বিজ্ঞান উৎসব
যে প্রজেক্টগুলো কখনো করা যাবে না
আলু থেকে বিদ্যুৎ কিংবা গ্রিন মডেল সিটি—এ ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে বিজ্ঞান উৎসবে আসে অনেকেই। এই লেখায় বিজ্ঞান প্রজেক্টে আগ্রহীরা জানতে পারবে, কোন প্রজেক্টগুলো করা যাবে না, কেন করা যাবে না।
এক স্কুলের বিজ্ঞান মেলায় গিয়েছিলাম। চারদিকে সাজ সাজ রব। স্বেচ্ছাসেবীরা ছোটাছুটি করছে। দেখা হলেই বলছে, ‘ভাই, এই দিকে।’ এ ধরনের বিজ্ঞান মেলা স্কুলশিক্ষার্থীদের পরিচিত। যা–ই হোক, কিছু প্রজেক্ট দেখতে গিয়ে আমার মাথায় হাত। সর্বনাশ, করেছেটা কী! পুরো ঢাকার যানজট সমস্যার সমাধান করে নিয়ে এসেছে এক ছেলে। সমাধানটা অদ্ভুত। পুরো শহর একদম আদর্শ শহর হয়ে গেছে। বড় বড় বিল্ডিংয়ের মডেল বানানো হয়েছে। প্লাস্টিকের বোতল কুচি কুচি করে বিল্ডিংয়ের পাশে ঘাস লাগানো হয়েছে। সেখানে চরছে প্লাস্টিকের গরু!
দর্শনার্থীরা মুগ্ধ চোখে দেখছেন, ‘এত সুন্দর শহর!’
আমি কৌতূহল আটকে রাখতে পারলাম না। জিজ্ঞাসা করলাম, শহরের যানজট কমবে কীভাবে?
‘আমরা সব কটি গাড়ি সরিয়ে ফেলব। সবাইকে সাইকেলে চড়তে বলব।’
‘ইমার্জেন্সি গাড়ি, যেমন অ্যাম্বুলেন্সের কী হবে?’
‘ওগুলো থাকবে।’
খানিকটা হতাশ হলাম। ওরা যেন মনে কষ্ট না পায়, তাই ওদের আর বলিনি, এ ধরনের প্রকল্প অনুসারে শহর বানালে সিটি করপোরেশনের কোনো প্রয়োজন হবে না। ‘নগর–পরিকল্পনা’ বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। এত এত বিশেষজ্ঞেরও আর দরকার নেই। তবে এসব কথা আমি ওদের সেদিন বলিনি। তার চেয়ে ভাবলাম, কী ধরনের প্রকল্প করা প্রয়োজন, এ নিয়ে উৎসাহমূলক কথা অনেকেই বলেন। কিন্তু কী করা যাবে না, তা হয়তো স্পষ্টভাবে বলা হয় না। সে জন্য অনেকেরই হয়তো এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা নেই। তাই এই লেখা লিখতে বসা।
শুরুতেই একটা সাধারণ মূলনীতি বলে দিই। যে প্রকল্প কোনো সমস্যার সমাধান করে না কিংবা এর চেয়ে ভালো বিকল্প ইতিমধ্যেই রয়েছে, এমন প্রকল্প করবে না।
চমক দেখানো নয়, সত্যিকার প্রোটোটাইপ বানাও
বিজ্ঞান উৎসব বা যেকোনো বিজ্ঞান প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে তুমি যদি অংশ নিতে চাও, তাহলে দর্শক বা ভিজিটরদের চমকে দেওয়াটা তোমার মূল উদ্দেশ্য হতে পারবে না। অনেকে এমন প্রজেক্ট নিয়ে আসে, যেখানে উদ্দেশ্যই থাকে উপস্থিত সবাইকে চমকে দেওয়া। দেখা গেল, সে এমন একটা রোবোটিক গাড়ি নিয়ে এসেছে, যেটায় অদ্ভুত আলো জ্বলে, বাজার দিয়ে শব্দ করে ছুটে যায়। এটা দেখিয়ে সে হয়তো বলে, ‘কোথাও আগুন লাগলে এই রোবট দিয়ে উদ্ধার করব।’ কিন্তু সত্যি সত্যি আগুন লাগিয়ে রোবটটিকে আগুনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে দেখা যাবে, ওটা সরাসরি পুড়ে গেছে। এ ধরনের প্রজেক্ট আসলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বা সমাজে কোনো কাজে লাগে না।
প্রজেক্ট বানানোর পর বিচারকেরা কিন্তু দেখেন এর পেছনে বৈজ্ঞানিক নীতি মানা হয়েছে কি না। এর কার্যকারিতা কেমন। বাস্তবে এটি কাজ করবে কি না। সায়েন্স প্রজেক্ট কথাটার মধ্যে যে ‘সায়েন্স’ শব্দটা আছে, এটা তোমাকে বুঝতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ইলন মাস্কের একটা উক্তি বলি। ‘তুমি যদি কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে চাও, তাহলে সবার আগে তোমার একটা ওয়ার্কিং প্রোটোটাইপ (মডেল) বানানো উচিত;’ অর্থাৎ তুমি যে দাবিটা করছ, সেই দাবি করা কাজটা তোমার প্রোটোটাইপ করতে পারে কি না, সেটা তোমাকে নিশ্চিত করতে হবে। রকেটের মতো দেখতে, কিছু তার ও পাইপ আছে সঙ্গে—এ রকম রকেটের মডেল বানানোর মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই।
তোমার নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা তুলে ধরার জন্যই বিভিন্ন বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়। আর বিজ্ঞান উৎসবে আমরা চাই তোমার মেধার চূড়ান্ত প্রতিফলন। তোমার লক্ষ্য যদি হয় শুধু পুরস্কার বাগানো বা সবাইকে চমকে দেওয়া, তাহলে বড় সম্ভাবনা আছে, তুমি ভুল পথে এগোচ্ছ। বরং তোমার এমন একটা প্রজেক্ট বানাতে হবে, যেটার শুরুটা তুমি এখন করবে। যতটা বিজ্ঞান বোঝো, যতটুকু প্রযুক্তিগত ধারণা আছে, ততটুকু করবে। এরপর ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে কিংবা তোমার প্রজেক্ট ভালো হলে, সেটা হতে পারে সমাজের কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ (অনেক বড় না হলেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে) সমস্যার সমাধান করবে। তাতে মানুষেরও উপকার হবে, তোমারও একটা কাজের কাজ করা হবে এবং বড় পরিসরে তুমি হয়তো সেটার স্বীকৃতিও পাবে।
সে জন্য তোমাকে একটা প্রজেক্ট ধীরে ধীরে ডেভেলপ করতে হবে। কোনো সমস্যার সমাধান দিতে চাইলে, সেটা ধীরে ধীরে সময় নিয়ে উন্নত করতে হবে। বিজ্ঞান উৎসবের সাত দিন আগে দুই বন্ধুকে ডেকে নিয়ে যদি বলো, ‘চল, একটা প্রজেক্ট বানাই’—এভাবে হয়তো তুমি তোমার জীবনের প্রথম প্রজেক্টটা করতে পারো। তবে পরের কোনো প্রজেক্ট এভাবে বানানোর আসলে কোনো মানে নেই।
প্রজেক্ট বানানোর পর বিচারকেরা কিন্তু দেখেন এর পেছনে বৈজ্ঞানিক নীতি মানা হয়েছে কি না। এর কার্যকারিতা কেমন। বাস্তবে এটি কাজ করবে কি না। সায়েন্স প্রজেক্ট কথাটার মধ্যে যে ‘সায়েন্স’ শব্দটা আছে, এটা তোমাকে বুঝতে হবে। এই সায়েন্স দিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন বা সমস্যার উত্তর খোঁজা হয়। এর জন্য একটি হাইপোথিসিস বা অনুমান করতে হয়। এরপর এটা প্রমাণ করতে হয়। তোমাকে প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্টের সময় আইডিয়াটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কী তথ্য আছে এ বিষয়ে, সেটা জানতে হবে। বিশ্লেষণ করতে হবে। শেষমেশ একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠিত ধারণাকে শুধু মডেল বা পোস্টার দিয়ে প্রদর্শন করলে হবে না। নিউটনের তৃতীয় সূত্র বোঝাতে শুধু বন্ধুকে ধাক্কা দিয়ে দেখালে প্রজেক্ট হবে না।
অবাস্তব প্রজেক্ট থেকে দূরে থাকো
কিছু প্রকল্প আছে, যা দেখতে বিজ্ঞানের মতো লাগলেও সেগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। যেমন আলু বা লেবু দিয়ে বড় পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এই মডেল অনেকেই বানায়। এটি একটি মৌলিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রদর্শনী। এর মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ এত কম যে এর কোনো ব্যবহারিক উপযোগিতা নেই। বড় পরিসরে এটি বাস্তবে কাজ করে না।
