বিজ্ঞানের ইতিহাস
আরব স্বর্ণযুগের কয়েকজন নক্ষত্র
এককালে আরব বিজ্ঞানীরা আলো ছড়িয়েছেন। তাঁদের হাত ধরে আমরা জেনেছি গণিত, জীববিজ্ঞান থেকে শুরু করে আলোকবিজ্ঞান বা জ্যোতির্বিদ্যার অনেক অজানা জ্ঞান। সেই স্বর্ণযুগের কয়েকজন বিজ্ঞানীর কথা, সংক্ষেপে…
৮১৯ সাল। খলিফা আল মামুন তখন বাগদাদের সিংহাসনে আসীন। আল মামুন জ্ঞানান্বেষী। জ্ঞানীদের সম্মান করেন। রাজ্যের যত পণ্ডিত আছেন, তাঁদের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিলেন। প্রতি সপ্তাহে পণ্ডিতদের সঙ্গে গল্প করেন। আড্ডা দেন। দর্শন, গণিত, বিজ্ঞান—কোনো কিছুই বাদ পড়ে না সেই আড্ডায়।
আল মামুনের মতো বইপ্রিয় বাদশাহ সম্ভবত মধ্যযুগের আরবে আর কেউ আসেননি। কথিত আছে, অনেক যুদ্ধে শত্রুদের হারিয়ে তিনি শত্রুর কাছ থেকে সোনা-জহরত নেননি। তার বদলে শত্রুর লাইব্রেরি থেকে বই নিয়েছেন। শত্রুর কাছ থেকে বই চেয়েছেন। আল মামুন জানতেন, গ্রিকদের কাছে আছে জ্ঞানভান্ডার। পারস্য, ভারত ও চীনে আছে জ্ঞানভান্ডার। সেসব ভান্ডার থেকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। আর তার জন্য চাই নিজের ভাষা আরবিতে অনুবাদ। এমন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন যে তিনি চাইতেন পৃথিবীর সব বই সংগ্রহ করে এক ছাদের নিচে রাখবেন। তারপর সেগুলো আরবিতে অনুবাদ করা হবে। আর পণ্ডিতেরা সেসব বই খুঁটিয়ে পড়বেন।
তাঁর সেই স্বপ্ন থেকে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাইত আল-হিকমা অথবা হাউজ অব উইজডম। বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় জ্ঞানঘর। বাইত আল-হিকমা ছিল পণ্ডিতদের মিলনমেলা। সেখানে শুধু যে বই অনুবাদ হতো, তা নয়; বহু বইয়ের বিষয়বস্তু বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হতো। নতুন নতুন ধারণার জন্ম হতো। আরবের স্বর্ণযুগ বা মুসলমানদের স্বর্ণযুগ বলে যে কাল বোঝানো হয়, সেই কালের শক্ত বুনিয়াদ গড়ে উঠেছিল আল মামুনের সময়। উল্লেখ্য, আল মামুনের আগে খলিফা আল মনসুরের সময়ও পণ্ডিতেরা অনেক বই আরবিতে অনুবাদ করেছিলেন।
খলিফা আল মামুনের সময় সবচেয়ে খ্যাতিমান অনুবাদক ছিলেন হুনাইন ইবনে ইসহাক। তিনি ছিলেন খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু আল মামুন তাঁকে বেছে নেন মেধার জন্য। মাত্র ১৭ বছর বয়সে হুনাইন ইবনে ইসহাক বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক গেইলেনের বই অনুবাদ করেছিলেন। গ্রিক ও আরবি ভাষায় ছিল তাঁর গভীর জ্ঞান।
৮২০ সালে বাইত আল-হিকমার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো সে সময়ের শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ আল খোয়ারিজমিকে। আল মামুনের শাসনামলের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন আল খোয়ারিজমি। যোগ্য মানুষকে কোথায় রাখতে হবে, সেটা খলিফা আল মামুন ১ হাজার ২০০ বছর আগে দেখিয়ে গেছেন। সে সময়ের বাইত আল-হিকমাকে আজকের দিনের রয়্যাল সোসাইটি বা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের সঙ্গে তুলনা করলে অতিরঞ্জন হবে না।
