যাঁরা বাংলা ব্যাকরণ পড়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ‘কুমিরের অশ্রু’ বাগধারাটির সঙ্গে পরিচিত। বাগধারাটির অর্থ হচ্ছে অভিনয়ের কান্না বা লোক দেখানো কান্না। কিন্তু কুমিরের কান্নার সঙ্গে এই বাগধারার সম্পর্ক কী? কেন এ রকম বাগধারার উৎপত্তি? এর পেছনে রয়েছে মজার কারণ।
আসলে কুমির যখন শিকার ধরে, তখন তাদের চোখে বিন্দু বিন্দু পানি দেখা যায়। দেখে মনে হয়, শিকারটা হত্যা করার কোনো ইচ্ছে কুমিরের ছিল না। ভুল করে এ শিকার হত্যা করতে হয়েছে। আর সেই দুঃখে কুমিরের চোখ ফেটে কান্না আসছে!
কিন্তু সত্যিটা হলো, খাবার ধরার জন্য বা অন্য অনেক কারণে কুমিরকে মুখ হাঁ করতে হয়। আর যখনই হাঁ করে, তখনই এদের চোখে দেখা দেয় পানির ফোঁটা। কারণ মুখ হাঁ করার সময় এদের ওপরের চোয়াল খানিকটা ওপরে উঠে যায়। ফলে কুমিরের অশ্রুগ্রন্থির পেশিতে চাপ পড়ে। এই চাপে অশ্রুগ্রন্থিতে জমে থাকা পানি বেরিয়ে আসে চোখ দিয়ে। একেই আমরা বলি কুমিরের কান্না বা কুমিরের অশ্রু। তাই কেউ লোক দেখানো কান্না করলে ওই বাগধারাটি ব্যবহার করা হয়।
