মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ক্লিপার নভোযান। গত ১৪ অক্টোবর, সোমবার স্পেস এক্সের ফ্যালকন হেভি রকেটের সাহায্যে এ নভোযান উৎক্ষেপণ করা হয়। গ্রহদানব বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা জীবনের জন্য উপযুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখতে নাসা এই অভিযান পরিচালনা করছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই ইউরোপায় নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নানা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বেশ কবার এ মিশন পিছিয়ে যায়। অবশেষে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হলো নভোযানটি। এটি সঙ্গে নিয়ে গেছে মার্কিন কবি অ্যাডা লিমনের কবিতা, লাখ লাখ মানুষের নাম ও ১০৩ ভাষায় ‘পানি’ শব্দের রেকর্ডিং।
বিজ্ঞানীদের মতে ইউরোপায় গভীর সাগর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইউরোপার পৃষ্ঠের নিচে রয়েছে পুরু বরফের আস্তরণ। দেখতে অনেকটা পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফাবৃত সাগরের মতো। বরফের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে গভীর খাদ। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেখানে থাকতে পারে প্রাণও।
বরফের নিচে ৬০ মাইল গভীর সাগর থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদি সত্যিই এমন গভীর সাগর থাকে ইউরোপায়, তাহলে তা হবে পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর সাগরের চেয়েও ১০ গুণ গভীর। আসলেই সেখানে সাগর বা প্রাণ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতেই নাসার এ অভিযান।
এ মিশনের আরেকটি লক্ষ্য হলো, ইউরোপায় জীবনধারণে সক্ষম জায়গা থাকলে তা খুঁজে বের করা। সে জন্য বরফপৃষ্ঠ পরীক্ষা করা হবে এ মিশনে। ইউরোপার পৃষ্ঠের উপরিভাগের গঠন তদন্ত করে পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হবে। উপগ্রহটিতে যদি একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়াও খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে তা হবে মানবজাতির জন্য এক বিশাল অর্জন।