খুব মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছেন। হঠাৎ একটা মশা আপনার পিঠে দিল কামড়ে। কষিয়ে মারলেন পিঠে এক রাম চড়। নিজের চড় খেয়ে নিজেই ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন। মশার ওপর বেজায় রাগ হলো। কিন্তু মশা তো হাওয়া। তাতে কী, আপনার অশান্তি কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। কারণ যেখানে মশা কামড়েছিল, সেখানে এখন জ্বালা করছে। এখন উপায়? চুলকাতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই। চুলকাতে গিয়ে টের পেলেন, জায়গাটি ফুলে উঠেছে। কিন্তু কেন এমন হলো?

এ জন্য আগে আমাদের জানতে হবে মশার কামড় মানে কী? আসলে আমাদের লোমকূপের গোড়ায় সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে। মশা সেই ছিদ্রে ওদের হুল ঢুকিয়ে দেয়। হুল ঢুকিয়েই ছেড়ে দেয় কিছু লালা। এ লালা ব্যথা উপশম করে। আর এতে থাকে প্রায় ১০০ ধরনের প্রোটিন। ফলে মশা যখন হুল ঢুকিয়ে মনের সুখে রক্ত খায়, তখন আমরা তা টের পাই না।

আরও পড়ুন

ডেঙ্গু নিয়ে যা জানা জরুরি

আরও পড়ুন

ডেঙ্গু ভ্যাকসিন গবেষণায় অগ্রগতি কতদূর?

মশা লালা নিঃসরণের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর হয়। হিস্টামিন নামে একধরনের রাসায়নিক নিঃসরণ করে শরীরকে রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই হিস্টামিনের কারণেই মশার ওই কামড়ে দেওয়া স্থানে চুলকায় এবং জ্বালা করে। তখন ওখানে চুলকালে ফুলে যায়।

এবার একটা মজার তথ্য দিই। মশা কেন রক্ত খায় জানেন? আসলে রক্তে থাকে প্রচুর প্রোটিন। আর মশার ডিম পাড়ার জন্য প্রোটিন দরকার হয়। পেটপুরে রক্ত খেতে পারলে মশা একসঙ্গে অনেকগুলো ডিম দিতে পারে। যেহেতু শুধু স্ত্রী মশাই ডিম পাড়ে, তাই রক্তও শুধু স্ত্রী মশারা খায়। এমনিতে রক্ত খেলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু মশারা রক্তের সঙ্গে জীবাণু নিয়ে আসে। এই জীবাণুর কারণে আমাদের নানা ধরনের রোগ হতে পারে। এখন যেমন অনেকের ডেঙ্গু হচ্ছে। তাই ছোট্ট মশা থেকেও সাবধান থাকতে হবে সব সময়।

লেখক: সদস্য, সম্পাদনা দল, বিজ্ঞানচিন্তা

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, এভরিডে সায়েন্স

আরও পড়ুন