টকে বলেছেন ‘ইমিটিশন গেম’, মানে ‘অনুকরণের খেলা’। অনেকেই নিশ্চয়ই জানেন, টুরিংকে নিয়ে একটি মুভি বানানো হয়েছে, দি ইমিটেশন গেম। এই চলচ্চিত্রে টুরিং-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। চমৎকার এই মুভির এরকম নামকরণের কারণ আর কিছু না, টুরিং টেস্ট!

‘টুরিং মেশিন’ নিয়ে কাজের জন্য ১৯৫১ সালে অ্যালান টুরিং রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। এর ঠিক কিছুদিন পরে টুরিং-এর পুরো জগতটা একদম এলোমেলো হয়ে যায়।

১৯৫৪ সালের ৮ জুন তাঁর গৃহকর্মী বাসায় এসে দেখেন, টুরিং মারা গেছেন। লাশের পাশে একটা আপেল পাওয়া গিয়েছিল। ময়নাতদন্ত থেকে জানা যায়, পটাশিয়াম সায়ানাইডের বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হয়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

আজকের এই কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতের পেছনে টুরিংয়ের অবদান যে অনেক, তা বলা বাহুল্য। এ জন্য তাঁকে আধুনিক প্রোগ্রামেবল কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। তাঁর নামে দেওয়া হয় ‘দ্য টুরিং অ্যাওয়ার্ড’। এই পুরস্কারটিকে বলা হয় কম্পিউটার প্রযুক্তি জগতের নোবেল পুরস্কার।

দুঃখের বিষয় হলো, টুরিং যখন মারা যান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাঁর অবদানের কথা কেউ জানতে পারেনি। জানতে পারেনি কম্পিউটার প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের কথা। তবে এখন সে কথা সবাই জানে। যতদিন পৃথিবী টিকে থাকবে, তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাসে।

লেখক: শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

সূত্র : উইকিপিডিয়া, ব্রিটানিকা