ভিটামিন

মুখে যেটাই রোচে, মানে যেটাতে স্বাদ পাচ্ছ

বেছে বেছে সেই খাবারই গাদা গাদা খাচ্ছ!

খাচ্ছ ওসব কামড়ে, চুষে, গিলে নাহয় চেটে

মুখস্থ ওই খাবারগুলোই যাচ্ছে কেবল পেটে।

আচ্ছা বলো, চেয়েছ কি জানতে কোনো দিন

ওই খাবারে আছে কি না সকল ‘ভিটামিন’!

ভিটামিনের নামগুলো কী? এ বি সি ডি ই কে

এর কোনোটির অভাব হলে রয় না শরীর টিকে।

ভিটামিন এ-র অভাব হলে কেউবা হয় রাতকানা

হয়তো এটা তোমাদেরও আছে ভালোই জানা।

ঘাটতি অনেক বেশি সাথে কপাল হলে মন্দ

এর থেকে সে হতে পারে পুরোপুরি অন্ধ।

বি–র অভাব দীর্ঘদিনের? লাগবে না খুব দেরি

হবে যে রোগ, শুনতে খাসা, নামটা ‘বেরিবেরি’।

হতে পারে এর অভাবে মুখের ভেতর ঘা–টা

‘ওয়ারনিক এনসেফালোপ্যাথি’, সেই সাথে ঠোঁটফাটা।

নেই ভেদাভেদ, তুমি মেয়ে নাকি তুমি ছেলে

‘স্কার্ভি’ হবে ভিটামিন সি দীর্ঘদিন না খেলে।

ডি–র অভাবে ‘রিকেটস’ হতে পারে কচিকাঁচার

‘অস্টিওম্যালেসিয়া’ হয় মামি, দাদা, চাচার।

ই–র অভাবে কী রোগ হবে বলতে কি কেউ পারবে?

পারলে না তো! ‘অ্যাটাক্সিয়া’ আর সমস্যা নার্ভে

কে–র ঘাটতি হলে কী হয় বলছি রেখো স্মরণ

ভঙ্গুর অস্থি, দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষরণ...

আর কী রোগ হয় ভিটামিনের অভাব বেশি হলে?

জানতে চাইলে গুগল, পুস্তক, ডাক্তার দেবে বলে।

*লেখাটি ২০২২ সালে বিজ্ঞানচিন্তা অক্টোবর সংখ্যায় প্রকাশিত