সাক্ষাৎকার
এআই নিয়ন্ত্রণে এখনই কাজ শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ—জেফরি হিন্টন, এ বছরের নোবেলজয়ী পদার্থবিদ
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়। এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁদের গবেষণা, দর্শন ও নিজস্ব চিন্তাভাবনার কথা। নোবেল প্রাইজ ডটঅর্গের পক্ষ থেকে এ বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী জেফরি হিন্টনের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অ্যাডাম স্মিথ। এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে তাঁর সতর্কবার্তা। বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন উচ্ছ্বাস তৌসিফ।
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জেফরি ই হিন্টন ও মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভব করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ও রাখছে। (বিস্তারিত পড়ুন: যন্ত্রকে শেখানোর ভিত্তি গড়ে দিয়ে পদার্থবিদ্যায় নোবেল জয়)
জেফরি হিন্টন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর ইমেরিটাস অধ্যাপক। এর আগে, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর পাশাপাশি গুগলেও কাজ করেছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে গুগল ছেড়ে যাওয়ার সময় যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেখানেও এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সতর্ক করেছেন সবাইকে।
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়। এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁদের গবেষণা, দর্শন ও নিজস্ব চিন্তাভাবনার কথা। নোবেল প্রাইজ ডটঅর্গের পক্ষ থেকে জেফরি হিন্টনের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অ্যাডাম স্মিথ। এ সাক্ষাৎকারে আবারও উঠে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে তাঁর সতর্কবার্তা। তাঁর মতে, এ বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখনই কাজ শুরু করা জরুরি। এ ছাড়াও নিজের ব্যাপারে তাঁর যে ভাবনা ফুটে উঠেছে, তা গবেষকদের অনুপ্রাণিত করবে। বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন উচ্ছ্বাস তৌসিফ।
জেফরি হিন্টন: হ্যালো?
অ্যাডাম স্মিথ: হ্যালো, আমি কি জেফরি হিন্টনের সঙ্গে কথা বলছি?
জেফরি হিন্টন: জি, বলছেন।
অ্যাডাম স্মিথ: আমি অ্যাডাম স্মিথ, নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ফোন করেছি।
জেফরি হিন্টন: আচ্ছা। আমি জানি আপনি কে। কারণ, দীর্ঘদিন আগেই আমি লক্ষ করেছি, ওরা কাউকে দিয়ে ফোন দিয়ে প্রতিক্রিয়া নেন।
অ্যাডাম স্মিথ: ঠিক তাই। তাহলে, আমরা কি কয়েক মিনিট আলাপ করতে পারি?
জেফরি হিন্টন: হ্যাঁ।
অ্যাডাম স্মিথ: অনেক ধন্যবাদ। প্রথমেই বলি, আপনাকে অভিনন্দন।
জেফরি হিন্টন: ধন্যবাদ।
অ্যাডাম স্মিথ: আপনি এখন কোথায় আছেন? খবরটা কোথায় বসে পেলেন?
জেফরি হিন্টন: আমি আছি ক্যালিফোর্নিয়ার একটা সস্তা হোটেলে। এখানে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই, ভালো ফোন লাইনও নেই, ফোনের নেটওয়ার্কও খুব ভালো না। আমি আজ একটা এমআরআই স্ক্যান করাতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন বোধ হয় সেটা বাদ দিতে হবে। পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়েছে, এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। আমি খুবই অবাক হয়েছি।
অ্যাডাম স্মিথ: শুনে মনে হচ্ছে, এমন একটা খবর পাওয়ার জন্য জায়গাটা বেশ উপযুক্ত। কারণ, আপনি খানিকটা জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। এখন দিন শুরুর আগেই আপনি নিজের চিন্তাভাবনা খানিকটা গুছিয়ে নিতে পারবেন।
জেফরি হিন্টন: তা সত্যি। অন্যদিকে, এখন রাত দুটো বাজে।
অ্যাডাম স্মিথ: ওহ, গুডনেস! জি, আমি খুবই দুঃখিত। আমি ঠিক জানিও না, আপনি…
জেফরি হিন্টন: এখন সম্ভবত তিনটা বেজে গেছে।
অ্যাডাম স্মিথ: …জানিও না, আপনি আবার শুয়ে পড়বেন, নাকি মেনে নেবেন যে আজকের দিনটা একটা দীর্ঘ ও ব্যস্ত দিন হতে যাচ্ছে।
জেফরি হিন্টন: নাহ, আমার আবার শোয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।
বলব, আমি এমন একজন যে জানে না সে কোন ক্ষেত্রে কাজ করছে, কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যপদ্ধতি বুঝতে চায়। মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে গিয়ে আমি এমন এক প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বলা ভালো, নিউরাল নেটওয়ার্ক) উদ্ভাবনে সহায়তা করেছি, যা বিস্ময়করভাবে ভালো কাজ করে
অ্যাডাম স্মিথ: আচ্ছা, বিস্মিত হওয়ার কথা বলছিলেন। আপনার প্রথম চিন্তা কী ছিল?