আল খোয়ারিজমি লিখলেন বিখ্যাত সব বই। তাঁর বইতে ভারতীয় গণিতবিদদের ছাপ স্পষ্ট! হিন্দু সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করলেন তিনি। আল খোয়ারিজমি উদ্ভাবন করলেন এক নতুন গণিত—বীজগণিত। আল খোয়ারিজমিকে বীজগণিতের (Algebra) জনক বলা হয়
ভারতবর্ষ যে গণিতের উর্বর ভূমি, মধ্যযুগে এ বিষয়টি প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন আরবের পণ্ডিতেরা। তাঁরা ভারতীয় গণিতবিদদের বই অনুবাদ করতে লাগলেন। আল খোয়ারিজমি লিখলেন বিখ্যাত সব বই। তাঁর বইতে ভারতীয় গণিতবিদদের ছাপ স্পষ্ট! হিন্দু সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করলেন তিনি। আল খোয়ারিজমি উদ্ভাবন করলেন এক নতুন গণিত—বীজগণিত। আল খোয়ারিজমিকে বীজগণিতের (Algebra) জনক বলা হয়। আর অ্যালজেবরা শব্দটির উৎপত্তি তাঁর বইয়ের শিরোনাম আল-জবর (al-jabr) থেকে। আবার ‘অ্যালগরিদম’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে আল খোয়ারিজমির লাতিন নাম আলগোরিদমি (Algoritmi) থেকে।
আল খোয়ারিজমি তাঁর গণিতে নতুন সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার করলেন। লাতিন ভাষায় তাঁর বই অনুবাদ করা হলো—লিবার আলগোরিজমি দে নিউমেরো ইনডোরাম (Liber Algorismi de Numero Indorum)। সে সংখ্যা পদ্ধতি পরিচিতি পেল হিন্দু-আরবীয় বা ইন্দো-অ্যারাবিক নিউমেরাল সিস্টেম নামে। আজকে আমরা যে ইংরেজি সংখ্যা ব্যবহার করি, সেটার নামই ইন্দো-অ্যারাবিক সংখ্যা পদ্ধতি।
ইউরোপে তখনো রোমান সংখ্যা ব্যবহৃত হতো। রোমান সংখ্যা ব্যবহারে যে যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা ইউরোপিয়ানরা উপলব্ধি করেছিল। কিন্তু বিকল্প উপায় জানা ছিল না। ঠিক তখনই ইতালির বিখ্যাত গণিতবিদ ফিবোনাক্কি আরব গণিতবিদদের সংস্পর্শে আসেন ও তাঁদের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। ৩২ বছর বয়সে, ১২০২ সালে ফিবোনাক্কি লিখলেন লিবার আবাকি (Liber Abaci বা Book of calculation)। সে বইয়ে তিনি হিন্দু-আরবীয় সংখ্যা ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইউরোপ পেল এক নতুন সংখ্যা পদ্ধতি। ইউরোপে বিস্তার ঘটল পাটিগণিত ও বীজগণিতের। ইউরোপীয় গণিতবিদেরা তারপর একসময় উপহার দিলেন ক্যালকুলাস। বীজগণিত ও ক্যালকুলাস ছাড়া জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইউরোপীয় রেনেসাঁ ছিল অসম্ভব।
আল-রাজি সবকিছুতেই এক্সপেরিমেন্ট পছন্দ করতেন। তিনি বাগদাদের বেশ কিছু জায়গায় মাংসের টুকরা ঝুলিয়ে দিলেন। কয়েক দিন পর সেই টুকরাগুলো পরীক্ষা করলেন। যেখানকার মাংস সবচেয়ে কম পচেছে, সেখানেই হাসপাতাল তৈরির পরামর্শ দিলেন
বাইত আল-হিকমা সে সময় জ্ঞানের একটা ধারাবাহিকতা তৈরি করেছিল। তৈরি করেছিল জ্ঞানচর্চার এক অভূতপূর্ব সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা টিকে ছিল বহু যুগ। জন্ম নিয়েছিলেন বহু পণ্ডিত। তাঁদের একজনের নাম আল–রাজি।
