শেষ হলো আবদুল জব্বার জ্যোতির্বিজ্ঞান কর্মশালার ১৭তম আসর। রাজধানীর গ্রিন সিটি সেন্টারে ২২-২৪ মে আয়োজিত হয় তিন দিনের এই কর্মশালা। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।
কর্মশালার প্রথম দিনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বুয়েট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। এরপর আয়োজনের সমন্বয়ক খাদিজা সুলতানা বাংলাদেশের মহাকাশবিজ্ঞানের পথিকৃৎ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তুলে ধরেন তাঁর জীবনী। প্রথম দিনের আলোচনায় আরও ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্থানাঙ্ক ব্যবস্থাপনা। শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে অংশ নিয়ে শেখে মহাকাশ মানচিত্র ও স্থানাঙ্ক নির্ধারণ। এরপর অনলাইনে যুক্ত হয়ে পর্যবেক্ষণভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলাইনার সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন।
দ্বিতীয় দিনে আলো ও বর্ণালির বৈজ্ঞানিক রহস্য উন্মোচন করেন জাতীয় জাদুঘরের কিউরেটর সুকল্যাণ বাছাড়। ভারত থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সোলার অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে আলোচনা করেন বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ কর্মসূচির প্রজেক্ট ম্যানেজার অভিক দাসগুপ্ত। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে হাতেকলমে কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাসনিম মাহফুজ। গ্যালাক্সি ক্লাস্টার ও প্রোটোক্লাস্টার বিষয়ক এক সেশনে যুক্ত হন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর পোস্টডক ফেলো সাইয়্যেদ লামমিম আহাদ।
সবচেয়ে প্রত্যাশিত পর্ব ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। তারপর নক-বিডির সদস্য জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় হাতেকলমে অ্যাস্ট্রো ফটোগ্রাফি সেশন।
শেষ দিন রওনক শাহরিয়ার সৌরজগৎ নিয়ে সহজভাবে আলোচনা করেন। এরপর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক বিমান নাথ অনলাইনে যুক্ত হয়ে আলোচনা করেন নক্ষত্রের গঠন ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে। কসমোলজির গাণিতিক দিক তুলে ধরেন মোহাম্মদ মাহমুদ-উল-হাসান। এরপর ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সিলেন্স ম্যানেজার ফাতেমা জেরিন মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ নিয়ে আলোচনা করেন। এলিয়েনদের অস্তিত্ব ও অনুসন্ধান নিয়ে শেষদিকে মঞ্চে আসেন ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী।
সবচেয়ে প্রত্যাশিত পর্ব ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। তারপর নক-বিডির সদস্য জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় হাতেকলমে অ্যাস্ট্রো ফটোগ্রাফি সেশন। সবশেষে টেলিস্কোপে চাঁদ, গ্রহ ও নক্ষত্রমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করেন অংশগ্রহণকারীরা।
এই কর্মশালার মূল আয়োজক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের ন্যাশনাল আউটরিচ কোঅর্ডিনেটর বাংলাদেশ (নক-বিডি)। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি এবং ইউনিভার্স অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম।