প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করতে হবে আগে : বিজ্ঞানচিন্তাকে পো শেন লোহ

পো শেন লোহ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ। চার হাজার বছরের পুরোনো দ্বিঘাত সমীকরণ সমাধান করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। গণিতকে ভালোবেসে পৃথিবীর মানুষের মাঝে গণিতের মাধুর্য ছড়িয়ে দিতে চান লোহ। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটার্সবার্গের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএমইউ) গণিত বিভাগের অধ্যাপক তিনি। ক্যালটেক ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভাবনা ও কম্বিনেটরিক্সের সাহায্যে কম্পিউটারের কার্য প্রক্রিয়া পরিচালনা বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। মাইক্রোসফটের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পেলেও শিক্ষকতা বেছে নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) যুক্তরাষ্ট্র দলের প্রশিক্ষক। তাঁর নেতৃত্বেই ২১ বছর পর ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র আইএমও দল ফিরে পায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন। ২০১৬ সালেও আইএমওতে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখে। অনলাইনে গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে চালু করেছেন বীঢ়রর.পড়স নামের এক নতুন প্ল্যাটফর্ম। যেখানে অন্য ভাষার পাশাপাশি বাংলায়ও গণিতচর্চা করা যায়। ২০১৬ বাংলাদেশে এসেছিলেন পো শেন লোহ। সে সময় ‘বিজ্ঞানচিন্তাকে একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন। তারই সংক্ষিপ্ত অংশ এখানে দেওয়া হলো। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড ২০১৬-এ রৌপ্য পদকজয়ী ফারদীম মুনির। সঙ্গে ছিলেন বিজ্ঞানচিন্তার উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।

বিজ্ঞানচিন্তা: গণিত নিয়ে কাজ করার পেছনে অনুপ্রেরণা পেলেন কীভাবে?

পো শেন লোহ: শিক্ষাজীবনে ভালো কিছু শিক্ষক পেয়েছি আমি। পড়ার বইয়ের বাইরের সমস্যা সমাধানে তাঁরা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ফলে গণিতচর্চার অনুকূল পরিবেশ পেয়েছি। আমার পরিবারও সব সময় আমার পাশে ছিল। আমার বাবা ছিলেন পরিসংখ্যানের অধ্যাপক। তিনি চেষ্টা করতেন সাধারণ মানুষ যেটা অসম্ভব মনে করে, সেটাকে সম্ভব করার। তাঁর এ কাজ আমাকে প্রভাবিত করত। আমার মা কাজের পাশাপাশি আমাদের ভাইবোনদের গণিত শেখাতেন। আমরা তিন ভাইবোন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের দেশসেরা ১২ জনের মধ্যে স্থান পেয়েছি। তবে আমি গণিত নিয়ে আরও কাজের অনুপ্রেরণা পাই স্নাতক শেষে পিএইচডি করতে এসে। আমার পিএইচডির সুপারভাইজার ছিলেন বেনজামিন সুদাকফ। তিনি জানতেন কেন একজন মানুষ বছরের পর বছর প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে পারেন শুধু গণিতের একটি সমীকরণ সমাধানের জন্য। গণিতের জটিল গবেষণার যে মূলমন্ত্র মানুষকে কঠিন সমস্যার সমাধান করতে সামনে ঠেলে দেয়, তার কারণ তিনি অন্যদের বোঝাতে পারতেন। এটিই  ছিল আমার অনুপ্রেরণার মূল উত্স। এ ছাড়া আমি গণিতের এমন শাখায় কাজ করেছি, যেটা নিয়ে কাজ করতেন বিখ্যাত গণিতবিদ পল এরডুস। এই মানুষটির সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি। তবে তাঁর কাজ খুবই ভালো লাগে। দুনিয়াজুড়ে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন, জটিল গবেষণার সমন্বয় করেছেন। তাঁর কাজ আজও আমার বিশাল অনুপ্রেরণা।

বিজ্ঞানচিন্তা: গণিত নিয়ে অনেক জটিল গবেষণার কাজ হলেও সাধারণ মানুষের কাছে গণিত জনপ্রিয় নয়। কারণ তাদের মতে দৈনন্দিন জীবনে গণিতের গভীরতম বিষয়গুলোর প্রয়োজন হয় না। তাহলে তাদের কীভাবে গণিতের গুরুত্ব বোঝানো সম্ভব?

