শক্তির আসল উৎসটা কী ধরার পৃষ্ঠতলে?
পারলে না তো! সূর্য! এটা বিজ্ঞানীরা বলে
সূর্যটা কী? জি-ধরনের প্রধান ধারার তারা
জেনে রাখো তোমরা বাপু, জানো না তা যারা।
সূর্যের অনেক নাম রয়েছে; আদুরে নাম রবি—
এই নামেই ডাকেন যাঁরা লেখক এবং কবি।
সূর্য থেকে এই পৃথিবী আছে কত দূরে?
শুনলে জানি মাথাটাই যেতে পারে ঘুরে।
যাহোক এবার দিচ্ছি বলে দূরত্বটা কত
মাইলে তা তিরানব্বই মিলিয়নের মতো।
সূর্য থেকে আলো পেতে সময় কত লাগে?
চার শ নিরানব্বই সেকেন্ড, নয় কিছু তার আগে।
সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রাটা কত জানা আছে?
পাঁচ হাজার পাঁচ শত ডিগ্রি এটা সেলসিয়াসে।
আয়তনটা জানতে পাবে যদি হিসাব করো
এই পৃথিবী থেকে তেরো লক্ষ গুণ সে বড়।
ভাবছ তুমি কত হবে গোটা সূর্যের ভর
টন-এ বলি, সাতাশ শূন্য দাও পঞ্চাশের পর।
তিন শত পঁয়ষট্টি দিনে, মানে বারো মাসে
পৃথিবীটা সূর্যের চারিদিকে ঘুরে আসে।
সূর্যের বয়স কত বছর বলতে কি কেউ পারো?
চার শত ষাট কোটি বছর, বিশ্বাস কারও কারও।
সৌরশক্তি বৃক্ষলতার বিশেষ প্রয়োজন
এ ছাড়া তো হয় না এদের সালোকসংশ্লেষণ।
পেট্রোলিয়াম জীবাশ্ম এই সৌরশক্তিটাকে
নানাভাবে বদল করে দেহে ধরে রাখে
এর থেকেই মেলে আগুন উত্তাপ এবং আলো
বুদ্ধিমানের এসব কথা জেনে রাখা ভালো।
এরচে বেশি জানতে হলে একটু নিজে খাটো
সময় নিয়ে পুঁথি-পুস্তক এবং Google ঘাঁটো।