বিজ্ঞান রম্য
আবহাওয়াবিজ্ঞানী
স্বাভাবিকভাবেই এবার বাঙালি বিজ্ঞানী আর চুপ করে থাকতে পারেন না। তিনিও চট করে তাঁর হাতটা পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া একটা মেঘের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন...
তিন দেশের তিন আবহাওয়াবিজ্ঞানী। তাঁরা একটি উড়ন্ত বেলুনে করে বের হয়েছেন পৃথিবীর আবহাওয়ার ওপর একটা দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা করতে। তাঁরা হলেন যথাক্রমে একজন রাশিয়ান বিজ্ঞানী, একজন চায়নিজ বিজ্ঞানী আর একজন বাঙালি বিজ্ঞানী। তিনজনই এই বিশেষ ধরনের বেলুনে করে উড়ে চলেছেন হু হু করে, মেঘের ওপর দিয়ে।
হঠাৎ রাশিয়ান বিজ্ঞানী বেলুনের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলেন।
—কী করছেন? আঁতকে উঠলেন অন্য দুই বিজ্ঞানী।
—হুম...মেঘের তাপমাত্রা দেখে বোঝার চেষ্টা করছি, আমরা ঠিক কোথায় আছি।
—কোথায় আছি?
—আমরা ঠিক আমার দেশের ওপর দিয়েই উড়ে চলেছি। আরও সঠিক করে বললে বলতে হয়, স্টালিনগ্রাদের আকাশে...
—কীভাবে বুঝলেন?
—মেঘের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা অনুভব করে।
স্বাভাবিকভাবেই এবার বাঙালি বিজ্ঞানী আর চুপ করে থাকতে পারেন না। তিনিও চট করে তাঁর হাতটা পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া একটা মেঘের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন।
একটুক্ষণ বাদে চায়নিজ বিজ্ঞানী বেলুনের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলেন। এবার বাঙালি বিজ্ঞানী আঁতকে উঠলেন।
—এ কী করছেন?
—আমিও মেঘের তাপমাত্রা দেখে বোঝার চেষ্টা করছি, আমরা এই মুহূর্তে ঠিক কোথায় আছি।
—কোথায়?
—হুম...আশ্চর্য, আমিও ঠিক আমার দেশের ওপর দিয়েই উড়ে যাচ্ছি এই মুহূর্তে। আরও পরিষ্কার করে বললে বলতে হয়, ঠিক সাংহাই শহরের ওপর দিয়ে উড়ে চলেছি।
স্বাভাবিকভাবেই এবার বাঙালি বিজ্ঞানী আর চুপ করে থাকতে পারেন না। তিনিও চট করে তাঁর হাতটা পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া একটা মেঘের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন। একটুক্ষণ বাদেই হাতটা উঠিয়ে আনলেন, কিন্তু তাঁকে যেন একটু বিমর্ষ দেখাচ্ছে!
—কী হলো? আমরা কোথায়? অন্য দুই বিজ্ঞানী জানতে চাইলেন।
—আমরা এই মুহূর্তে আমার দেশের রাজধানীর ওপর দিয়ে উড়ে চলেছি এবং আরও পরিষ্কার করে বললে বলতে হয়, গুলিস্তানের ওপর দিয়ে উড়ে চলেছি।
—এত স্পেসিফিক কীভাবে বুঝলেন?
—ইয়ে...আমার দামি হাতঘড়িটা আমার হাতে নেই!
