ধারাবাহিক
দ্য ম্যান হু নিউ ইনফিনিটি – ৩
মাদ্রাজের সামান্য কেরানি থেকে কেমব্রিজের ফেলো—শ্রীনিবাস রামানুজনের জীবন যেন এক রূপকথা। দেবী নামাগিরি নাকি স্বপ্নে এসে তাঁকে জটিল সব সূত্র বলে যেতেন! কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছাড়াই যিনি অসীমকে জয় করেছিলেন। তাঁর এই নাটকীয় জীবন নিয়েই রবার্ট কানিগেল লিখেছেন দ্য ম্যান হু নিউ ইনফিনিটি। রামানুজনের সেই জীবনী ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করছেন কাজী আকাশ।
অধ্যায় এক
মন্দিরের স্নিগ্ধ ছায়ায়
কুম্বকোনম শহরটা ছিল কাবেরী আর আরসালা নদীর মাঝে সাজানো গ্রিড সিস্টেমের মতো। এর মাঝখানে সারঙ্গপানি সান্নিধি স্ট্রিটে ছিল রামানুজনের বাড়ি। রাস্তাটা প্রায় ৩০ ফুট চওড়া। দুপাশে ছোট ছোট সব বাড়ি। খড়ের চালের একতলা বাড়িটি রাস্তা থেকে প্রায় ১০ ফুট ভেতরে। সামনে দুই ধাপের বারান্দা। রাস্তার ধুলো-বালু থেকে বাঁচতে এই ব্যবস্থা।
১২ ফুট চওড়া দেয়ালের বাঁ দিকে একটা জানালা আর ডানদিকে দরজা। দরজার সামনে দাঁড়ালে বাড়ির ভেতর দিয়ে সোজা পেছনের খোলা উঠান দেখা যেত। সেখানে রোদ ঝিলিক খেলত। দক্ষিণ ভারতের বাড়ির নিয়মই এমন, অন্দরমহলে আকাশ দেখা যায়। বৃষ্টি হলে বাড়ির মাঝখানে পানি পড়ত এবং ড্রেন দিয়ে তা বেরিয়ে যেত। রামানুজনের বাড়িতে বাইরের গন্ধ ভেসে আসত, টিকটিকি ঘুরে বেড়াত, মশার ছিল অবাধ যাতায়াত। গোলাপ, ধূপ আর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত পোড়া গোবরের গন্ধে ভারী হয়ে থাকত বাতাস।
কুম্বকোনম প্রাচীন চোল সাম্রাজ্যের একসময়ের রাজধানী। ১০০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে যখন ইউরোপ ছিল অন্ধকার যুগে, তখন চোল রাজারা এখান থেকেই রাজত্ব করতেন। এই আমলের ডজনখানেক মন্দির কুম্বকোনমকে তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণে পরিণত করেছিল।
প্রতি ১২ বছর পর পর ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চ মাসের দিকে মহামখম উৎসব উপলক্ষে এখানে তীর্থযাত্রীদের ঢল নামত। কিংবদন্তি আছে, এক মহাপ্লাবনের পর সৃষ্টির বীজ একটি পবিত্র পাত্রে জলে ভাসছিল। হিন্দুদের দেবতা শিব তাঁর তির দিয়ে সেই ভাসমান পাত্রটি বিদ্ধ করেন। বলা হয়, পাত্রটি ভেঙে যে অমৃত বেরিয়ে এসেছিল, তা এসে জমা হয় মহামখম ট্যাংকে। প্রতিটি মন্দিরের সঙ্গেই স্নানের জন্য এমন পুকুর বা জলাশয় থাকে।
১৮৯৭ সাল। রামানুজনের বয়স তখন মাত্র নয় বছর। সেবার প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ এই শহরে ভিড় জমিয়েছিল। ২০ একর জায়গা জুড়ে থাকা বিশাল এই পুকুরটি ঘিরে ছিল সুন্দর সুন্দর মণ্ডপ। পুকুরটি অনেক বড় ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু শোনা যায়, এত বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে সেই পুকুরে নামার কারণে পানির উচ্চতা বেড়ে গিয়েছিল কয়েক ইঞ্চি!