আলুর ভেতরে কিছু রাসায়নিক শক্তি থাকে, যা বিদ্যুৎ–শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আলু বা লেবুর মধ্যে থাকা অ্যাসিড (যেমন লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড) একটি তড়িৎ–বিশ্লেষ্য বা ইলেকট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে। দুটি ভিন্ন ধাতুর পাত (যেমন তামা ও দস্তা) এই অ্যাসিডের সংস্পর্শে এলে একটি ছোট গ্যালভানিক কোষ তৈরি হয়। দস্তা ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং তামা সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে। এই ইলেকট্রনের প্রবাহই বিদ্যুৎ। এভাবে ০.৫ থেকে ১.০ ভোল্ট বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। এটি এত কম যে এটি বাস্তবে কাজে লাগানো যায় না। বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ পেতে হলে টন টন আলু লাগবে এবং প্রচুর জায়গা লাগবে। এসব হিসাব করলে দেখবে, এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করার চেয়ে না করা ভালো।
কেউ কেউ সৌরজগতের মডেল বা গ্রহের গতিপথের মডেল বানিয়ে নিয়ে আসে। সৌরজগৎ চেনার জন্য এটি ভালো উপায়। তবে প্রজেক্ট হিসেবে এটি চলবে না।
একইভাবে যখন দেখবে, কেউ এমন একটা যন্ত্র বানানোর আইডিয়া দিয়েছে, যেটা তেল বা বিদ্যুতের মতো শক্তি ছাড়াই দিনের পর দিন চলতে থাকবে, তখন বুঝবে, এটি ভুল। এটি পদার্থবিজ্ঞানের তাপগতিবিদ্যার সূত্র মানে না। বাইরে থেকে শক্তি দেওয়া ছাড়া কোনো যন্ত্র অবিরাম চলতে পারে না। এর বাইরে পানি দিয়ে তেল বানানো, কোনো গাড়িকে কোনো ফুয়েল ছাড়াই চালানো, এগুলো অবাস্তব ধারণা। মনে রাখবে, পানি (H2O) ও তেল (Hydrocarbon) সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি রাসায়নিক যৌগ। এদেরকে একে অপরের রূপে পরিবর্তন করা সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব নয়। এমন আইডিয়া মাথায় এলে, সেটা ঝেড়ে ফেলো। বিজ্ঞান বইটা খুলে বসো, আবার চিন্তা করো।
একটি সফল বিজ্ঞান প্রজেক্টের ক্ষেত্রে কিন্তু দেখতে সুন্দর কি সুন্দর নয়, এটা বড় কথা নয়। এর পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আছে কি না এবং বাস্তবে সেটা কাজ করে কি না, সেটাই বড় কথা। শোলা বা কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি শহরের মডেল শিল্পকর্ম হতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞান প্রজেক্ট নয়। কোনো পরীক্ষা–নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ বা তথ্য বিশ্লেষণ না থাকলে একে প্রজেক্ট বলা যাবে না।
প্রজেক্টের আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তোমার প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্টের পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টেশন আছে কি না। কোন ধাপে কীভাবে প্রজেক্টটি এগিয়ে নিয়েছ, সেটা অবশ্যই নোটবুক ও একটি পোস্টারে থাকা উচিত। নোটবুকে তোমার প্রকল্পের প্রতিটি ধাপ, চিন্তা, পরীক্ষা, ডেটা ও ফলাফল বিস্তারিতভাবে লেখা থাকতে হবে। অন্যদিকে পোস্টারে তোমার প্রকল্পের সারসংক্ষেপ, যা পুরো প্রজেক্টের বিষয়টি দর্শক সহজে চোখে দেখতে পারে। নোটবুক নেই, এমন প্রজেক্ট করাই যাবে না। পোস্টার থাকাটাও উচিত, তবে সেটা কীভাবে বানাবে, তা ভেবে প্রজেক্ট বানানো বন্ধ করে দিয়ো না আবার।
