অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টার
এক ইউরোপিয়ান বিখ্যাত বিজ্ঞানী গেছে চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টারে। সেখানে এক সেমিনারে গ্রহ-নক্ষত্রের পারস্পরিক আচরণ সম্পর্কে বক্তব্য দেবে।
যথারীতি বক্তব্য শুরু হলো। প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য দিল। সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার বক্তব্য শুনল। দর্শক-শ্রোতা সবাই চায়নিজ।
এবার অনুবাদের পালা। বিজ্ঞানীর পাশেই বসে ছিল এক চায়নিজ দোভাষী। সে এখন ইউরোপিয়ান বিজ্ঞানীর পুরো বক্তব্য চীনা ভাষায় অনুবাদ করে সবাইকে বোঝাবে। সে শুরু করল। বেশি না, দুই মিনিট চীনা ভাষায় কিছু বলে সে বসে পড়ল। আর শ্রোতারা সব হাততালি দিতে লাগল ঘন ঘন।
ইউরোপিয়ান বিজ্ঞানী অবাক। তার এক ঘণ্টার জটিল বক্তব্য মাত্র এক লাইনে বলে ফেলল? সে জানতে চাইল—
- এটা কী করে সম্ভব?
- কোনটা?
- আমার প্রায় এক ঘণ্টার বক্তব্য আপনি এক মিনিটে তাদের বুঝিয়ে দিলেন!
- না না পাগল! আপনার ওই জটিল বক্তব্য কি আমি বুঝেছি, না তারা বুঝবে? আমি শুধু তাদের বলেছি, ‘প্রফেসরের বক্তব্যের বিষয় অনেক জটিল। আমি বুঝিনি, তোমরাও বুঝবে না। তোমরা বরং জোরে জোরে হাততালি দাও।’
যেমন ধরুন, একটা গ্রহ আবিষ্কার করলাম। তার ডায়ামিটারের সঙ্গে অনুপাত ঠিক রেখে বেশ কিছু অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িপাতিল জোগাড় করা হয়। সেগুলো এক এক করে ওপরের দিকে ছুড়ে দিই...
তো সেই বিজ্ঞানী কী আর করে; হতাশ হয়ে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন চীনা বিজ্ঞানীরা অনুরোধ করল তাদের অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টারের শক্তিশালী টেলিস্কোপটা দেখে যেতে। যেটা দিয়ে তারা অতি সম্প্রতি নতুন নতুন বেশ কিছু গ্রহ-নক্ষত্র আবিষ্কার করেছে, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে।
বিজ্ঞানী রাজি হলো। গেল তাদের অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টারের টেলিস্কোপ ল্যাবে। সদ্য আবিষ্কৃত কিছু গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করল। তবে সে খেয়াল করল, তাদের গ্রহ-নক্ষত্রের নামগুলো বড় অদ্ভুত। যেমন টেং প্যাং, চেং চো বা হিং পো ব্যাং।
সে কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করে বসল, ‘আচ্ছা, এই সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহ-নক্ষত্রের নাম আপনারা ঠিক কীভাবে রাখেন?’
- খুব সোজা।
- কী রকম?
- যেমন ধরুন, একটা গ্রহ আবিষ্কার করলাম। তার ডায়ামিটারের সঙ্গে অনুপাত ঠিক রেখে বেশ কিছু অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িপাতিল জোগাড় করা হয়। সেগুলো এক এক করে ওপরের দিকে ছুড়ে দিই...তারপর নিচে পড়লে যে শব্দ পছন্দ হয় সেটাই...
ইউরোপিয়ান বিখ্যাত বিজ্ঞানী আর দেরি করল না। দ্রুত তার দেশের পথে বিমানে চড়ে বসল।
