ডোডো

মিডজার্নির সাহায্যে তৈরি ডোডো পাখি

ডোডো পাখি ডোডো পাখি শেখে নাই ওড়া

মরিশাস দ্বীপ জুড়ে হাঁটা-চলা-ঘোরা!

পালক ধূসর-নীল, হলদেটে ঠোঁটে

ফল-বীজ-পোকা খেয়ে ডোডো পাখি ছোটে।

মাটিতেই ডিম পাড়ে, ডিম ফুটে ছানা

কেউই নেই ডিম খেতে দিতে পারে হানা!

ভয় পাবে? প্রশ্নটা কোথা থেকে আসে?

কোনোই শিকারি প্রাণী নেই মরিশাসে।

ভেলা চড়ে, নৌকাতে, এমনকি শিপে

তখনও মানুষজন যায়নি সে দ্বীপে!

ডোডোর সুখের দিন কবে হলো ইতি?

কবে থেকে প্রাণ নিয়ে শুরু হলো ভীতি?

দ্বীপে ডাচ নাবিকেরা এলো দলে দলে

এসে দেখে ডোডো পাখি হেঁটে হেঁটে চলে!

ওড়া ভোলা পাখিগুলো ভয় পাওয়া ভুলে

মানুষের কাছাকাছি আসে হেলেদুলে!

মানুষকে দেখে ডোডো বিস্মিত চোখে

এমন আজব প্রাণী আছে ইহলোকে!

সহজ শিকার হয়ে মানুষের পেটে

ঢুকে ডোডোদের গেল বিস্ময় কেটে!

বানর, শূকর হয়ে মানুষের সাথী

দ্বীপে এসে ডোডোদের খোঁজে আতিপাতি!

ডোডোদের ডিম খায়, খেয়ে ফেলে ছানা

উড়ে যাবে ডোডো? তার দুর্বল ডানা!

বনে কি লুকাবে ডোডো? মানুষেরা মিলে

গাছ কেটে বনটাকে শেষ করে দিলে!

দিন যায়, সংখ্যায় ডোডো কমে আসে

একদিন দেখা গেল পুরো মরিশাসে

একটাও ডোডো পাখি আর নেই বেঁচে

মানুষেরা খাতা খুলে লিখে দিল নেচে…

কী লিখেছে তুমি আমি সকলেই জানি

‘আজ থেকে ডোডো পাখি বিলুপ্ত প্রাণী!’