শহরের বাইরে ছিল উর্বর কৃষিজমি। জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ দিনমজুর হিসেবে খেতে কাজ করত। কাবেরীর পলিমাটির কারণে সার দেওয়া লাগত না।
কিন্তু যখন উৎসব থাকত না, তখন এই পুকুরগুলো হয়ে উঠত মশার আতুড়ঘর। শ্যাওলা জমা সবুজ পানিতে মশা ডিম পাড়ত। নিচু ও স্যাঁতসেঁতে এলাকা হওয়ায় কুম্বকোনম ছিল নোংরা পানি, মশা এবং মশাবাহিত ফাইলেরিয়া রোগের জন্য কুখ্যাত। এই রোগে মানুষের হাত-পা বিকৃত হয়ে যেত, এমনকি অণ্ডকোষ ফুলে যেত। রামানুজনের বয়স যখন ছয়, তখন ড্রেনেজ সিস্টেম করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তাতে শুধু বৃষ্টির পানি যেত, ময়লা-আবর্জনা নয়। তাই রোগবালাই লেগেই থাকত।
মাদ্রাজ থেকে একদিনের ট্রেন দূরত্বের এই শহরে ছিল ৭২ বেডের হাসপাতাল, চারটি থানা, দুটি ইংরেজি স্কুল, একটি হাইস্কুল এবং একটি কলেজ। রামানুজনের সময়ে ৫০ হাজার জনসংখ্যার এই শহরটি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ষষ্ঠ বৃহত্তম শহর ছিল।
শহরের বাইরে ছিল উর্বর কৃষিজমি। জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ দিনমজুর হিসেবে খেতে কাজ করত। কাবেরীর পলিমাটির কারণে সার দেওয়া লাগত না। নদীর ধারের জমিতে বাঁশ, তামাক আর কলা চাষ হতো। আর বাকি ৭৫ ভাগ জমিতে হতো ধান। বছরের বেশিরভাগ সময় জমিগুলো থাকত গাঢ় সবুজ। কৃষকেরা পরম যত্নে ধানের চারা বুনত।
কিন্তু রামানুজনের পরিবার ছিল শহুরে গরিব। তারা জমির ওপর নির্ভরশীল ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ভুট্টা ক্ষেতের সঙ্গে ডেস মইনেস শহরের যেমন সম্পর্ক, কুম্বকোনমও ছিল ঠিক তেমনই এক আধুনিক শহর। এখানে পেশাজীবী মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি। এখানকার কারিগরেরা ছিল দক্ষ। প্রায় ৬০০ কারিগর তামা, রূপা আর পিতল দিয়ে হিন্দুদের দেব-দেবীর মূর্তি বানাত।
আরেকটি বিখ্যাত শিল্প ছিল রেশমি শাড়ি। প্রায় তিন হাজার মানুষ তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল। কুম্বকোনম আর তাঞ্জোরের উজ্জ্বল রঙের রূপালি সুতোর কাজ করা শাড়ি ছিল বিখ্যাত। একেকটা শাড়ির দাম হতো ১০০ টাকা পর্যন্ত। এই টাকা অনেক পরিবারের এক বছরের আয়ের সমান! বিয়ের মৌসুমে ধনী কৃষকেরা সপরিবারে এসে শাড়ি কিনত। মজার ব্যাপার হলো, দোকানদারেরা তাদের বাকিতে শাড়ি দিত। আর কেনাকাটাও করত স্বামীরাই। কারণ, বউদের হাতে এই দায়িত্ব দিলে তারা বেশি খরচ করে ফেলবে!
