উচ্চ মাত্রায় চার্জিত বস্তুর কাছাকাছি থাকা কি বিপজ্জনক

আন্তজেলা বিদ্যুৎ–সংযোগের গ্রিড লাইনগুলো উঁচু বিদ্যুৎ খুঁটির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এগুলো উচ্চ মাত্রার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন। অনেক ক্ষেত্রে ৪০০ কিলোভোল্টের। সাধারণত বাসায় ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বিদেশে আরও কম, বাসায় ব্যবহারের জন্য ১১০ ভোল্টের বিদ্যুৎও সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ বাসায় নিত্য ব্যবহারের জন্য কম ভোল্টের বিদ্যুৎ কিন্তু সরবরাহ লাইনে বেশি ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই নিয়ম। এতে বিদ্যুতের অপচয় কম হয়। কিন্তু এসব উঁচু ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনের কাছাকাছি গেলেও কোনো ব্যক্তি তড়িতাহত হতে পারেন। বেশি ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে অনেক সময় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের সেখানে কাজ করতে হয়। কিন্তু সাবধান থাকতে হয়। কারণ, খুব বেশি মাত্রার বিদ্যুৎ–চার্জিত বস্তুতে অতিরিক্ত পজিটিভ বা নেগেটিভ বিদ্যুৎ চার্জ থাকে। এ অবস্থায় কোনো ব্যক্তি বা বস্তু ওই ধরনের উচ্চ মাত্রার চার্জিত বস্তুর কাছাকাছি গেলে অতিরিক্ত চার্জ বাতাসের বাধা অতিক্রম করে ওই ব্যক্তি বা বস্তুর মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে মাটির সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তাহলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।

আরও পড়ুন

তাই সাধারণত কাজ করার সময় ওই এলাকার বিদ্যুতের লাইন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় যে জরুরি কাজের জন্য বিদ্যুৎ নির্দিষ্ট সময় বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা জরুরি। কারণ, গ্রামাঞ্চলে মাঠ বা খেত–খামারের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন নেওয়া হয়। কোনো শিশু বা তরুণ কিছু না বুঝেই শুধু কৌতূহলের বশে হয়তো বিদ্যুতের খুঁটি বেয়ে ওপরে উঠতে পারে। তখন বৈদ্যুতিক তারের কাছাকাছি গেলেই তার মারাত্মক বৈদ্যুতিক শকে আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার শহরে হয়তো কোনো ফ্ল্যাটের জানালার পাশ ঘেঁষে রাস্তার বিদ্যুৎ লাইন থাকে। কোনো শিশু হয়তো হাত বাড়িয়ে দিলে তার স্পর্শ না করলেও বিদ্যুতাহত হতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন