এক তরুণ বিজ্ঞানী বিয়ে করবেন। তিনি একজন যোগ্য পাত্রী খুঁজতে লাগলেন। তাঁর বয়স হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তিনি যোগ্য পাত্রী খুঁজতেই লাগলেন, খুঁজতেই লাগলেন। তাঁর পরিচিত বন্ধুরা জানতে চাইল—
—কী হলো, তুমি বিয়ে করছ না কেন?
—একজন যোগ্য পাত্রী খুঁজছি।
—এখনো কোনো যোগ্য পাত্রী পাওনি?
—পেয়েছিলাম একজনকে।
—তারপর?
দীর্ঘশ্বাস ফেললেন বিজ্ঞানী, ‘সে–ও একজন যোগ্য পাত্র খুঁজছে যে!’
দ্বিতীয় আরেক বিজ্ঞানী, তিনি অবশ্য সময়মতো বিয়ে করেছেন এবং সময়মতো ডিভোর্সও হয়ে গেছে। এখন দিব্যি সিঙ্গেল সময় কাটাচ্ছেন। বন্ধুরা তাঁকে ধরল, ‘কী হে, এখনো তো বয়স আছে, আরেকটা বিয়ে করে ফেল। তা ছাড়া তুমি নামকরা সেলিব্রিটি বিজ্ঞানী, তোমাকে যে কেউ বিয়ে করতে রাজি হবে।’
—তা হবে হয়তো।
—তাহলে করছ না কেন?
—কিন্তু আমি যে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটাচ্ছি।
—মানে? বন্ধুরা জানতে চায়।
—কেন, জানো না, ডিভোর্সের পর এবং দ্বিতীয় বিয়ের আগের সময় হচ্ছে সব পুরুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।
ফাইনম্যান চরম বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘এ চেঁচামেচি সকালেও তো করা যেত, নাকি?’ এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ বিজ্ঞানী বিবাহিত জীবনে অসুখী।
এবার একজন সত্যি বিজ্ঞানীর কাছে যাওয়া যাক। পৃথিবীর বিখ্যাত পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান গভীর রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ ফোন বেজে উঠল। বিরক্ত ফাইনম্যান বললেন, ‘কে?’
ওপাশে এক সাংবাদিক উত্তেজিত গলায় জানাল, ‘স্যার, আপনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।’
ফাইনম্যান আরও বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘খবরটা তো সকালেও জানানো যেত। এত রাতে ঘুম ভাঙানোর মানে কী?’
ওদিকে স্ত্রীর ঘুমও ভেঙে গেছে, তিনি জানতে চাইলেন—
—কে ফোন করেছিল?
—আরে, আমি নাকি নোবেল পেয়েছি।
—সত্যি? স্ত্রী এবার আনন্দে চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু করে দিলেন।
ফাইনম্যান চরম বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘এ চেঁচামেচি সকালেও তো করা যেত, নাকি?’
এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ বিজ্ঞানী বিবাহিত জীবনে অসুখী। কারণ হিসেবে তাঁরা দেখিয়েছেন হাইজেনবার্গের সেই বিখ্যাত অনিশ্চয়তার সূত্র—‘গতি পেলে অবস্থান খুঁজে পান না, আর অবস্থান খুঁজে পেলে গতি হারিয়ে ফেলেন।’