প্রাণীদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছিল। একজন প্রশ্ন করল—
আচ্ছা পৃথিবীর কোন প্রাণী সকালের ব্রেকফাস্ট দিয়ে দুপুরের লাঞ্চ সারে?
কোন প্রাণী?
কেন জিরাফ, ওরা সকালে ব্রেকফাস্ট করে। সেই ব্রেকফাস্ট গলা বেয়ে নামতে নামতে পাকস্থলীতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। কাজেই বুঝতেই পারছেন, ব্রেকফাস্ট দিয়ে দুপুরের লাঞ্চও কমপ্লিট!
স্বাভাবিকভাবেই এরপর নির্দিষ্ট করে জিরাফ নিয়েই বৈজ্ঞানিক প্রশ্ন-উত্তর পর্ব শুরু হলো। প্রথম প্রশ্ন—
জিরাফের গলা কেন এত লম্বা?
তিনটি বিশেষ কারণে জিরাফের গলা লম্বা।
প্রথম কারণটি কী?
প্রথম কারণ হচ্ছে, সেই আদিকালে গাছের নিচের দিককার পাতা শেষ হয়ে যাওয়ায় গলা উঁচু করে ওপরের পাতা খাওয়ার ক্রমাগত চেষ্টা করার কারণে জিরাফের গলা লম্বা হয়ে গেছে।
অন্য আলোচকদের প্রথম কারণটি ঠিক মনঃপূত হলো না। তারপরও দ্বিতীয় কারণটি জানতে চাইল তারা।
দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে গাছের মগডালের কচি পাতা খাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টার কারণেই একটা বিশেষ প্রজাতির জিরাফের গলা লম্বা হয়েছে। তারাই পরে টিকে গেছে!
দ্বিতীয় কারণটিও উপস্থিত আলোচকদের পছন্দ হলো না। তখন একজন হাত তুলল—
আপনি কিছু বলতে চান?
হ্যাঁ, সম্ভবত সঠিক বৈজ্ঞানিক কারণটি আমার জানা আছে।
বেশ তো বলুন।
প্রাণিজগতে জিরাফের গলা লম্বা হওয়ার একটাই বৈজ্ঞানিক কারণ, সেটা হচ্ছে এর ছোট্ট মাথাটা ওর শরীর থেকে বেশ খানিকটা দূরে।
লেখাটা যেহেতু জিরাফ নিয়ে শুরু হয়েছে, জিরাফ দিয়েই নাহয় শেষ হোক। এক লোকের রাতে ঘুম আসে না। ডাক্তারের ওষুধপত্রেও কাজ হয় না। শেষে হতাশ ডাক্তার বললেন, ঠিক আছে এখন থেকে আপনি রাতে বিছানায় শুয়ে ভেড়ার পাল গুনবেন।
দুদিন পর লোকটি আবার এল।
ডাক্তার সাহেব ভেড়ার পাল গুনতে সমস্যা হচ্ছে। আমি যদি ভেড়ার বদলে জিরাফ গুনি তাহলে কি কোনো সমস্যা আছে?
জিরাফ গুনবেন কেন?
না মানে জিরাফের গলা অনেক লম্বা তো দেখে দেখে গুনতে সুবিধা হয়
বেশ গুনুন, হতাশ ডাক্তার বলেন। লোকটি চলে গেল।
বেশ কদিন পর আবার এল লোকটি।
ডাক্তার সাহেব, গত তিন দিনে আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ১৬টি জিরাফ গুনেছি, তারপরও ঘুম পায়নি।
কী বলছেন, এত জিরাফ গুনলেন কীভাবে?
কেন, প্রথমে ওদের পা গুনলাম, তারপর চার দিয়ে ভাগ করে ফেললাম!
লেখক: কার্টুনিস্ট
লেখাটি ২০১৭ সালের বিজ্ঞানচিন্তার এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত
লেখকের নাম যাবে (লেখক: )