ঘরে বসে কিনুন বিজ্ঞানচিন্তা

করোনায় আবার বিপর্যস্ত জনজীবন। বাধ্য হয়েই আবার কঠোর লকডাউনে দেশ। ঘরে বসে কী করবেন? যাঁরা বিজ্ঞান পড়েন, বিজ্ঞানকে ভালোবাসেন, তাঁরা নিশ্চয়ই অব্যাহত রাখবেন বিজ্ঞানপাঠ। আসলে ঘরে বসে বোরিং হওয়ার চেয়ে বই-ম্যাগাজিন পড়া অনেক ভালো। তাতে অন্তত ডিপ্রেশনে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই। আপনার প্রিয় বিজ্ঞানচিন্তার প্রকাশনা এই কঠোর লকডাউনেও থেমে যায়নি, তাই বরাবারের মতো বিজ্ঞানচিন্তাকে এই লকডাউনেও সঙ্গী করতে নিশ্চয়ই আপত্তি থাকার কথা নয়। করোনাকালে করোনা-কাহিনি অনেকেই হয়তো পড়তে চাইবেন। জানতে চাইবেন, এখন এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিৎ। করোনার ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে অনেক আগেই। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। কিন্তু গবেষণা না হলেও সাধারণ খোঁজ-খবর থেকেই জানা যাচ্ছে, যাঁরা টিকা নিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের শরীরে করোনাজনিত প্রভাব কম। হাসপাতালেও যেতে হচ্ছে এঁদের কম। সুতরাং টিকা নেওয়া জরুরি। কেন জরুরি, তা নিয়ে বিজ্ঞানচিন্তার চলতি সংখ্যায় থাকছে বিশেষ প্রতিবেদন। লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও চিকিৎসক সৌমিত্র চক্রবর্তী।

তবে বিজ্ঞানচিন্তার চলতি সংখ্যার মলাট কাহিনি কোয়ান্টাম মেকানিকস। এর আগেও কোয়ান্টামবিষয়ক মলাট কাহিনি করা হয়েছে। তবে এবার তাত্ত্বিক দিকের চেয়ে কোয়ান্টাম মেকানিকসের প্রায়োগিক দিক নিয়ে বেশি আলোচনা করা হয়েছে। আধুনিক সভ্যতা দাঁড়িয়েই আছে ইলেকট্রনিকসের ওপর। আর সেই ইলেকট্রনিকস ডিভাইসগুলো মেনে চলে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার আইন। কীভাবে? তা জানতে পারবেন এই সংখ্যায়। লিখেছেন বুয়েটের তড়িৎকৌশল ও ইলেকট্রনিকস বিভাগের অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। কোয়ান্টাম বলবিদ্যা কম্পিউটারের জগৎটাকেও আমূলে বদলে দিতে যাচ্ছে। এ বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ লেখা থাকছে। এছাড়া জীববিজ্ঞান, চিকিৎসা ও রসায়নে কীভাবে কোয়ান্টাম মেকানিকস ভূমিকা রাখছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বেশকিছু লেখা থাকছে। জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসায় কোয়ান্টাম বলবিদ্যার ভূমিকা নিয়ে লিখেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের আরএমআইটির গবেষক প্রদীপ দেব। থাকছে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার নায়কদের গল্প। পল ডিরাক আর অ্যান্টিম্যাটার নিয়েও একটা বিস্তারিত লেখা রয়েছে। বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুও কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন জ্যোতিঃপদার্থবিদ দীপেন ভট্টাচার্য।

মলাট কাহিনির বাইরেও গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো লেখা থাকছে। বরাবরের মতোই আহসান হাবীব লিখেছেন বিজ্ঞান রম্য। বিশ্বখ্যাত কল্পবিজ্ঞান লেখক ফিলিপ কে ডিকের দ্য আইজ হ্যাভ ইট গল্পটি রূপান্তর করেছেন হাসান খুরশীদ রুমি। কার্যকারণ লিখেছেন ও পাঠককের প্রশ্নের দিয়েছেন বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম। থিওরি অব এভরিথিং কী, এ নিয়ে বিজ্ঞানপ্রেমীদের মনে কৌতুহল অনেক। সেই কৌতুহলের অনেকখানিই মিটবে বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসারের দীর্ঘ ফিচারটি পড়লে। ভারতের ভেইনু বাপ্পু মানমন্দির নিয়ে একটি মনোগ্রাহী ফিচার লিখেছেন শরীফ মাহমুদ ছিদ্দিকী। বরাবরের মতোই পাখি নিয়ে লিখেছেন পাখি বিশারদ শরীফ খান। এছাড়া ‘হরমোন কীভাবে কাজ করে?’, ‘জুলিয়া লেরমনভা: রসায়নের বিস্মৃত অগ্রদূত’, ‘এনএফটি প্রযুক্তির উত্থান ও ভবিষ্যত’, ‘পৃথিবী বদলে দেওয়া’, ‘মহাবিশ্ব কত বড়’, ‘ডপলার ইফেক্ট, স্বপ্ন জগতে হানা’ ইত্যাদি শিরোনামে দারুণ কিছু লেখা ছাপা হলো এ সংখ্যায়।

লকডাউনে পত্রিকার দোকান হয়তো বন্ধ পাবেন। তাই যাঁরা বাইরে গিয়ে পত্রিকা কিনতে পারছেন না, তাঁদের জন্য সহজেই ঘরে বসে পত্রিকা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে প্রথমা ডট কম। প্রথমায় অর্ডার করলে শুধু পত্রিকার দাম পরিশোধ করলেই কয়েকদিনের মধ্যেই পৌঁছে যাবে বিজ্ঞানচিন্তা। আলাদা ডেলিভারি চার্জ পরিশোধ করতে হবে না। ফ্রি ডেলিভারি চার্জে বিজ্ঞানচিন্তা কিনতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে-

https://cutt.ly/2vx4Qor