চিনি গো চিনি

অলংকরণ: শামীম আহমেদ

মিষ্টি খেতে ভাল্লাগে খুব, মিষ্টি মানেই চিনি

নানান ভাবে, নানান মাপে খাই যা প্রতিদিনই!

মুঠোয় মুঠোয় খাচ্ছি চিনি বিরাট ভয়ের কথা

হায়, বাঙালির খাবার মানেই চিনির প্রতুলতা!

একটু করে রক্তে মিশে আনছে ডেকে ঝুঁকি

ডায়াবেটিস যখন-তখন দিতেই পারে উঁকি!

হৃদ্‌রোগেরও কারণ হয়ে মৃত্যু আনে কাছে

কম বয়সেই বিকল হয়ে বাঁচার মানে আছে?

এই চিনিই শত্রু হয়ে বাড়ায় দেহের মেদও

হাসছ শুনে আমার কথা, পরেই না হয় কেঁদো!

খাওয়ার মজা ক্ষণস্থায়ী, রোগের জ্বালা বড়

থাকতে সময় সতর্ক হও, একটা কিছু করো!

অলংকরণ: শামীম আহমেদ

পারলে চিনি বাদ দিয়ে দাও, কাজটা কি আর সোজা?

শতকজুড়েই চলছে চিনির বিকল্প তাই খোঁজা!

চিনির প্রধান বিকল্প কী? নাম স্যাকারিন জানি

মিষ্টি স্বাদের জোগান সে দেয়, দেহের কোনো হানি

করবে না সে, বরং এড়ায় চিনির ক্ষতি যত

এই শরীরের যন্ত্রপাতি রাখবে সে অক্ষত।

জানতে কি চাও কেমন করে এই স্যাকারিন এল

কেমন করে কোথায় মানুষ এটার হদিস পেল?

আলকাতরার রূপ দেখে কেউ হয় না মোটেই খুশি

বললে খেতে তোমরা বোধ হয় মারবে আমায় ঘুষি!

মিষ্টি স্বাদের স্যাকারিনের উত্স হলো ওটাই

সেই কাহিনি অবাক করার, বলছি খুলে গোটাই!

অনেক বছর আগের কথা, আমেরিকার দেশে

রিসার্চ করেন নানান দেশের বিজ্ঞানীরা এসে।

নাম ফেলবার্গ, কেমিস্ট তিনি, রাশান ছিলেন জাতে

যুক্ত ছিলেন নানান রকম গবেষণার সাথে।

সেদিন রাতে খেতে বসে অবাক হলেন তিনি

যা মুখে দেন মিষ্টি লাগে! কেউ দিয়েছে চিনি!

হাত মুছেছেন যে ন্যাপকিনে মিষ্টি সেটাও লাগে

এমন ব্যাপার তাঁর জীবনে দেখেননি আর আগে!

বুঝে গেলেন চিনির এ স্বাদ হাতেই ছিল লেগে

ছুট লাগালেন ল্যাবের দিকে অমনি ঝড়ের বেগে!

আলকাতরার ওপর ছিল গবেষণা তাঁর

সেইটা থেকেই পেলেন তিনি চিনি উপহার!

চিনির নতুন বিকল্পকে স্যাকারিনের নামে

খাচ্ছে সবাই আদর করে শহর এবং গ্রামে!

বিশেষ করে যাদের আছে ডায়াবেটিস রোগ

এর সুবাদেই করছে তারা মিষ্টি উপভোগ।