ছেলেরা মেয়েকে, মেয়েরা ছেলেকে দেখে যে উতলা হও
তাকে কি তোমরা ভালোবাসা, মানে প্রেমে পড়ে যাওয়া কও?
হৃৎপিণ্ডের ভেতরে নাকি তা মগজে লুকানো থাকে?
কিসের কারণে ভালোবাসা, প্রেম অস্থির করে রাখে?
প্রেমে পড়ে গেলে মা এবং বাবা শুধু শুধু বকলেন
আসলে দায়ী কে? টেস্টোস্টেরন এবং এস্ট্রোজেন।
এই দুইজন প্রেমে ফেলে দিল। উড়ুউড়ু হলো মন
ভেতরে-ভেতরে বাড়া শুরু হলো অবাক আকর্ষণ।
এড্রেনালিন, ডোপামিন আর ব্যস্ত সেরেটোনিন
আকর্ষণের কলকাঠি নাড়ে নিয়মিত, প্রতিদিন।
মন দেয়া-নেয়া, উন্মাদ হওয়া—সকল প্রেমের বেলা
ভালো লাগাটাগা কিছু না কিছু না, হরমোনদের খেলা।
হার্টবিটখানা দ্রুতলয়ে চলে, ঢিপঢিপ করে বুক
নার্ভাস ঘাম বেশি বেশি হয়, শুকনা শুকনা মুখ।
ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন?—ওরকম কিছু নয়
এ সময়ে বাড়ে এড্রেনালিন, বেড়ে গেলে এটা হয়।
প্রেমে পড়া মানে সব এলোমেলো, জীবন, নিজের রুম
কমে গেল খাওয়া, সেই সাথে সাথে কমে গেল রাতে ঘুম।
শুধু তো কমে না, বাড়ার মধ্যে এনার্জি গেল বেড়ে
রক্ততে থাকা ডোপামিনটাই তোমাকে গিয়েছে নেড়ে।
কখন যে তুমি প্রেমে পড়ে যাও, কীভাবে যে প্রেম আসে!
প্রিয় মানুষের চেহারাটা কেন বারবার চোখে ভাসে?
অধিকাংশই জটিল বিষয় এবং ব্যাখ্যাহীন
ব্যাখ্যার কিছু দিতে পারে শুধু রক্তে সেরেটোনিন।
এরপরে শুরু সুখী সংসার, বাচ্চাতে ঘর ভরা
ভালোবাসা দিয়ে দীর্ঘ যুগল জীবনটা পার করা।
সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধন, পাশে পাশে কাছে কাছে
এসব ঘটনা ঘটাবে বলেই অক্সিটোসিন আছে।
হরমোন নিয়ে বেশি পড়াশোনা? একটাই প্রবলেম
মাথা ভরা শুধু বিদ্যা বিদ্যা, জীবনে আসে না প্রেম।
প্রেম ভালোবাসা বুঝতে চাইলে হতে পারো গবেষক
শুধু মেনে নিয়ো লাইফ প্রেমহীন, যতই থাকুক শখ।