চাঁদের বুড়ো

বিরাট এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। পৃথিবীর বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা সব এসেছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তর থেকে। সাধারণ মানুষেরা বিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন, বিজ্ঞানীরা তার উত্তর দেবেন। মহা আয়োজন।

সেই যে...‘সিঙ্গেল স্টেপ অব এ ম্যান ইজ আ জায়ান্ট স্টেপ ফর ম্যানকাইন্ড...ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তারপর নাকি তিনি মৃদু হেসে ফিস ফিস করে আরেকটি কথা বলেছিলেন। সেটা হচ্ছে, গুড লাক মি. গ্রস্কি!

তারপর একসময় শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব। একজন হাত তুলল—

-             বলুন আপনার কী প্রশ্ন। মঞ্চে বসা বয়স্ক বিজ্ঞানী জানতে চাইলেন।

-             আমি চাঁদের বুড়ি সম্পর্কে জানতে চাই। সে কি সত্যি সত্যি চাঁদে বসে চরকা কাটে?

প্রশ্ন শুনে বিজ্ঞানী রেগে গেলেন। চিত্কার করে করে উঠলেন তিনি।

-             দেখুন, এটা রূপকথার ক্লাস নয়, এটা বিজ্ঞান সম্মেলন হচ্ছে, বিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করুন।

-             সে ক্ষেত্রে কি আমি চাঁদের বুড়ো নিয়ে প্রশ্ন করতে পারি? সেই লোক আবার হাত তুলে বলে।

-             চাঁদের বুড়ো মানে? সেটা আবার কে?

-             আমি নীল আর্মস্ট্রংয়ের কথা বলছিলাম, তিনি ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন!

-             উফ!  বিজ্ঞানী মাথায় হাত দিয়ে চেপে ধরে বসে পড়লেন।

ওই সম্মেলনে সেই প্রশ্নকারী শেষ পর্যন্ত নীল আর্মস্ট্রং সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন কি না, জানা যায়নি। বরং আমরা একটু জানার চেষ্টা করি। আর্মস্ট্রং যখন চাঁদে পা রাখেন (বাঁ পা রেখে নেমেছিলেন কি না, সেটা জানা সম্ভব হয়নি) তখন তিনি তাঁর সেই বিখ্যাত ডায়ালগ দেন। সেই যে...‘সিঙ্গেল স্টেপ অব এ ম্যান ইজ আ জায়ান্ট স্টেপ ফর ম্যানকাইন্ড...ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তারপর নাকি তিনি মৃদু হেসে ফিস ফিস করে আরেকটি কথা বলেছিলেন। সেটা হচ্ছে, গুড লাক মি. গ্রস্কি!

আরও পড়ুন

বহু বছর পর এই রহস্য ফাঁস হয়। কেন এটা আর্মস্ট্রং বলেছিলেন? আর্মস্ট্রং যখন খুব ছোট, তখন একদিন খেলছিলেন। তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন মি. অ্যান্ড মিসেস গ্রস্কি। সেদিন তাঁদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে মিসেস গ্রস্কি চেঁচিয়ে উঠলেন ‘হ্যাঁ তোমার এটা সেদিনই সম্ভব হবে, যেদিন পাশের বাসার ওই ছোট্ট ছেলেটা  চাঁদে যাবে!’