খলিফা আল মামুনের শাসনামলের প্রায় ৭০ বছর পরের কথা। বাগদাদের বাদশা তখন খলিফা আল-মুকতাফি। আল-মুকতাফি তাঁর রাজ্যে হাসপাতাল তৈরি করবেন। এমন আধুনিক হাসপাতাল তৈরি করতে চান, যে হাসপাতাল পৃথিবীর কোথাও নেই। হাসপাতালের জন্য স্থান নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু রাজা তো সব বিষয়ে জ্ঞান রাখেন না। খলিফা আল-মুকতাফি নিজের ক্ষমতাবলে সবকিছু নির্ধারণ করতে চাননি। তিনি খবর দিলেন রাজ্যের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানী আল-রাজিকে। নির্দেশ দিলেন, হাসপাতালের জন্য ভালো স্থান নির্বাচন করুন।
আল-রাজি সবকিছুতেই এক্সপেরিমেন্ট পছন্দ করতেন। তিনি বাগদাদের বেশ কিছু জায়গায় মাংসের টুকরা ঝুলিয়ে দিলেন। কয়েক দিন পর সেই টুকরাগুলো পরীক্ষা করলেন। যেখানকার মাংস সবচেয়ে কম পচেছে, সেখানেই হাসপাতাল তৈরির পরামর্শ দিলেন। যু্ক্তি দিলেন, সেখানকার বাতাস ভালো ও স্বাস্থ্যকর। আজ থেকে ১ হাজার ১০০ বছর আগের ঘটনা সেটা।
আল-মুকতাফি কয়েক বছর পর মারা যান। হাসপাতাল তৈরি করে যেতে পারেননি। সে হাসপাতাল তৈরি হয় খলিফা আল-মুক্তাদিরের সময়। হাসপাতালের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজ্ঞানী আল-রাজিকে। খলিফা মুক্তাদিরের সময় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল তৈরি হয়। সবচেয়ে বড় হাসপাতালটির নাম ছিল ‘আল-বিমারিস্থান আল-মুক্তাদির’।
আল-রাজি রোগী দেখতেন। হাসপাতালে বসে চিকিৎসাবিদ্যার গবেষণা করতেন। সেসময়ে দুজন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ছিলেন সবচেয়ে পূজ্য। একজন গ্যালেন অন্যজন হেপোক্রেটিস। তাঁদের লেখা বই তখন সবচেয়ে প্রচলিত ছিল। আল-রাজি নিজেও তাঁদের লেখা বই থেকে শিখেছেন। তাঁদের লেখা পড়ে প্রভাবিত হয়েছেন। সে সময়ে গ্যালেন ও হেপোক্রেটিসের মতবাদ চ্যালেঞ্জ করা ছিল ভয়াবহ দুঃসাহসের ব্যাপার। কিন্তু আল-রাজি সেসবের তোয়াক্কা করলেন না। তিনি গ্যালেনের অনেক মতবাদকে চ্যালেঞ্জ করলেন। ভুল বলে দাবি করলেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান মানেই যে চ্যালেঞ্জ করা, মধ্যযুগে সম্ভবত আল-রাজিই প্রথম সেটা সাহসের সঙ্গে দেখিয়েছেন।
হাজার বছর আগে আল-রাজি মানসিক রোগকে ‘রোগ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। রোগ হিসেবেই বিবেচনা করতেন। ইউরোপে তখনো মানসিক রোগীদের পাপের শাস্তি কিংবা শয়তানের আছর হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আল-রাজিকে বলা হয় সাইকোলজি এবং সাইকোথেরাপির জনক। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের ওপর প্রচুর বই লিখলেন। তাঁর বিখ্যাত বইয়ের নাম আল-কিতাব আল-হাওই (Al-Kitab Al-Hawi)। ২৩ খণ্ডের বই—অবিশ্বাস্য! ১২৭৯ সালে সেই বই লাতিন ভাষায় অনুবাদ হলো। ইউরোপে ছড়িয়ে গেল তাঁর বই। আল-রাজি ইউরোপে পরিচিতি পেলেন রাজেস (Rhazes) নামে। ১৩৯৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব প্যারিসের মেডিকেল ফ্যাকাল্টিতে মাত্র নয়টা বই ছিল। সেগুলোর একটা আল-রাজির বই।
আরব স্বর্ণযুগের গগন থেকে যদি পাঁচটি নক্ষত্রকে উজ্জ্বলতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে আল-রাজি তাঁদের একজন। আল–রাজি স্মরণে ইরানে এখনো প্রতিবছর ২৭ আগস্ট ‘রাজি দিবস’ পালন করা হয়।