কেউ কেউ সৌরজগতের মডেল বা গ্রহের গতিপথের মডেল বানিয়ে নিয়ে আসে। সৌরজগৎ চেনার জন্য এটি ভালো উপায়। তবে প্রজেক্ট হিসেবে এটি চলবে না। বিজ্ঞান উৎসবে বিচারকেরা দেখতে চান, তুমি কীভাবে একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা নিয়ে কাজ করছ, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করছ। এর ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছ কি না। শুধু মডেলের মাধ্যমে এটি করা সম্ভব নয়।
আরেকটি বিষয় মাথায় রেখো। রেডিমেড সার্কিট ব্যবহার করে অনেকে মডেল তৈরি করে। বাজারে পাওয়া যায়, ম্যানুয়াল দেখে ইলেকট্রনিক কিট ব্যবহার করে এ রকম মডেল সহজেই তৈরি করতে পারো তুমি। এ ধরনের প্রজেক্টে ব্যবহার করা সার্কিটগুলো সাধারণত আগে থেকেই ডিজাইন করা থাকে। এতে বোঝা যায় না যে তুমি সার্কিটের পেছনের মূল ইলেকট্রনিকসটুকু জানো কি না। তাই এটা দিয়ে কিছু দর্শককে তুমি মুগ্ধ করতে হয়তো পারবে, তবে বিচারকদের ভোলাতে পারবে না। তাই এই পথে না যাওয়াই ভালো।
প্রাণীর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, এমন কোনো পরীক্ষা করা যাবে না। পরীক্ষা করে পেয়েছ এক তথ্য, তোমার হাইপোথিসিস ছিল অন্য, তাই ডেটায় গোঁজামিল দিয়ে তথ্য মেলানোর চেষ্টা কোরো না।
তোমার স্কুলের বইয়ে যে বিষয়ে ধারণা নেই, সে বিষয়ে সাধারণত শিক্ষকেরা ধরে নেন তোমার ধারণা নেই। তবে আমাদের দেশে অনেক স্কুলের ছেলেমেয়ে দুই ক্লাস ওপরের গণিত বা বিজ্ঞানের বই পড়ে ফেলে, তাদের পক্ষে ওপরের দুই–তিন ক্লাসের বিজ্ঞান বইয়ের ধারণা নিয়ে কাজ করা সম্ভব। তবে পিএইচডি প্রোগ্রামের পড়াশোনা, মানে কঠিন বিষয়বস্তু, যেমন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা নিউরোসায়েন্সের মতো জটিল বিষয়গুলো তোমার জানা থাকার কথা নয়। তাই এই পথে পা না বাড়ানোই ভালো। স্কুলের পাঠ্যক্রমের ভেতরে থাকা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ধরে এগোনোর চেষ্টা করো। সাফল্য পাবে। কোডিং জানো না, কিন্তু সফটওয়্যার বানিয়ে ফেলেছ, সার্কিট বানিয়েছ, এমন প্রকল্প বানাবে না। কোডিং কপি করে লিখে রাখলেও বিচারকেরা এমন প্রশ্ন করবেন যে সঠিক উত্তর খুঁজে পাবে না। তবে তুমি যদি বুঝে বুঝে সত্যি সত্যি কোডিং করে দারুণ একটা এআই বানিয়ে ফেলতে পারো, সেটা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য।
প্রাণীর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, এমন কোনো পরীক্ষা করা যাবে না। পরীক্ষা করে পেয়েছ এক তথ্য, তোমার হাইপোথিসিস ছিল অন্য, তাই ডেটায় গোঁজামিল দিয়ে তথ্য মেলানোর চেষ্টা কোরো না। তোমার প্রকল্প বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সফল হয়নি, এটিও একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা। অন্তত আমরা এই গবেষণা থেকে জানতে পারব, এভাবে বিষয়টি কাজ করে না। বিজ্ঞান উৎসবের আসল উদ্দেশ্য হলো, বিজ্ঞানের প্রতি তোমার ভালোবাসা তৈরি করা। তোমাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজের সুযোগ করে দেওয়া, সত্যিকারের বিজ্ঞানচর্চার পথে এগিয়ে দেওয়া। তুমি যেন হিসাব–নিকাশ, খাটাখাটুনি বা তত্ত্বের ভিড়ে বিজ্ঞানের আনন্দটুকু পাও, সেটাই বিজ্ঞান উৎসবের মূল চাওয়া।