বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণা নিয়ে বই লিখবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।
এক বিজ্ঞানী একটা বই লিখলেন। আর এক তরুণ সাংবাদিক এল তাঁর ইন্টারভিউ করতে।
—আচ্ছা স্যার, আপনার তো একটা বই বেরিয়েছে?
—হ্যাঁ।
—বইটি লিখতে আপনার কত সময় লেগেছে?
—তা প্রায় ১২ বছর ৬ মাস।
—বলেন কী! তাহলে তো ব্যাপক গবেষণা করে বইটা লিখতে হয়েছে।
—তা...মানে একরকম...ওই আরকি। তবে বইটা লিখেছি ৬ মাসে। পাবলিশার খুঁজে বের করতে লেগেছে ১২ বছর।
আরেক বিজ্ঞানী, তাঁরও একটি বই বের হয়েছে। তবে তারপর আর দ্বিতীয় কোনো বই তিনি লেখেননি। ওই সাংবাদিক তাঁর কাছেও এসে হাজির।
—স্যার, আপনার বিজ্ঞানীজীবনে মাত্র একটি বই লিখেছেন, তারপর আর কোনো বই লেখেননি। কেন?
সব বিজ্ঞানীই যে বই লিখবেন, এমনটা হয়তো ঠিক নয়। আরেক বিজ্ঞানী, তিনি কোনো বই–ই লেখেননি। যথারীতি সেই সাংবাদিক গিয়ে হাজির হলো তাঁর ল্যাবে।
—কারণ, আমি বইটা লিখেছি ‘কোয়ান্টাম ফিজিকস’ নিয়ে। আর জানো তো, কোয়ান্টাম ফিজিকস এমন এক বিজ্ঞান, যা পড়লে কারও মাথা ঠিক থাকে না।
—বইটা নিশ্চয়ই প্রচুর বিক্রি হয়েছে?
—না, এক কপিও বিক্রি হয়নি। তাই আমার বইয়ের পাবলিশার আত্মহত্যা করেন।
—বলেন কী! বই বিক্রি হয়নি দেখে আত্মহত্যা করলেন? এ–ও কি সম্ভব?
—ঠিক তা না, আমি তাঁকে বলেছিলাম দ্বিতীয় খণ্ডটা লিখতে শুরু করেছি; সেটা শুনেই...উনি...।
—ওহ, সত্যি আফসোস...তা উনি কীভাবে আত্মহত্যা করলেন?
—ওই যে ১০ তলা বাড়িটা দেখছ, এর ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে।
—কী বলছেন! এই বাড়ি তো পাঁচতলা।
—আরে কী মুশকিল, উনি দুবার লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।
সব বিজ্ঞানীই যে বই লিখবেন, এমনটা হয়তো ঠিক নয়। আরেক বিজ্ঞানী, তিনি কোনো বই–ই লেখেননি। যথারীতি সেই সাংবাদিক গিয়ে হাজির হলো তাঁর ল্যাবে।
—স্যার, আপনি কোনো বই লিখলেন না। কারণটা কী?
—বই লিখিনি, কথাটা ঠিক নয়। বই একটা খেটেখুটে লিখেছিলাম, কিন্তু বের করা হয়নি।
—কারণটা কী?
—কারণ, ওই যে...বইটা লিখতে গিয়ে এতটা সময় চলে গেল যে আর বিয়ে করা হলো না। বই পড়ার একজন পাঠক তো লাগবে। তা ছাড়া কপিরাইটে কার নাম দেব? বড় বড় লেখক তো দেখেছি স্ত্রীদের নাম দেয়। তাই সব দিক মিলিয়ে বইটা আর বের হলো না...। বিজ্ঞানী দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