পো শেন লোহ: আমার নিজের গণিত শেখার পদ্ধতিটি ছিল খুব সাধারণ। আমি প্রথমে কোনো সমস্যার সমাধান করতে চাইতাম। ধাপে ধাপে সেটির সমাধান করা সম্ভব হতো একমাত্র গণিতেরই সাহায্যে। কারণ গণিতের সুনির্দিষ্ট সমীকরণ আমাকে সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবতে শেখায়। আসলে আমি নিজেও ছাত্রদের কোনো সমীকরণ মুখস্থ করতে বলি না। বরং তাদের একটি সমস্যার সমাধান করতে বলি। এখন অবশ্য আমি আমার ছাত্রদের মার্কভ চেইন সম্পর্কে পড়াচ্ছি। আমি তাদের প্রথমে কিন্তু এটা বলে শুরু করিনি যে আমি তাদের মার্কভ চেইন সম্পর্কে পড়াব। বরং আমি বলি, যদি ভূপৃষ্ঠে কোনো ত্রিভুজ স্থাপন করা হয় তাহলে সেটার ক্ষেত্রফল কত হবে। কথা প্রসঙ্গে বলা যায়, গণিতের কম্বিনেটরিক্সের সমীকরণ অনুসরণ করে কীভাবে গণিত শেখাতে হবে সেটার সমাধান করা যায়! আমার মতে, গণিত শেখানোর নানা উপায় আছে। তবে আমি প্রথমেই ঠিক করি তাদের গণিতের কোন সমীকরণ শেখাব। এরপর ধাপে ধাপে তাদের সঙ্গে এর প্রাথমিক পর্যায়ের মৌলিক প্রশ্ন থেকে শুরু করে গবেষণা পর্যায়ের জটিল সমস্যার সমাধানে সমীকরণটির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করি। এটি তাদের সমীকরণটির পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়। আমার ধারণা, যদি সাধারণ মানুষকে গণিত দিয়ে সমস্যা সমাধান পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ নিজেই এতে আগ্রহী হয়ে তাদের বাস্তব জীবনের নানা সমস্যা সমাধানে গণিত ব্যবহার ও চর্চায় উদ্বুদ্ধ হবে।

বিজ্ঞানচিন্তা: অনেক তরুণ নিজের পছন্দের বিষয় আর কর্মজীবনের সমন্বয় করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?