জেফরি হিন্টন: সর্বপ্রথম চিন্তা ছিল, এটা যে কোনো প্র্যাঙ্ক কল না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হব কীভাবে?
অ্যাডাম স্মিথ: এবং? কীভাবে নিশ্চিত হলেন?
জেফরি হিন্টন: কলটা এসেছিল সুইডেন থেকে। যিনি কল করেছিলেন, তাঁর গলায় কড়া সুইডিশ টান। তা ছাড়া, একজন না, অনেকে মিলে কল করেছিলেন।
অ্যাডাম স্মিথ: হ্যাঁ। তার মানে প্র্যাঙ্ক কল করলে একদম দল পাকিয়ে করতে হবে। আর এরকমটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
জেফরি হিন্টন: হ্যাঁ।
অ্যাডাম স্মিথ: নিজেকে কী বলবেন? কম্পিউটারবিজ্ঞানী, নাকি জীববিজ্ঞান বুঝতে সচেষ্ট কোনো পদার্থবিজ্ঞানী? কাজ করার সময় গবেষক হিসেবে কী ভাবছিলেন নিজের ব্যাপারে?
জেফরি হিন্টন: বলব, আমি এমন একজন যে জানে না সে কোন ক্ষেত্রে কাজ করছে, কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যপদ্ধতি বুঝতে চায়। মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে গিয়ে আমি এমন এক প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বলা ভালো, নিউরাল নেটওয়ার্ক) উদ্ভাবনে সহায়তা করেছি, যা বিস্ময়করভাবে ভালো কাজ করে।
অ্যাডাম স্মিথ: এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যতটুকু জানি, এই প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই) কী করতে পারে, সে বিষয়ে আপনি জনসম্মুখেই নিজের ভীতির কথা জানিয়েছেন। আপনি ও অন্যরা যে ভীতি প্রকাশ করছেন, তা সমাধানের জন্য কী করা উচিৎ বলে মনে করেন?
জেফরি হিন্টন: আমার ধারণা, এটা জলবায়ু পরিবর্তনের (বা এ ধরনের সমস্যার) চেয়ে ভিন্ন ধরনের। জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে যেমন সবাই জানে, কী করতে হবে। আমাদের কার্বন পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। এটা এখন একটা রাজনৈতিক প্রশ্ন যে ওরা (বিভিন্ন দেশের সরকার) তা করবে কি না। বড় বড় যে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে অনেক লাভ করছে, তারা এটা (কার্বন পোড়ানো বন্ধ) করতে চায় না। কিন্তু কী করতে হবে, তা পরিষ্কার। আর এ ক্ষেত্রে (অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে) আমরা এমন এক জিনিস নিয়ে আলাপ করছি, যেটা আসলে কী করতে পারে বা এ ব্যাপারে কী করতে হবে, সেসব নিয়ে আমাদের ধারণা নিতান্ত কম। আমার কাছে যদি একটা সরল রেসিপি থাকত যে এমনটা করলে সব ঠিক হয়ে যাবে, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু সেরকম কিছু আমার কাছে নেই। বিশেষ করে এই জিনিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে নিজেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কি না, এই যে এক্সিসটেনশিয়াল ক্রাইসিস বা অস্তিত্ব সংকট—আমরা ধারণা, ইতিহাসের এমন একটা মুহূর্তে আছি আমরা যে আগামী কয়েক বছর সময় নিয়ে আমাদের বের করতে হবে এই হুমকি মোকাবেলায় কী করা যায়। আমার মনে হয়, আমরা এটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখব, এ নিয়ে এখনই কাজ শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে প্রচুর গবেষণা করা প্রয়োজন। আমার ধারণা, সরকার একটা কাজ করতে পারে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ব্যাপক রিসোর্স এ ক্ষেত্রে—অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি মোকাবেলা ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণায়—ব্যয় করতে বাধ্য করতে পারে। ফলে, যেমন ধরুন, ওপেনএআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তখন আর নিরাপত্তার বিষয়টা ফেলে রাখতে পারবে না।