রামানুজনের বাবা শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার ছিলেন এমনই এক কাপড়ের দোকানের করণিক। রামানুজনের জন্মের সময় তাঁর বয়স ছিল ২৪। বাবার মতো তিনিও সারাজীবন সামান্য কর্মচারীই থেকে গেছেন। সকাল আটটায় দোকানে যেতেন, ফিরতেন অন্ধকার নামার পর। মাঝেমধ্যে বিয়ের মৌসুম না থাকলে দোকানে বসেই দুপুরে ঘুমাতেন। উদ্যোক্তা হওয়ার কোনো চেষ্টাই তাঁর মধ্যে ছিল না।
কোমলতাম্মল দেখতে ছিলেন অনেকটা রামানুজনের মতোই। এক বর্ণনায় তাঁকে বলা হয়েছে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী ও মার্জিত নারী।
তিনি ছিলেন ছেলের জীবনে এক অদৃশ্য চরিত্র। এক বন্ধু তাকে বর্ণনা করেছিলেন ওজনহীন মানুষ হিসেবে। খুব চুপচাপ, সংসারের ব্যাপারে উদাসীন। মায়ের প্রবল ব্যক্তিত্বের পাশে তিনি ছিলেন ম্লান।
অনেক পরে, ইংল্যান্ডে থাকার সময় রামানুজন বাবাকে শুধু ঘরবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের কথা লিখতেন। কিন্তু মাকে লিখতেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিস্তারিত। কত সৈন্য, কত বড় যুদ্ধক্ষেত্র, ভারতীয় রাজাদের অবদান ইত্যাদি।
তিনি নিশ্চয়ই জানতেন, যুদ্ধের ওই বিবরণ মাকে আগ্রহী করে তুলবে। মা আর ছেলে একে অপরকে খুব ভালো বুঝতেন। তাঁদের মনের ভাষা ছিল এক। দুজনে একে অপরের বুদ্ধিদীপ্ত সঙ্গ উপভোগ করতেন। এমনকি তাঁদের আবেগের তীব্রতাও ছিল সমান। রামানুজন যখন ছোট, তখন মা-ছেলে মিলে বাঘ-ছাগল খেলতেন। নুড়িপাথর দিয়ে খেলা হতো। ছকটা দেখতে ছিল অনেকটা দিগন্তের দিকে চলে যাওয়া রেললাইনের মতো। সেই লাইনের ওপর দিয়ে আড়াআড়ি আরও লাইন চলে গেছে। খেলায় থাকত তিনটা বাঘ আর পনেরোটা ছাগল। বাঘ চাইত লাফ দিয়ে ছাগল খেয়ে ফেলতে, আর ছাগলের কাজ ছিল বাঘকে ঘিরে ফেলে কোণঠাসা করা। এই খেলায় যুক্তি, কৌশল আর দাবার মতো গভীর মনোযোগ দরকার হতো। মা আর ছেলে দারুণ উপভোগ করতেন এই খেলা।
কোমলতাম্মল দেখতে ছিলেন অনেকটা রামানুজনের মতোই। এক বর্ণনায় তাঁকে বলা হয়েছে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী ও মার্জিত নারী। তাঁর বংশে সংস্কৃত পণ্ডিতের অভাব ছিল না। তাঁদের অনেককেই স্থানীয় রাজারা উপহার দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন নারায়ণ আয়েঙ্গারের মেয়ে। ইরোড শহরে নারায়ণ আয়েঙ্গার বেশ পরিচিত ছিলেন আদালতের আমিন হিসেবে। তাঁর কাজ ছিল সাক্ষী ডাকা, আদালতের নোট নেওয়া এবং আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা। রামানুজনের বয়স যখন চার, তখন কোমলতাম্মলের বাবা কোনো এক ওপরওয়ালার বিরাগভাজন হয়ে চাকরি হারান। তখনই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী রঙ্গম্মল চলে যান মাদ্রাজের কাছে কাঞ্চিপুরমে। সেখানে তিনি একটি ধর্মশালা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। সেই ধর্মশালায় বিয়ে হতো এবং তীর্থযাত্রীরা বিশ্রাম নিতেন।
কোমলতাম্মলের একটি ছবি এখনো পাওয়া যায়। ছবিটি সম্ভবত তাঁর চল্লিশ বা পঞ্চাশ বছর বয়সে তোলা। ছবিতে এমন এক নারীকে দেখা যায়, যাঁর স্থূলতা নয় গজি শাড়িতেও ঢাকা পড়েনি। চেয়ারের হাতলে আলতো করে রাখা দুটি হাত। ঘাড় একদিকে কাত করা, চোখ দুটো সজীব; প্রায় যেন জ্বলজ্বল করছে। মুখটা শক্ত, চেয়ারে একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসা। খালি পায়ের শুধু সামনের অংশ মাটি ছুঁয়ে আছে, যেন যেকোনো মুহূর্তে লাফিয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুত। সব মিলিয়ে মনে হয়, শরীরের ভেতরে এক প্রচণ্ড ব্যক্তিগত তেজ তিনি কোনোমতে আটকে রেখেছেন।