পো শেন লোহ: স্কুল বা কলেজজীবনে আমি নিজে কিন্তু জানতাম না, ভবিষ্যতে কী হতে চাই। তাই যাঁরা এ প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই জানেন, তাঁদের এ ব্যাপারে কিছুই বলব না। আসলে স্কুলগুলোর প্রধান কাজ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানো। সেগুলোর প্রায়োগিক দিক নিয়ে তাঁদের চিন্তা করতে শেখানো; যা তাঁদের প্রিয় কাজ বা ভালোবাসার বিষয়টির সন্ধান দেবে। আমার শখ কিন্তু গণিত নয়, বরং আমি ভালোবাসি এমন কিছু করতে যা আমার চারপাশের সমাজে পরিবর্তন আনবে। আমি সে কারণেই বাংলাদেশে এসেছি। কারণ আমি এখন কাজ করছি বিশ্ব শিক্ষা নিয়ে। আমার নির্মিত বীঢ়রর.পড়স-এর মাধ্যমে বিশ্বে মানুষের শিক্ষাব্যবস্থায় এক অভিনব বিপ্লব আনতে চাই। বাংলাদেশের এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা এ বিষয়ে আগে থেকেই কাজ করছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে নিয়ে এ পরিবর্তনের পথচলা শুরু করেছি। আমাকে গণিতে দক্ষ হতে হয়েছে। কারণ, আমার মূল লক্ষ্য পূরণের জন্য এটি সহায়তা করবে। এরপর আমার সেই দক্ষতাকে প্রযুক্তি খাতের কাজে ব্যবহার করেছি। যেন সেটাও মানুষের জীবনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। আমি কিন্তু বলিনি, কোনো নিয়মিত চাকরি পছন্দ করি না। আমি সেটা এখন আর করি না। কারণ, আমি ওটাতে আগ্রহী নই। কেউ যদি সেটাকেও তাঁর প্রিয় কাজ হিসেবে বেছে নেন, তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এতে কোনো ভুল নেই যে ওই মানুষটি অবশ্যই এ কাজটিকে ভালোবেসে করবে এবং নিশ্চিতভাবে আমার চেয়ে দক্ষতার সঙ্গে করবে। এটা শুধু তার ভিন্ন পছন্দের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু আপনার জীবনের লক্ষ্য যদি ভিন্ন হয়, তাহলে শুরুতেই আপনাকে সেই লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করতে হবে। বাস্তব জীবনে নিজের কাজ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের শুধু তাদের ভবিষ্যতে কোন কোন দক্ষতার প্রয়োজন হবে সেটা শেখাতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমি গণিতে বেশি গুরুত্ব দিই। কারণ, বর্তমানে যেকোনো মৌলিক কাজের জন্য গণিতে দক্ষতা প্রয়োজন। যে কেউ যদি আসলেও কোনো বাস্তবধর্মী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চায় তাকে অবশ্যই গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে পরিমিত জ্ঞান থাকতে হবে। আর কেউ যদি প্রথমেই তার স্বপ্ন থেকে যাত্রা শুরু করতে চায়, তাহলে তাকে খুঁজে বের করতে হবে সে এ স্বপ্ন থেকে কী পেতে চায়। এরপর এই স্বপ্ন পূরণে তার যেসব দক্ষতার প্রয়োজন, সেগুলো অর্জন করতে হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে তার স্বপ্ন, কাজ ও ভালোবাসা একসঙ্গে মিলে তার ও তার চারপাশের মানুষের জন্য এক নতুন পৃথিবী গড়ে তুলবে।

বিজ্ঞানচিন্তা: মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক জল্পনাকল্পনা আছে। এ বিষয়ে আপনার ধারণা কী? রোবট কি আমাদের জন্য হুমকি বয়ে আনবে?

