হঠাৎ দেখা যায় দেয়াল থেকে টিকটিকি উধাও, কিন্তু তার লেজ পড়ে আছে মেঝেতে। আর সেই খসে পড়া লেজ রীতিমতো লাফাচ্ছে! এরকম ঘটলে ভয় পাবে না কেন?
কারো পছন্দের প্রাণীর তালিকায় টিকটিকি আছে, এমনটি শোনা যায়নি কখনো। কারণ এরকম বদখত চেহারার প্রাণীকে অনেকেই ভয় পায়। অবশ্য এই নিরীহ প্রাণীটিকে তেমন ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এই প্রাণীটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যর কারণে অনেকে টিকটিকি ভয় পায়। টিকটিকিকে প্রথমবার কৌতুহল ভরে দেখতে গেলে ভয়ের কারণ ঘটবেই। হঠাৎ দেখা যায় দেয়াল থেকে টিকটিকি উধাও, কিন্তু তার লেজ পড়ে আছে মেঝেতে। আর সেই খসে পড়া লেজ রীতিমতো লাফাচ্ছে! এরকম ঘটলে ভয় পাবে না কেন? তবে টিকটিকির লেজ কেন ওভাবে খসে পড়ে, সেটা জানলে হয়তো ভয় কিছুটা কমতেও পারে।
টিকটিকি এমনিতে লেজ খসায় না। যখন কোনো শত্রু আক্রমণ করে, তখনই টিকটিকি তার লেজ খসিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে আক্রমনকারী লেজটিকে টিকটিকি ভেবে ব্যস্ত থাকে। ততক্ষণে টিকটিকি পৌঁছে যায় নিরাপদ দূরত্বে। এভাবে প্রয়োজন মতো লেজ ফেলে টিকটিকি শত্রুকে ফাঁকি দেয়। শরীরের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্যই ওরা এটা করতে পারে।
টিকটিকির লেজের হাড় খুব হালকাভাবে দেহের সঙ্গে যুক্ত।তাই তারা সহজেই দেহ থেকে লেজ আলাদা করতে পারে।আর এর ফলে তাদের তেমন রক্তও ঝরে না।তা ছাড়া আট মাসের মধ্যে শরীরের আরেকটি নতুন লেজ গজায়।এদিকে প্রজাতিভেদে টিকটিকি ৭-২০ বছরের মতো বাঁচে। তাই লেজের জন্য ওরা তেমন একটা চিন্তিত বলে মনে হয় না।কারণ জীবনের চেয়ে একটা লেজের মূল্য নিশ্চয়ই খুব বেশি নয়।