আরব স্বর্ণযুগে বহু দার্শনিক ও বিজ্ঞানীর জন্ম হয়েছিল। ইবনে সিনা, আল বিরুনি, ওমর খৈয়াম, আল তুসো, আব্বাস ফারনাস, ইবনে খালদুন—এমন বহু দার্শনিক ও বিজ্ঞানীর নাম উল্লেখ করা যাবে। তবে এই লেখা শেষ করব একজন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীর কথা দিয়ে। তাঁর নাম ইবনুল হাইসাম বা ইবনে আল-হাইসাম। তবে তিনি লাতিন ‘আল–হাজেন’ নামেও পরিচিত।
আলোকবিদ্যা বা অপটিকস বহু বিষয়ে আমরা নিউটনকে কৃতিত্ব দিই। তবে নিউটনের বহু আগেই আলোকবিদ্যার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ হয়েছিল। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। আজ থেকে ১০০ বছর আগেও বিজ্ঞানীদের মধ্যে যোগাযোগ হতো পত্রযোগে। এক অঞ্চলের সৃষ্টি সম্পর্কে অন্য অঞ্চলের বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল কম। তা ছাড়া মধ্যযুগের বহু বইপত্র সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধবিগ্রহে ধ্বংস হয়েছিল। সে সময় একজনের কাজ অন্যজন কৃতজ্ঞতাসহ উল্লেখ করবেন—এমন চর্চার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। আরবের বিজ্ঞানীদের বহু বই ইউরোপে ছিল। ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা ষোড়শ, সপ্তদশ শতকে সেগুলো থেকে অনেক ধ্যান–ধারণা নিয়েছেন। কিন্তু সবাই সঠিকভাবে, কৃতজ্ঞতাভরে সেগুলো উল্লেখ করেননি। ফলে আরব স্বর্ণযুগের বহু বিজ্ঞানী ইউরোপে অজানা ছিলেন। এমনই একজনের নাম ইবনে আল-হাইসাম।
ইবনে আল-হাইসাম আলোকবিদ্যার বহু পরীক্ষা নিখুঁতভাবে করেছেন। চিত্র এঁকেছেন। বর্ণনা দিয়েছেন। সূত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেসব নিয়ে তিনি সাত খণ্ডের বই লিখলেন, কিতাব আল-মানাজির (Kitab al-manazir বা Book of Optics)। ঠিক এক হাজার বছর আগে তিনি সে বই প্রকাশ করেন। ইউরোপে তখন আলোকবিদ্যা নিয়ে কাজ করার মতো কেউ ছিলেন না। তাঁর বই লাতিন ভাষায় দে আসপেকতিবাস (De aspectibus) শিরোনামে অনুবাদ হয়েছিল আনুমানিক দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতকে। হাইসামের বই দ্বারা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রজার বেকন। হাইসাম ছিলেন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশ্বাসী। তত্ত্বের পাশাপাশি এক্সপেরিমেন্টকে তিনি অনেক গুরুত্ব দিতেন। এক হাজার বছর আগে এক্সপেরিমেন্টালিস্ট হওয়া ছিল এক অন্য বিষয়।
জ্ঞান কখনো কারও সম্পত্তি হয়ে থাকে না। কালের পরিক্রমায় এক জাতি থেকে অন্য জাতির কাছে যায়। যে জাতি জ্ঞানকে আপন করে নেয়, জ্ঞানের বিকাশ ও বিস্তারে নিরন্তর লেগে থাকে, তারা জাতি হিসেবে নেতৃস্থানীয় হয়। আজকের ইউরোপ-আমেরিকা, চীন-জাপান-কোরিয়া এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও সৃষ্টির জন্য চাই সমাজে জ্ঞানীর কদর। জাত-ধর্ম-বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে জ্ঞানীর সম্মান। আর যোগ্য মানুষের সঠিক মূল্যায়ন। মধ্যযুগের মুসলিম নেতারা বিদ্বানদের মূল্য দিয়েছেন। পণ্ডিতদের সঠিক স্থানে রেখেছেন। জাত–ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করেছেন। এ জন্যই স্বর্ণযুগ রচিত হয়েছিল।