পো শেন লোহ: আমার মনে হয় না কম্পিউটার পদ্ধতি কখনো এত বিশাল সমীকরণের জগত্ থেকে আরও উন্নত বুদ্ধিমত্তার সমীকরণ সৃষ্টি করতে পারবে। আর সেখানেই মানুষের সৃষ্টিশীল জগতের জয়জয়কার উচ্চারিত হয়। আমাদের তৈরি কম্পিউটারগুলো এখনো এত বেশি বুদ্ধিমান হয়নি যে তারা নিজেদের পরিচালনার জন্য সমীকরণ তৈরি করবে। আমাদের কাছে এমন মেশিন লার্নিং সিস্টেম আছে, যা অনেক গভীরভাবে সূক্ষ্ম চিন্তা করতে পারে। ফলে জাদুকরের মতো এটি যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই কম সময়ে গত্বাঁধা প্রোগ্রামিং ছাড়াও দিতে পারে। এখন আপনি যদি বলেন কম্পিউটার এই উপায়ে মানুষের মতো বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে, তাহলেও সেটা অনেক দেরি। কারণ এটি যোগাযোগব্যবস্থার এক জটিল পদ্ধতি; যা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। ধরুন, আমি এখন যদি একটা ছক কাগজে খুব কাছাকাছি ১০টি বিন্দু নিই, যেগুলোকে একসঙ্গে প্রায় একটি রেখার মতো দেখায়। এখন এটার মান যদি আমি ২০ ধরি, তাহলে এর জন্য আমরা এই রেখার যেকোনো অবস্থানে নানা মান পাব। লক্ষ করুন, এই ১০টি বিন্দুকে নিয়েই যদি আমি কাজ করতে চাই তাহলে এগুলো দিয়ে নয় ধরনের বহুপদী তৈরি করা যায়। কিন্তু এটা কোনো সুস্পষ্ট ধারণা নয়। কেননা আমি যদি বিন্দুগুলোর অবস্থান প্রতিবার বদলাই তাহলে ছক কাগজে এর বিশাল মান পাওয়া যাবে, যার হিসাবের কোনো সীমা নেই। তাই আমরা বলতে পারি যে আমাদের কাছে এখনো এত জটিল সমস্যা সমাধানের মতো সূত্র নেই; যা একাধিক বিক্ষিপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করতে পারে। পরিমাণগতভাবে রোবটের শক্তি সৃষ্টির মূল হাতিয়ার ব্যাটারি; যা সিলিকনের তৈরি। আর সিলিকনের চেয়ে পৃথিবীতে কার্বনের পরিমাণ ব্যাপক। আর কার্বনভিত্তিক জীবই একমাত্র এই বিশ্বে জটিল থেকে জটিলতর সমস্যার সমাধান সবচেয়ে কম সময়ে নির্ভুলভাবে করতে পেরেছে। সেটাই মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

বিজ্ঞানচিন্তা: আপনার বীঢ়রর.পড়স-এর প্রকল্পটির উদ্দেশ্য কী? আপনি কীভাবে এটি শুরু করলেন আর এটি নিয়ে আপনার লক্ষ্য কী?

পো শেন লোহ: আমি এটি শুরু করেছিলাম একটি বৃহত্ জনগোষ্ঠীকে গণিতের মৌলিক দক্ষতাগুলো বোঝাতে। গণিতের মাধুর্য ও গণিত ব্যবহার করে জীবনকে আরও কত সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়, সেটা তাদের অনুভব করাতে চেয়েছিলাম। গোটা পৃথিবীতে আমি গণিতের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে। কোনো মানুষকে শিক্ষক হিসেবে পাওয়া সবার জন্য ব্যয়বহুল। তাই আমার লক্ষ্য ছিল, মানুষের হাতের ফোনে আমি এমন ভার্চ্যুয়াল শিক্ষক পৌঁছে দেব, যে তাদের গণিতে পারদর্শী করে তুলবে। এ দিক থেকে সবচেয়ে ভালোভাবে এগোতে পেরেছেন সালমান খান। খান একাডেমির মাধ্যমে তিনি গোটা বিশ্বের মানুষের চিন্তায় প্রভাব সৃষ্টি করতে পেরেছেন। তিনি মানুষের মাঝে শিক্ষার পরিবর্তন সৃষ্টি করতে পেরেছেন। এর মাধ্যমেই গোটা বিশ্বে বিনা মূল্যে জ্ঞান বিতরণ সম্ভব হয়েছে। আমি বাংলাদেশে একজন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। তার নাম আদিব হাসান। সে আর তার কিছু বন্ধু মিলে বীঢ়রর.পড়স-এর বাংলা সংস্করণ তৈরির চেষ্টা করছে; যা বিশ্বের বিশাল জ্ঞানভান্ডারকে বাংলা ভাষাভাষীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে। পৃথিবীর সবাইকে বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তনে যেসব দক্ষতা প্রয়োজন, সেগুলো অর্জনে সাহায্য করতে চাই। আমি চাই আগামীর পৃথিবী হবে দক্ষ জ্ঞানশক্তির আলোয় উজ্জ্বল এক সভ্য বাসস্থান।

অনুলিখন: আলিমুজ্জামান