স্প্যানিশ শব্দ মসকিউটো (Mosquito) অর্থ ছোট মাছি। অনেকে বলেন, সংস্কৃত শব্দ মশক থেকে এ শব্দের উৎপত্তি। পৃথিবীতে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির মশা আছে। প্রজাতি ভেদে মশা ৪ থেকে ১ মাসে জীবনচক্র শেষ করে। প্রতিটি স্ত্রী মশা একবারে প্রায় ২০০টি ডিম পাড়ে।
মশাদের (বিশেষ করে স্ত্রী মশাদের জন্য) জীবনধারণ ও বংশবিস্তারের জন্য মানুষসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত প্রয়োজন। এ কারণে পুরুষ মশাদের চেয়ে স্ত্রী মশাদের হুল বিশেষভাবে তৈরি, যা দিয়ে তারা মানুষ বা অন্য প্রাণীর দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে। রক্ত সংগ্রহের জন্য স্ত্রী মশারা দলে দলে আক্রমণ করে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষকে। তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মশারা মানুষের শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের পাতায় বেশি আক্রমণ করে। অথাৎ পায়ের পাতায় বেশি কামড়ায়।
স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে, শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের পাতা উন্মুক্ত থাকে বেশি। তাই মশা ওখানে বেশি বসে। এর পেছনে আছে আরেকটি কারণ
স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে, শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের পাতা উন্মুক্ত থাকে বেশি। তাই মশা ওখানে বেশি বসে। এর পেছনে আছে আরেকটি কারণ। আসলে মানুষের পায়ের পাতায় বাস করে ‘ভে. বি. ব্যাকটেরিয়া এপিটার মাইসিস’ নামে একধরনের জীবাণু। এদের বিপাকীয় ক্রিয়ায় একরকম গন্ধ সৃষ্টি হয়। এই গন্ধ মানুষ টের না পেলেও মশারা ঠিকই পায়। বিশেষ এই গন্ধ মশারা বেশ পছন্দ করে। সে কারণে তারা পায়ের পাতার দিকে আকৃষ্ট হয় বেশি।
