ফটোফিচার
জিডিটি নেচার ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার অনিন্দ্য সুন্দর ১০ ছবি
ঘোষণা করা হয়েছে ‘জিডিটি নেচার ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’-এর বিজয়ী। সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে নেচার ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরাবন্দি করা প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীদের অপার সৌন্দর্যের অসাধারণ কিছু ছবি। প্রকৃতিপ্রেমী ফটোগ্রাফারদের জন্য ১৯৭১ সাল থেকে জার্মান সোসাইটি ফর নেচার ফটোগ্রাফি (জিডিটি) এই পুরস্কার দিচ্ছে। ১১টি দেশের আলোকচিত্রীদের ৭টি ক্যাটাগরিতে জমা দেওয়া ৮ হাজারের বেশি ছবি থেকে নির্বাচন করা হয়েছে এই ছবিগুলো। ২০২৫ সালের সেরা সেই ছবিগুলো থেকে বাছাইকৃত কয়েকটি ছবি বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য প্রকাশিত হলো।
১. কৌতূহলী
বাড়িতে কি কেউ আছে? এভাবেই যেন একটি সিংহের শাবক খোলসে থাবা দিয়ে ডাকছে কচ্ছপকে। তবে কচ্ছপটি সহজে খোলস থেকে বের হওয়ার পাত্র নয়। এমন ছবিটি তুলেছেন জেন্স কুলম্যান। ছবিটি দক্ষিণ আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমি থেকে তোলা হয়েছে।
২. ঝরনার প্রবেশদ্বার
জার্মানির আল্পসের এক জলপ্রপাতের প্রবল জলধারার মধ্যে দিয়ে ডানা মেলে উড়ে চলেছে একটি পাখি। এই নয়নাভিরাম দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন কনরাড ওথ। এই ছবিটিই এবার ‘জিডিটি নেচার ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে। কনরাড ওথ বলেন, ‘পাখিটির বাসা ঝরনার ঠিক পেছনে। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর, এই প্রথম আমি কোনো পাখিকে ঝরনার এমন দুর্বার স্রোতের মধ্যে দিয়ে সহজে উড়তে দেখলাম, যেন জলরাশির ঘন দেয়ালের ওপাশে লুকানো কোনো সুরক্ষিত আশ্রয়ে সে পৌঁছাতে ব্যাকুল।’
৩. পাফিন
ছবিতে যে পাখিটি দেখা যাচ্ছে, সেটা আটলান্টিক পাফিন নামে পরিচিত। এদের দেখা যায় আটলান্টিক মহাসাগরের বিভিন্ন দীপপুঞ্জে। ঠোঁটের জন্যই এরা সবার কাছে এত আকর্ষণীয়। পেছনের সৌরঝড়ের কারণে উজ্জ্বল বেগুনি ও গোলাপি রঙের আলো দেখা যাচ্ছে। ছবিটি তুলেছেন ক্যামেরাম্যান কারস্টেন মোসেবাখ।
৪. দৃষ্টিভঙ্গি
দক্ষিণ আফ্রিকার ডি হুপ নেচার রিজার্ভে যাওয়ার পথে তোলা এক ঝাঁক উটপাখির ছবি। ডানে একটি উটপাখি বিস্ময়ে নিচে উঁকি মারছে। সাদা-কালো এই ছবিটি তুলেছেন পিটার ম্রাসেক।
৫. রাগী বিড়াল
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি প্যালাসের বিড়াল। এদের চেহারাই রাগান্বিত বা গম্ভীর। যেন রেগে ফুলে আছে। প্যালাসের বিড়াল ছোট আকারের বন্য বিড়াল প্রজাতি। ছবিটি তুলেছেন বিট অসওয়াল্ড। তিনি মঙ্গোলিয়া ভ্রমণের সময় দুর্গম পরিবেশে এই বিরল প্রাণীটির ছবি ক্যামেরাবন্দী করেন। তখন সেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৬. পূর্ণবৃত্ত রংধনু
অসাধারণ ছবিটি আইসল্যান্ডের উচ্চভূমির প্রায় ৩০০ মিটার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় একটি হেলিকপ্টারের খোলা দরজা থেকে তোলা হয়েছে। এটি অত্যন্ত বিরল দৃশ্য। কারণ, আমরা সব সময় অর্ধ বৃত্তাকার রংধনু দেখি। আসলে রংধনু পূর্ণ-বৃত্তাকার হয়। ছবিটি তুলেছেন পিটার শোয়াগার।
৭. ময়ূর প্রজাপতি
ছবির প্রজাপ্রতিটির নাম ভিয়েনা ময়ূর প্রজাপতি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেন এই নাম। বসন্তকালে ইউরোপের জঙ্গলে এদের দেখা যায়। এরা ইউরোপের বৃহত্তম প্রজাপতির মধ্যে একটি। ডানার চারটি বৃত্ত যেকারোর চোখে পরে। নিকলাস বানোস্কি প্রজাপ্রতির এই সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন।
৮. শেয়াল পণ্ডিত
জুটোপিয়া মুভির নিক ওয়াইল্ড নামে লাল শিয়ালের কথা মনে আছে? কথায় কথায় পণ্ডিতি দেখায় সে। এমনি এক শেয়ালের দেখা পান ফটোগ্রাফার অ্যাঞ্জেলিকা ক্রিকাভা। বেগুনি ফুলের ছায়া বনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে শিয়ালটি।
৯. বাঁচা মরার লড়াই
ভারতের লাদাখের হেমিস জাতীয় উদ্যানের রুম্বাক অঞ্চল থেকে ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করেছেন উলরিখ হিরম্যান। একটা পাহাড়ি কুকুর ও তুষার চিতার মধ্যে জীবন ও মৃত্যুর লড়াই চলছে। ছবিতে প্রকৃতির নির্মম বাস্তবতা এবং খাদ্য শৃঙ্খলের অনিবার্যতাকে বোঝাতে চেয়েছেন রুম্বাক।
১০. ব্যাঙের ছাতা
ব্যাঙের ছাতার নিচে নিশ্চিন্তে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে উইভিল পোকা। উইভিল ছোট আকারের পতঙ্গ। এদের লম্বা শুঁড় রয়েছে। ফটোগ্রাফার টর্স্টেন ক্রাইস্টের এই ছবিতে উইভিল পোকাটির শরীরের প্রতিটি অংশ অত্যন্ত ফোকাস করে তোলা হয়েছে।