শেষ হলো এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত বাছাই পর্ব। গত ২৯-৩০ জুলাই রাজধানীর আফতাব নগরের ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত হয় এ অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত বাছাই পক্রিয়া। এ পর্বে সারা দেশের নির্বাচিত ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে নির্বাচন করা হয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থীকে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হলেন সিনিয়র গ্রুপে রাজধানীর হীড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সপ্তর্ষি রহমান ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাডিট রাইয়ান। জুনিয়র গ্রুপে যশোরের পুলিশ লাইন সেকেন্ডারী স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মকদুম আমীন, রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসাইন এবং খুলনার সাউদ হেরাল্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়ান্তন রয়।
এই পাঁচজন আগামী ২০-২৭ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ওপেন ওয়ার্ল্ড অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এছাড়া তাঁরা ২৯তম আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড ও এশিয়ান-প্যাসিফিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডেও অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
১ম ও ২য় পুরস্কার দেওয়া হয় যথাক্রমে ১৫ ও ১০ হাজার টাকা। ৩য়-৫ম স্থানের জন্য প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা এবং ৬ষ্ঠ-১০ম স্থানের জন্য পুরস্কার ছিল ১ হাজার টাকা।
এর আগে, এই অলিম্পিয়াড মোট তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রথম রাউন্ডে লিখিত পরীক্ষা, টেলিস্কোপে সূর্য পর্যবেক্ষণ এবং রকেট মডেল তৈরির প্রতিযোগিতাসহ পরিচালিত হয় নানা কার্যক্রম। প্রথম রাউন্ড থেকে বাছাইকৃত ৩০০ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় রাউন্ড। এরপর সেখান থেকে নির্বাচিত ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজিত হয় তৃতীয় রাউন্ড। এই শেষ রাউন্ড থেকেই সেরা ৫ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে।
চূড়ান্ত বাছাই পর্বে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় অর্থমূল্য। ১ম ও ২য় পুরস্কার দেওয়া হয় যথাক্রমে ১৫ ও ১০ হাজার টাকা। ৩য়-৫ম স্থানের জন্য প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা এবং ৬ষ্ঠ-১০ম স্থানের জন্য পুরস্কার ছিল ১ হাজার টাকা।
এ অলিম্পিয়াড আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। টাইটেল স্পন্সর এপেক্স। সহযোগিতায় ছিল গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমটিবি, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লি., ওয়াচেস ওয়ার্ল্ড, এডিএন টেলিকম, দৈনিক প্রথম আলো ও দূরন্ত টিভি।