সমগ্র প্রাণিজগৎ বিষয় বৈচিত্র্যে অনন্য। সাধারণত মানুষ ছাড়া অন্যান্য জীবজন্তুতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষটি সুন্দর বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। আপনার চেনা প্রাণীদের দিকে খেয়াল করলেই তার প্রমাণ হাতেনাতে পাবেন। যেমন পুরুষ সিংহের কেশর থাকে। বিপরীতে নারী সিংহের ঘাড় থাকে ন্যাড়া। আবার পুরুষ ময়ূর পেখম মেলে নৃত্য করে। ময়ূরী ওটা পারে না, তার পেখম থাকে না। মোরগ-মুরগিতেও দেখা যায় মোরগটিই দেখতে সুন্দর।
অন্তত মানুষের স্বাভাবিক চোখে এবং মানুষের সৌন্দর্যের অমীমাংসিত সংজ্ঞানুযায়ী এ কথাটি সত্য। এমনও হতে পারে, ওসব জীবজন্তুর চোখে ওদের নারীরা অপরূপ সুন্দরী। যে কারণেই হয়তো প্রজনন ঋতুতে পুরুষটি নারী সঙ্গীর জন্য নানাভাবে নানা সুরে ডাকাডাকি করে। গানের গলাও পুরুষদের সুরেলা হয়। বিশেষ করে পাখিদের ক্ষেত্রে, যেমন কোকিল।
সেই একই সুত্র অনুযায়ী, ব্যাঙদের মধ্যে শুধু পুরুষই ডাকতে পারে। স্ত্রী ব্যাঙ ডাকতে পারে না। তাই বর্ষাকালে বা ব্যাঙদের প্রজনন ঋতুতে সঙ্গীকে কাছে টানতে পুরুষ ব্যাঙ ডাকাডাকি করে। ডাকাডাকি না বলে বরং বলা যায়, ব্যাঙ ঘ্যাঙর ঘ্যাং গান গায়। কারণ আমাদের কাছে ব্যাঙের ডাকের অর্থ ওটাই। পুরুষ ব্যাঙের মাথার দুধারে মুখবিবরের সঙ্গে একটি থলি যুক্ত থাকে। এটি আকারে ছোট ও কালচে রঙের। এ থলির নাম স্বরথলি, যা কেবল পুরুষ ব্যাঙেই উপস্থিত। তাই কেবল পুরুষ ব্যাঙই ডাকতে পারে। স্ত্রী ব্যাঙ ডাকতে পারে না।