প্রাচীন মিসরে বিজ্ঞানচর্চা

মমি তৈরির মধ্য দিয়ে মিসরীয়রা বিস্ময়কর প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেছবি: সংগৃহীত

মিসর বলতে আমাদের কী মনে পড়ে? প্রাচীন মিসর? চিরকালের রহস্যধন্য রোমাঞ্চকর এক নাম। কতশত ইতিহাস, রহস্যগাথা, পুরাণ, উপকথা, খুন, রক্ত, ঐশ্বর্য যেন এখনো ভেসে বেড়ায় সাহারা মরুভূমির তপ্ত পলকা বাতাসে। কিন্তু মিসর কি কেবলই কল্পকথার স্থান? নিশ্চয়ই নয়। একটি সভ্যতা কেবল পুরাণ ও রাজরাজড়ার গল্প–কাহিনি দিয়ে তৈরি হয় না। সেটি বড় করতে হলে বিজ্ঞান লাগে, প্রযুক্তি লাগে, বিশ্লেষণী চিন্তা ও সাহিত্য লাগে। প্রাচীন মিসরে বিজ্ঞানের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে এর ভৌগোলিক কাঠামোর পরিচয়। কেননা, প্রাচীন পৃথিবীতে মানুষ তাঁর পরিপার্শ্ব দ্বারা তাড়িত হতো এখনকার চেয়ে অনেক বেশি।

মিসরের উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পূর্বে লোহিত সাগর। দক্ষিণ অংশে নুবিয়ার মরুভূমি, পূর্ব দিকে মরুভূমি, পশ্চিম দিকেও লিবিয়ার মরুভূমি। প্রায় বৃষ্টিহীন এক মরুভূমির দেশ। যার ভেতর দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়েছে বিখ্যাত নীল নদ। যার উৎপত্তি আবিসিনিয়ার পাহাড়ে, সেখান থেকে নামতে নামতে বহু চড়াই–উতরাই আর মরুভূমি পার হয়ে প্রায় চার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ভূমধ্যসাগরের কোলে এসে ঠাঁই নিয়েছে।

গ্রীষ্মের শুরুতে আবিসিনিয়ার পাহাড় থেকে বরফ গলে গলে নীলের বুকে প্লাবন জাগায়। উর্বর করে তোলে কৃষিজমি। মিসরের ফারাওরা পরিকল্পনামাফিক নীল নদ থেকে সেচ প্রকল্প চালু রাখতেন। প্রতিবার বন্যায় জমির বাঁধ যেত ভেঙে, কিন্তু যার যার জমি তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য মিসরে জ্যামিতির সূচনা হয়েছিল। জ্যামিতি শাস্ত্রে অভাবনীয় উৎকর্ষ দেখিয়েছিল মিসরীয়রা। এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখিয়েছে বিস্ময়কর সব স্থাপত্যকীর্তিতে। মিসরের আকাশ প্রায় মেঘহীন। অবারিত উজ্জ্বল সূর্যকিরণ তার আকাশে ছড়িয়ে থাকে। মেঘহীন বলে রাতের অসীম আকাশ নির্মল, চন্দ্র–তারকার মুগ্ধকর সমারোহ খোলা চোখেই চোখে পড়ে। সন্দেহ নেই, এই আশ্চর্য আকাশ প্রাচীন মিসরীয়দের নভোবস্তুগুলোর ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলবে।

অনুমান করা যায়, প্রায় আট হাজার বছর আগে থেকেই মিসরীয়রা চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে বছর গণনা শুরু করে। কিন্তু এই হিসাবে বছর গণনায় যে ত্রুটি রয়ে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা ব্যাবিলনীয়দের আগে থেকেই জানত। তবে সম্ভবত রাজা ও পুরোহিতদের কুসংস্কার বজায় থাকার কারণে বহুদিন ব্যাপারটি ঠিকঠাক করা হয়নি। দুই হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মিসরে সৌরবর্ষের প্রচলন হয়। প্রথম দিকে ১২টি চান্দ্রমাসে ৩৬০ দিনে ১ বছর হিসাব করা হতো। কিন্তু দেখা গেল, ৩৬০ দিন পরপর বছরের পুনরাবৃত্তি হয় না। পাঁচ দিন অতিরিক্ত লেগে যায়। ফলে পরবর্তী বছরের শেষ মাসে পাঁচ দিন অতিরিক্ত যোগ করা হতো। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হলো না। কেননা, হিসাবমতে বন্যাকাল যেটা ধারণা করা হয়েছিল, সেটা প্রতিবছর ভিন্ন সময়ে হচ্ছিল। পুরোহিতেরা লক্ষ করেছিলেন, নীল নদের বন্যার সঙ্গে বা কৃষিকাল সূচনার সঙ্গে আকাশের একটি নিবিড় সম্বন্ধ রয়েছে। আকাশের উজ্জ্বল তারা লুব্ধক বছরের যে সময়ে সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে পূর্বাকাশে উদিত হয়, সে সময়ই নীল নদের জলে প্লাবন জাগে। এই তারার নাম ছিল ‘সোথিস’। সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে সোথিসের উদয় ছিল একটি নিয়মিত ঘটনা এবং প্রতি ৩৬৫.২৫ দিন পর ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। অর্থাৎ ৩৬৫ দিনে যদি আমরা বছর ধরি, তাহলে ৪ বছর পরপর অতিরিক্ত ১ দিন যোগ করা লাগবে। সে বছরটি হবে ‘লিপইয়ার’ বা অধিবর্ষ। এটি মিসরীয়দের উদ্ভাবন। লুব্ধকের উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগতি রেখে ১৪৬১ বছরের একেকটি পর্যায়কালকে বলা হতো ‘সোথিসকাল’।

মিসরীয়রা বিশ্বকে মনে করত একটি বাক্সের মতো। ভূপৃষ্ঠ সম্বন্ধে তাদের ধারণা ছিল—এটি অবতল। মিসরকে তারা মনে করত পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল। চারপাশে একটি প্রকাণ্ড নদী ভূতলকে ঘিরে আছে। এসব ধারণার কারণ ছিল মিসরের ভৌগোলিক আকৃতি। আকাশের তারা সম্পর্কে মিসরীয়দের পর্যবেক্ষণ ছিল, মঙ্গল (দোশিবির) গ্রহের বক্রগতি সম্পর্কেও তারা অনুমান করেছিল। শুক্র গ্রহ যে শুকতারা ও সন্ধ্যাতারা এই দুই রূপে দেখা যায়, তা তারা জানত। কালপুরুষকে তারা কল্পনা করত দেবতা অসিরিস হিসেবে। তাঁর কোমরবন্ধের তিনটি তারাকেও মিসরীয়রা নির্ণয় করতে পেরেছিল। সেকালের মিসরে ৩৬টি তারামণ্ডল প্রচলিত ছিল। শুধু বর্ষপঞ্জি নয়, সূর্যঘড়িও মিসরীয়দের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার।

মিসরীয়দের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার প্যাপিরাস
ছবি: সংগৃহীত

এ ছাড়া মিসরীয়দের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো প্যাপিরাস। একরকমের নলখাগড়াজাতীয় গাছের গোড়া দিয়ে এটি তৈরি। নীলের জলাভূমিতে এ উদ্ভিদ প্রচুর জন্মাত। এটি লেখার উপকরণ বা কাগজের আদিরূপ। এর ওপর তুলি বা কালি দিয়ে লেখা হতো। লেখার জন্য এককালে যেসব বস্তু ব্যবহার করা হতো, যেমন হাড়, কাদামাটি, চামড়া ইত্যাদির তুলনায় প্যাপিরাস অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। ওই সব বস্তুতে লেখা ছিল দুরূহ এবং সেসব দীর্ঘকাল সংরক্ষণের উপযোগী ছিল না। এদিকে প্যাপিরাস ইচ্ছেমতো একটির সঙ্গে অপরটি আঠা দিয়ে জুড়ে দেওয়া যায় এবং দীর্ঘ আকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়। বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে এটি ৩ থেকে ১৮.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া হতো। দীর্ঘতম প্যাপিরাস যেটি পাওয়া গেছে, তার দৈর্ঘ্য ১৩৩ ফুট, বিস্তার ১৬.৫ ইঞ্চি! মিসরের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এই প্যাপিরাসগুলো দীর্ঘকাল ধরে সংরক্ষণ করে রাখা গেছে। আর বহু প্রাচীন দলিলাদি প্রায় অক্ষতরূপে আমরা পেয়েছি। প্যাপিরাসের কাছে মানবসভ্যতার অনেক ঋণ।

বলা হয়, জোসেফাস আব্রাহামের কাছে পাটিগণিত শেখেন। আব্রাহাম ক্যালিডিয়া থেকে পাটিগণিত মিসরে এনেছিলেন এবং গ্রিকরা পরে মিসরীয়দের কাছ থেকে গণিত শিক্ষা লাভ করেছিল। প্রত্যেক প্রাচীন গ্রিক পণ্ডিতের মতে মিসরীয়রাই গণিতের জন্মদাতা। তবে এ বিষয়ে সঠিক পরিচয় পেতে চাইলে আমাদের তাকাতে হবে প্রত্নতত্ত্বীয় গবেষণার দিকে। ব্রিটিশ জাদুঘরে সংরক্ষিত সুবিখ্যাত ‘আহমেস প্যাপিরাস’ প্রাচীন মিসরের গাণিতিক জ্ঞানের উজ্জ্বল নিদর্শন। এটি আনুমানিক ১৬৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আহমেস নামের জনৈক পুরোহিত লিখেছিলেন। যদিও এ রচনা তাঁর নিজের নয়। তাঁর আগের প্রজন্মের আরেক পুরোহিতের লেখার অনুলিপিমাত্র। মিসরীয়দের অঙ্কপাতন ছিল দশমিক পদ্ধতির। বড় বড় সংখ্যা তারা হিসাব করতে সক্ষম ছিল। হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে অনেক বড় বড় সংখ্যার উল্লেখ আছে। যেমন কোনো এক রাজার কথা উল্লেখ আছে, যিনি যুদ্ধে জয়ী হয়ে ১ লাখ ২০ হাজার বন্দী, ৪ লাখ বৃষ ও ১৪ লাখ ২২ হাজার ছাগল লাভ করেছিলেন। ঘটনা সত্য হলে বিরাট সাম্রাজ্য জয়, সন্দেহ নেই!

যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ—এই চার প্রক্রিয়ার সঙ্গে মিসরীয়দের পরিচয় ছিল। তবে তাদের গুণ করার পদ্ধতি ছিল আমাদের এখনকার পদ্ধতি থেকে অনেক আলাদা। তাদের রচনায় সমান্তর ধারা ও গুণোত্তর ধারার উল্লেখ পাওয়া যায়। সমান্তর ধারা মানে যে ধারায় প্রতিটি পদের সঙ্গে পরবর্তী পদের ব্যবধান সমান থাকে, যেমন ১, ৩, ৫, ৭... গুণোত্তর ধারায় সমান ব্যবধান না থেকে থাকে সমান অনুপাত, যেমন ২, ৪, ৮, ১৬

মিসরীয় ফারাওরা পরিকল্পনামাফিক নীল নদ থেকে সেচ প্রকল্প চালু করেছিল
ছবি: সংগৃহীত

তবে নিঃসন্দেহে মিসরীয়দের শ্রেষ্ঠ উৎকর্ষ ছিল জ্যামিতিতে। এ কথা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি। তাদের পাটিগণিত ও বীজগণিত ছিল ব্যাবিলনীয়দের তুলনায় নিম্নমানের। তারা ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বহুভুজ ক্ষেত্রফলসহ সিলিন্ডার ও পিরামিডের আয়তন নির্ণয় করতে পারত। ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ে তারা ১/২×ভূমি×উচ্চতা এই বিখ্যাত ও বহুল প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করত। বৃত্তের ক্ষেত্রফলও তারা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছিল এবং এখান থেকে π-এর মান ব্যাবিলনীয়দের তুলনায় অনেক নির্ভুলভাবে বের করেছিল। আয়তন নির্ণয়েও তাদের পদ্ধতিগুলো ছিল অনেক নির্ভুল।

মমি তৈরির মধ্য দিয়ে মিসরীয়রা বিস্ময়কর প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে। ফারাওদের দেহ মৃত্যুর পরও অক্ষুণ্ন রাখার অভিপ্রায়ে মমি তৈরির প্রক্রিয়া ছিল প্রায় নিখুঁত। পচন থেকে রক্ষা করতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মগজ ও পেটের অন্ত্রনালিগুলো বের করে ফেলা হতো।

এবার মিসরের চিকিৎসাবিদ্যার দিকে তাকানো যাক। রাজা জোসেরের অধীনে একজন স্থপতি পরবর্তী সময়ে পুরো মিসরের চিকিৎসাবিদ্যায় কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন। ধরা হয়, তিনি সারা বিশ্বের মধে৵ প্রাচীনতম চিকিৎসক। তিনি জোসেরের মন্ত্রী ইমহোটেপ। চিকিৎসায় তাঁর খ্যাতি এতই ছড়িয়েছিল, পরে তাঁকে দেবতাজ্ঞানে পূজা করা শুরু হয়। অবশ্য দেবতা বানাতে মিসরীয়দের জুড়ি মেলা ভার। মিসরে তৃতীয় রাজবংশের আমল থেকেই চিকিৎসাবিষয়ক গ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায়। এ রকম কয়েকটি প্যাপিরাস আজও সংরক্ষিত আছে। ব্যাবিলনীয়দের তুলনায় মিসরীয়দের চিকিৎসাপদ্ধতি উৎকৃষ্ট ছিল। তবে ওই সব প্রাচীন গ্রন্থে পৃথকভাবে রোগীর চিকিৎসাবৃত্তান্ত উল্লেখ করা হয়েছে শুধু। অ্যানাটমি বা অঙ্গসংস্থাপনবিদ্যা নিয়ে কোনো প্যাপিরাস এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে মৃতদেহ মমি আকারে সংরক্ষণ করতে গেলে এ বিষয়ে জ্ঞানের প্রয়োজন।

মমি তৈরির মধ্য দিয়ে মিসরীয়রা বিস্ময়কর প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে। ফারাওদের দেহ মৃত্যুর পরও অক্ষুণ্ন রাখার অভিপ্রায়ে মমি তৈরির প্রক্রিয়া ছিল প্রায় নিখুঁত। পচন থেকে রক্ষা করতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মগজ ও পেটের অন্ত্রনালিগুলো বের করে ফেলা হতো। এরপর দেহের কাঠামো অবিকৃত রাখতে পেটের ফাঁকা জায়গায় গুঁজে দেওয়া হতো কাপড় বা কাঠের গুঁড়া। ভেষজ কোনো জীবাণুনাশকে তারা মৃতদেহটি ভিজিয়ে রাখত, এরপর এর ওপর পুরো শরীরে একরকমের প্রলেপ দেওয়া হতো, এরপর কাপড়ে পেঁচিয়ে পচনরোধী তরলে ভিজিয়ে রাখলে ধীরে ধীরে পুরো শরীর জমাট বেঁধে যেত কাপড়ের সঙ্গে। অত প্রাচীনকালে তাদের ভেষজ ও ব্যবহারিক রসায়নের জ্ঞান সত্যিই মোহিত করে। তবে রোগ সারানোর ব্যাপারে মিসরীয়দের প্রক্রিয়া সুবিধার ছিল না। এ ব্যাপারে নানা তন্ত্রমন্ত্র, ভূত-প্রেতসংক্রান্ত অব্যবস্থাই প্রচলিত ছিল বেশি। তবে শল্যবিদ্যায় তারা বেশ কৃতিত্বপূর্ণ জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছে। এর প্রমাণ মমি তৈরির কৌশলেই আমরা পাই। এ বিষয়ে এডউইন প্যাপিরাসে বিখ্যাত একটি বই খুঁজে পাওয়া গেছে। ওটি লেখা হয়েছিল পিরামিড যুগে। ওই বইয়ে নানা রকমের ক্ষত ও আঘাতের শ্রেণিবিন্যাস করতে দেখা যায়। ক্ষতের প্রকার, বিবরণ ও চিকিৎসাপদ্ধতি সেখানে লিপিবদ্ধ আছে। সেখানে ১৪ রকমের আঘাতের বিবরণ লিপিবদ্ধ রয়েছে, যেগুলোকে বলা হচ্ছে দুরারোগ্য। পিরামিডের যুগে মিসরে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন বলে জানা যায়। চতুর্থ রাজবংশের রাজত্বকালের একটি সমাধিতে প্রাপ্ত চোয়ালের হাড়ে অস্ত্রোপচারের নমুনা পাওয়া যায়। আবার ষষ্ঠ রাজবংশের যিনি প্রধান চিকিৎসক, তিনি একাধারে দাঁত, চোখ ও পাকস্থলীর চিকিৎসক ছিলেন। সে সময়ের চিকিৎসকেরা হৃৎপিণ্ডকে খুব গুরুত্ব দিতেন। নাড়ির স্পন্দন সম্পর্কেও তাঁরা ধারণা রাখতেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মিসরীয়দের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান হচ্ছে, মেটিরিয়া মেডিকা বা ওষুধসূচি নির্ণয়। তাদের চিকিৎসাসংক্রান্ত জ্ঞান পরবর্তী সময়ে গ্রিকদের হাত ধরে ইউরোপে প্রবেশ করেছে।

লেখক: ইনভেস্টিগেশন অফিসার, পরিবেশ অধিদপ্তর

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, লাইভ সায়েন্স

আরও পড়ুন