প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্র মতে, মানব মনের ছয়টি শত্রু। এদের বলা হয় ষড়রিপু। এগুলোর মধ্যে দুই নম্বরে রয়েছে ক্রোধ বা রাগ। তীব্র অসন্তোষের বহিপ্রকাশকে বলা হয় রাগ। এই আবেগে আমাদের মুখের ভঙ্গী বদলে যায়। বলা উচিত, বিকৃত হয়ে যায়। কখনো রেগে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন ব্যাপারটা।
আসলে রাগের কারণে সুস্থ মানুষও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সারাক্ষণ রাগে ফোঁস ফোঁস করাও ক্ষতিকর। কারণ অতিরিক্ত রাগে মানসিক রোগীতে পরিণত হওয়াও অসম্ভব নয়। রেগে গেলে শরীরে একধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই উত্তেজনাই মানুষকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে। আর মন্দ কাজ করার উৎসাহ যোগায়। রাগের ফলে হজম-শক্তিরও ব্যাঘাত ঘটে। শ্বাসক্রিয়া দ্রুত হয়। ফলে ফুসফুসকে বেশি কাজ করতে হয়। হৃৎপিণ্ডের কাজও বেড়ে যায়। আর সে জন্য প্রয়োজন মতো শক্তির যোগান না পেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে বা মাথা ঘুরতে পারে।
গবেষকরা বলেন, কোনো মানুষ পনেরো মিনিট প্রচণ্ড রেগে থাকলে তার দেহের অনেক শক্তি নষ্ট হয়। এই পরিমাণ শক্তি দিয়ে সাধারণ অবস্থায় নয় ঘন্টা কাজ করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে রাগান্বিত অবস্থায় বয়স্কদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে
গবেষকরা বলেন, কোনো মানুষ পনেরো মিনিট প্রচণ্ড রেগে থাকলে তার দেহের অনেক শক্তি নষ্ট হয়। এই পরিমাণ শক্তি দিয়ে সাধারণ অবস্থায় নয় ঘন্টা কাজ করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে রাগান্বিত অবস্থায় বয়স্কদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। রাগী লোকদের সহজে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। কারণ অতিরিক্ত রাগের সময় পেট ও অন্ত্রের কাজ করার ক্ষমতা প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খাবার ভালো করে হজম হয় না। এতে অন্যান্য রোগ এসে শরীর আরও অসুস্থ হয়।
আবার রাগের কারণে চোখেরও ক্ষতি হয়। এ ছাড়া মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলেন, রেগে থাকলে দেহের শক্তি বেশি খরচ হয়। কারণ এ সময় মুখের ৫৬টি পেশি কাজ করে। আর হাসিখুশি থাকলে মাত্র ১৬টি পেশি কাজ করে। এবার নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, কোনটা বেছে নেবেন।