তাঁর ঝুলিতে ছিল পৌরাণিক গল্পের বিশাল ভাণ্ডার। তিনি প্রাচীন মহাভারত ও রামায়ণ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগের বিক্রমাদিত্যের কিংবদন্তির গল্প শোনাতেন ছেলেকে।
তিনি ছিলেন প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ। কিছুটা আচ্ছন্ন স্বভাবের নারীও বলা যায়। নিজের আগ্রহের কোনো বিষয়ের ওপর নিজের প্রবল ব্যক্তিত্ব চাপিয়ে দিতে তিনি কখনোই কুণ্ঠাবোধ করতেন না। আর ছেলে বড় হওয়ার পুরো সময়টা জুড়ে তাঁর সেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তাঁরই ছেলে রামানুজন। ভারতে মা ও ছেলের নাড়ির টান কিংবদন্তিতুল্য। কিন্তু রামানুজন ও তাঁর মায়ের সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে রামানুজনের ভারতীয় জীবনী লেখকেরাও এই বিষয়টি উল্লেখ না করে পারেননি।
কোমলতাম্মল নিজে হাতে ছেলেকে দই-ভাত, ঝাল দেওয়া আচার মাখানো ফলমূল, সবজি আর ডাল খাওয়াতেন। ছেলের চুল আঁচড়ে প্রথাগত টিকি বেঁধে দিতেন। মাঝেমধ্যে তাতে গুঁজে দিতেন ফুল। তিনি ছেলের ধুতি পরিয়ে দিতেন। কোমর পেঁচিয়ে পায়ের নিচ দিয়ে টেনে আনা সেই দীর্ঘ কাপড় খুব আধুনিক ছাড়া সব পুরুষই পরত। ছেলের কপালে পরিয়ে দিতেন তিলক। নিজেই ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসতেন। যাওয়ার আগে রামানুজন প্রথাগত ভারতীয় রীতিতে মায়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতেন। মা ঠিক করতেন ছেলে কার সঙ্গে মিশবে, কীভাবে সময় কাটাবে। স্কুলে রামানুজন তাঁর প্রাপ্য সম্মান না পেলে মা সোজা প্রিন্সিপালের অফিসে গিয়ে ঝড় তুলতেন। আর যখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ছেলের বিয়ে দেওয়া দরকার, তখন নিজেই পাত্রী ঠিক করলেন এবং বিয়ের আয়োজন করলেন। এসবের কোনোটি নিয়েই স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন তিনি বোধ করেননি।
আধ্যাত্মিক জীবনে তিনি তাঁর বিপুল শক্তি উজাড় করে দিতেন। হিন্দু পরিবারগুলোতে সাধারণত পুরুষদের চেয়ে নারীরাই বেশি ধর্মপরায়ণ হন এবং ঐতিহ্য পালনে বেশি নিষ্ঠাবান হন। তাঁর নিজের পরিবারেও তাই ছিল। শোনা যায়, তাঁর মা এমন এক সম্মোহনী ঘোরের মধ্যে চলে যেতেন যে দেবতার সঙ্গে নাকি তাঁর যোগাযোগ হতো। রামানুজনের পরিবারেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কোমলতাম্মল ছিলেন প্রচণ্ড ধর্মপ্রাণ। তিনি বাড়িতে প্রার্থনা সভার আয়োজন করতেন, মন্দিরে গান গাইতেন, জ্যোতিষশাস্ত্র আর হস্তরেখা বিচার নিয়েও করতেন চর্চা। নামাক্কালের পারিবারিক দেবী নামাগিরির নাম সবসময় তাঁর ঠোঁটে লেগে থাকত। পরিবারের এক বন্ধু তাঁকে বর্ণনা করেছিলেন এভাবে: ‘অলৌকিক ক্ষমতা এবং অসাধারণ কল্পনাশক্তির অধিকারী এক অত্যন্ত গুণী নারী।’
তাঁর ঝুলিতে ছিল পৌরাণিক গল্পের বিশাল ভাণ্ডার। তিনি প্রাচীন মহাভারত ও রামায়ণ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগের বিক্রমাদিত্যের কিংবদন্তির গল্প শোনাতেন ছেলেকে। গল্প বলতে বলতে কোথাও একটু থামলে বিড়বিড় করে জপতেন দেবী নামাগিরির নাম।
মায়ের কাছ থেকেই রামানুজন ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করেছিলেন, আয়ত্ত করেছিলেন জাত-পাতের নিয়মকানুন, শিখেছিলেন পুরাণ। শিখেছিলেন কীভাবে ভজন গাইতে হয়, মন্দিরে পূজা দিতে হয়, কোন খাবার খাওয়া উচিত আর কোনটি বর্জন করা উচিত। সংক্ষেপে বলা যায়, একটি ভালো ব্রাহ্মণ বালক হতে হলে কী করতে হবে আর কী করা যাবে না, তার পুরোটাই তিনি শিখেছিলেন মায়ের কাছে।