অ্যাডাম স্মিথ: এটা কি জীবপ্রযুক্তি বিপ্লবের সময়কার সেই ঘটনাটার মতো, যখন জীবপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষকেরা আসিলোমার কনফারেন্সে একসঙ্গে বসে বলেছিলেন, এটা একটা সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার এবং আমাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে? (১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আসিলোমার সমুদ্র সৈকতে ‘আসিলোমার কনফারেন্স অন রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ’ শিরোনামের একটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ১৪০ জন পেশাজীবী বিশেষজ্ঞ—মূলত জীববিজ্ঞানী, তবে আইনজীবী ও শারীরতত্ত্ববিদেরাও ছিলেন—এক হয়ে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএর ঝুঁকি ও এ বিষয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছিলেন। তাঁদের সেই আলোচনায় যেসব নির্দেশনা উঠে এসেছিল, জীবপ্রযুক্তি শিল্প, কারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগুলো এখনো অনুসরণ করা হয়।)
জেফরি হিন্টন: হ্যাঁ। ওটার সঙ্গে এর মিল আছে। আমার ধারণা, ওরা ভালো কাজ করেছিল। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, ক্লোনিংয়ের মতো যেসব বিষয় সে সময় জীবপ্রযুক্তিবিদেরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এরচেয়ে অনেক বেশি বাস্তব ব্যবহার রয়েছে। ফলে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হবে। তবে সেই জীববিজ্ঞানীরা যা করেছিলেন, এটাকে মডেল হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এটা একটা চমৎকার ব্যাপার যে ওরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। আর এ কাজটা বিজ্ঞানীরাই করেছেন।
আমার ধারণা, এটা খানিকটা পার্থক্য গড়ে দেবে। আমি যখন বলব এগুলো যা বলে, বুঝে বলে—অর্থাৎ এগুলো বুঝতে পারে—আশা করি, ওরা তখন কথাটা গুরুত্ব দিয়ে নেবে।
অ্যাডাম স্মিথ: তাহলে, উদাহরণ হিসেবে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের (এলএলএম) কথা যদি বলি, এ ক্ষেত্রে আপনার ভয়টা যে কারণে বেশি—আপনি মনে করেন, মানুষ যতটা ভাবে, এই মডেলগুলো বুদ্ধিমত্তার আরও অনেক কাছাকাছি। এগুলো বুঝতে পারার অনেক কাছে পৌঁছে গেছে। এই ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারের প্রভাবের কথা যদি বলি, এই পুরস্কার কি কোনো পার্থক্য গড়ে দিতে পারে?
জেফরি হিন্টন: হ্যাঁ, আমি তাই আশা করছি। আমার ধারণা, এটা খানিকটা পার্থক্য গড়ে দেবে। আমি যখন বলব এগুলো যা বলে, বুঝে বলে—অর্থাৎ এগুলো বুঝতে পারে—আশা করি, ওরা তখন কথাটা গুরুত্ব দিয়ে নেবে।
অ্যাডাম স্মিথ: আপনার কি আসলেই মনে হয় যে মানুষ আপনার কথা সিরিয়াসলি নেয় না? এ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাজ করে?
জেফরি হিন্টন: ভাষাতত্ত্বের একটা গোটা স্কুল (বা মতাদর্শ) আছে, (নোম) চমস্কি থেকে এসেছে। এই মতাদর্শের মানুষ মনে করেন, এগুলো (এআই) বোঝে, এই ধারণা পুরোপুরি ফালতু। আমরা ভাষা যেভাবে প্রসেস করি, বুঝতে পারি, তাঁরা মনে করেন, এগুলো সেভাবে ভাষা বোঝে না। আমার ধারণা, এই মতাদর্শের মানুষগুলো ভুল করছেন। আমার ধারণা, চমস্কি স্কুল অব লিঙ্গুইস্টিকস (চমস্কির ভাষাতাত্ত্বিক মতাদর্শ) ভাষাকে যতটা বোঝে, এই নিউরাল নেটওয়ার্কগুলো ভাষা এরচেয়ে অনেক ভালো বোঝে—এটুকু ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। কিন্তু এ নিয়ে এখনো অনেক তর্ক আছে, বিশেষ করে ভাষা-গবেষকদের মধ্যে।
শিগগিরই আসছে বিজ্ঞানচিন্তার অক্টোবর ২০২৪ সংখ্যা
একগুচ্ছ ফিচার, তিনটি কমিকস, বিজ্ঞান রম্য, ছড়া, সাক্ষাৎকার, কার্যকারণ, পাঠকের প্রশ্নোত্তরের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকার কুইজ নিয়ে শিগগিরই বাজারে আসছে বিজ্ঞানচিন্তার অক্টোবর সংখ্যা। আপনার কপিটি অর্ডার করুন আজই। অর্ডার লিঙ্ক: https://www.prothoma.com/product/47506/bigganchinta-november-2023-1
অ্যাডাম স্মিথ: আচ্ছা, এখন আবার আপনার এই খবর (নোবেলপ্রাপ্তি) পাওয়ার বিষয়ে ফিরে আসি। এই খবর আপনি পেলেন হোটেল রুমে, মধ্যরাতে। নানা দিক থেকেই এই খবর শোনার জন্য এটা এক নিঃসঙ্গ জায়গা। কোথাও যাওয়ার নেই, কাউকে জড়িয়ে ধরা বা উদ্যাপন করার নেই।
জেফরি হিন্টন: আমি এখানে আমার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আছি। আমি আমার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আছি, আর সে এই খবর শুনে দারুণ রোমাঞ্চিত।
অ্যাডাম স্মিথ: ওকে। দারুণ! আবারও বলি, আপনাকে অনেক, অনেক অভিনন্দন।
জেফরি হিন্টন: ধন্যবাদ।
অ্যাডাম স্মিথ: বাই।
জেফরি হিন্টন: বাই।