শীতকাল এলে পানির স্বভাব সহজে যায় না বোঝা
কোথায় কোথায় পানি বাস করে ভালোমতো লাগে খোঁজা।
মেঘ নেই, নেই বৃষ্টির দেখা, শুকনো খাল বা ডোবা
পানি খুঁজে খুঁজে চারপাশ দেখি, দেখে ভাষাহীন, বোবা।
বড় নদী আর সমুদ্র ছাড়া সবখানে পানি কমে
কমে বুঝলাম। সেই পানি তবে কোনখানে গিয়ে জমে?
বিদেশে না হয় বরফ হচ্ছে, কী হয় আমার দেশে?
পানিগুলো বুঝি দেশ পাড়ি দেয় উড়ে উড়ে ভেসে ভেসে?
একটা জবাব মাথায় ঘুরছে, বলে ফেলি এই ফাঁকে
শীতকাল এলে ডোবার পানিরা আসে আমাদের নাকে।
তাই শীতে দেখি অধিকাংশের চলে নাক টানাটানি
টিস্যু হাতে নিয়ে সারাদিনমান মুছছি নাকের পানি।
শুধু পানি পড়া হলে তবু ভালো, সাথে ঘনঘন হাঁচি
গলা খুসখুস, চোখ মুখ ফোলা, কেমন করে যে বাঁচি?
ডাক্তার বলে ঠাণ্ডার ধাত, অ্যালার্জি হতে পারে
এই কারণেই নাকের ভেতরে মিউকাস নাকি বাড়ে!
নাক থেকে পানি ঝরাবে বলেই অ্যালার্জি নাকি আসে
বিশেষ খাবার, ফুলের রেণু বা ধুলা বা তুলার আঁশে।
ডাক্তারদের বুদ্ধি বেশি না, ঔষধ লিখে দেবে
পানি কোত্থেকে আসছে সেটা তো দেখে না কখনও ভেবে।
আমিই ভাববো, শীতকাল এলে আসে কেন নাকে পানি
পানি রহস্য আবিষ্কারের দায়িত্ব কার জানি!
শীতকালে নাকে পানির গড়ানো শুধু কি নিছক রোগ?
নাকি তার সাথে ডোবার পানির আছে কোন যোগাযোগ?
নাক ঝেড়ে ঝেড়ে ভাবতে ভাবতে শীতটা করব পার
বসন্ত এলে জানতে পারবে আমার আবিষ্কার।