পানি কি কেবল হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের কণা?
পানির খবর তোমরা রাখছ হাতে গোনা কয়জনা।
আকাশে যে মেঘ ওড়াউড়ি করে, ঝরে বৃষ্টির ফোঁটা
শীতে যে আকাশ কুয়াশায় ঢাকে, আসলে জানো কী ওটা?
কিংবা স্বচ্ছ শিশির কণা যে ঘাসের ওপরে জমে
তুলার মতন তুষাররা ভাসে তাপটা যখন কমে।
অ্যান্টার্কটিকা জুড়ে যে বরফ সাদা সাদা আর সাদা
এগুলো কী যারা বলতে পারে না তারা তো আসলে হাঁদা।
ঠিকই বলেছ, এগুলো আসলে নানান রূপের পানি
তুমি যে এগুলো আগেই জানতে আমি তা ভালোই জানি।
যদি না-ই জানো পানি কোথা থাকে, পাবে নাকি পানি হালে?
পুকুরে, নদীতে, সাগরেও পানি। পানি হ্রদ, ডোবা, খালে।
বাতাসের গ্যাস, মাটির খনিজ পানির সঙ্গে মেশে
তরল, কঠিন, বায়বীয় রূপে পানি থাকে পরিবেশে।
ঠান্ডায় পানি বদলে বরফ, পানিরা বাষ্প তাপে
কোথায় বাষ্প? চোখ মেলে দেখো ধূমায়িত চায়ের কাপে।
ঝরনার পানি সুমিষ্ট হয়, সাগরের পানি নোনা
চোখের পানিটা কেন যে নোনতা বই পড়ে জানছ না!
পুরো পৃথিবীকে চার ভাগ করো, পানি তার তিন ভাগে
পানির ওপর নির্ভর করে পৃথিবীতে প্রাণ জাগে।
পানির অপর নাম কী?—জীবন, জীবন বাঁচাতে পানি
বিশুদ্ধ পানি না-ই যদি থাকে—প্রাণ নিয়ে টানাটানি।
পানির দখলে দেশে দেশে লাগে যুদ্ধও মাঝে মাঝে
রান্নায় পানি, চাষাবাদে পানি, পানি লাগে ধোয়া কাজে।
এই যে আমরা প্রোটিন খাচ্ছি, নির্ভর করি মাছে
তার পেছনেও প্রধান কারণ পৃথিবীতে পানি আছে।
পানি আছে বলে এত আনন্দ পাও সুইমিংপুলে
পানি ব্যবহার চলে সজ্ঞানে অথবা মনের ভুলে।
বিজ্ঞান পড়ে বিস্ময়ে হাত চলে যায় সোজা গালে
পৃথিবীতে পানি আজও আছে, যেটা ছিল জুরাসিক কালে।