পৃথিবীর নতুন চাঁদের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা!
আমাদের জানা মতে, সৌরজগতে একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ পৃথিবী। এখানেই শুধু প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমাদের কাছে কখনো অন্য গ্রহাণু বা মহাকাশীয় বস্তু আসে না। এসব দর্শনার্থীরা সাধারণত খুব ছোট হয়। বেশিরভাগই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যায় সৌরজগতের বাইরে। তবে কিছু কিছু ছোট গ্রহাণু একটু বেশি সময়ের জন্য থেকে যায়। সেগুলোকে দেওয়া হয় চাঁদের মর্যাদা।
সম্প্রতি তেমনই এক কোয়াসি মুন বা আধা চাঁদের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘২০২৫ পিএন৭’। নতুন এই কোয়াসি চাঁদ আবিষ্কারের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির রিসার্চ নোটস সাময়িকীতে। এসব চাঁদ সরাসরি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার পরিবর্তে সূর্যের চারপাশে এমন একটি কক্ষপথ অনুসরণ করে যা দেখে মনে হয় চাঁদটি আমাদের গ্রহের সঙ্গে ঘুরছে। যদিও এটা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে না, ঘোরে সূর্যের চারপাশে।
নতুন এই কোয়াসি মুন ছাড়াও পৃথিবীর বেশ কিছু আধা চাঁদ রয়েছে। যেমন, ২০২৪ পিটি৫ দেখা গিয়েছিল ২০২৪ সালে। কিছুদিন পৃথিবীর আশপাশে থেকে এটি আবার নিজের পথে চলে গিয়েছিল।
নতুন আবিষ্কৃত এই আধা চাঁদ ৫২ ফুটের বেশি লম্বা নয়। এসব ছোট গ্রহাণু আসে সাধারণত মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝের বলয় থেকে। তবে এই আধা চাঁদটি কোথা থেকে এসেছে, তা শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ, এটি খুব ছোট। টেলিস্কোপের সাহায্যেও একে ভালোভাবে দেখা যায় না। তবে এটি যে সবসময় পৃথিবীর আশপাশে থাকবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। সিমুলেশন থেকে জানা গেছে, মোট ১২৬ বছর পৃথিবীর সঙ্গী হয়ে থাকবে এই আধা চাঁদ। ২০৮৩ সালে আবার এটি পথ বদলাবে।
নতুন এই কোয়াসি মুন ছাড়াও পৃথিবীর বেশ কিছু আধা চাঁদ রয়েছে। যেমন, ২০২৪ পিটি৫ দেখা গিয়েছিল ২০২৪ সালে। কিছুদিন পৃথিবীর আশপাশে থেকে এটি আবার নিজের পথে চলে গিয়েছিল।এসব আধা চাঁদের খোঁজ পাওয়াও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পৃথিবীর আশপাশে ঘুরতে থাকা গ্রহাণুগুলো আসলে সৌরজগতের ভেতরের ইতিহাসের টুকরো টুকরো ইতিহাস বহন করে। আর এমন অপরিচিত অতিথি যদি দীর্ঘদিন আমাদের কক্ষপথে আটকে পড়ে, তাহলে তা হবে বিজ্ঞানীদের কাছে চলন্ত গবেষণাগারের মতো। যেমন, কামোওআলেয়া নামে আরেকটি আধা চাঁদে নমুনা সংগ্রহ করতে পাঠানো হবে চীনের মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-২। তাই আমাদের এই নতুন সঙ্গীকে নিয়েও বিজ্ঞানীদের আগ্রহের শেষ নেই।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস