সাক্ষাৎকার
মস্তিষ্কের কাজ দেখে নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরির অনুপ্রেরণা পেয়েছি—জন হপফিল্ড, এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়। এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁদের গবেষণা, দর্শন ও নিজস্ব চিন্তাভাবনার কথা। নোবেল প্রাইজ ডটঅর্গের পক্ষ থেকে এ বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী জন হপফিল্ডের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অ্যাডাম স্মিথ। এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির ক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের মেলবন্ধনের কথা। মানব মস্তিষ্কের কর্মপদ্ধতি কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে কাজে লাগে, তা জানিয়েছেন অকপটে। বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাকসুদ।
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জেফরি ই হিন্টন ও মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভব করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ও রাখছে। (বিস্তারিত পড়ুন: যন্ত্রকে শেখানোর ভিত্তি গড়ে দিয়ে পদার্থবিদ্যায় নোবেল জয়)
পুরস্কার পাওয়ার সময় জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৯১ বছর বয়সী এ পদার্থবিদ ৮০-এর দশকে মস্তিষ্কের কর্মপদ্ধতির আলোকে ‘হপফিল্ড নেটওয়ার্ক’ নামে একটি কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। মেশিন লার্নিং-এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে তাঁর তৈরি এ নিউরাল নেটওয়ার্ক। কর্মজীবনের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবরেটরিতে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেছেন। পরে ধীরে ধীরে পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি জীববিজ্ঞানে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান পড়িয়েছেন।
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়। এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁদের গবেষণা, দর্শন ও নিজস্ব চিন্তাভাবনার কথা। নোবেল প্রাইজ ডটঅর্গের পক্ষ থেকে জন হপফিল্ডের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অ্যাডাম স্মিথ।এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির ক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের মেলবন্ধনের কথা। মানব মস্তিষ্কের কর্মপদ্ধতি কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে কাজ করে, তা জানিয়েছেন অকপটে। এর পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একে ভালোভাবে বোঝার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জানিয়েছেন নিজের আশঙ্কার কথাও। তাঁর দিকনির্দেশনা ভবিষ্যতের গবেষকদের কাজে লাগবে।
অ্যাডাম স্মিথ: হ্যালো, জন হপফিল্ড বলছেন?
জন হপফিল্ড: হ্যাঁ, আমি জন হপফিল্ড। বলুন।
অ্যাডাম স্মিথ: অ্যাডাম স্মিথ বলছি। নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ফোন করেছি। আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য মেরি খুব যত্ন করে এই সময়টি ঠিক করে দিয়েছেন। এখন কি কথা বলা যাবে?
জন হপফিল্ড: হ্যাঁ।
অ্যাডাম স্মিথ: আপনি কি স্পিকার ফোনে আছেন?
জন হপফিল্ড: আপনার ওখানে কেমন শোনাচ্ছে?
অ্যাডাম স্মিথ: একদম ঠিক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুরুতেই নোবেল পুরস্কারের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
জন হপফিল্ড: ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।
অ্যাডাম স্মিথ: মেরি জানালেন, আপনি এখন হ্যাম্পশ্যায়ারে আছেন।
জন হপফিল্ড: হ্যাঁ।
অ্যাডাম স্মিথ: নোবেল পুরস্কারের খবর শোনার জন্য জায়গাটা বেশ ভালো। কারণ, আপনি একটু লুকিয়ে আছেন, নির্জনে আছেন।
জন হপফিল্ড: আমরা নিজেরাই এখানে এসেছি। কয়েক হাজার মানুষের ছোট্ট শহর এটা।
অ্যাডাম স্মিথ: এ জন্যই এমন ব্যস্ত দিনেও আপনি সময় দিতে পারছেন।
জন হপফিল্ড: আমার মনে হয় না, এই সেলবর্ন গ্রামে অন্য কোনো পদার্থবিদ আছেন। খবরটা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রাস্তায় এ নিয়ে কোনো হৈচৈ নেই।
অ্যাডাম স্মিথ: আপনি যে নোবেল পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন, তা কীভাবে জানলেন? খবরের মাধ্যমে?
জন হপফিল্ড: আমার স্ত্রীর সঙ্গে একটু বাইরে গিয়েছিলাম। ফ্লুর টিকা নিয়ে এক জায়গায় খানিকটা বসে, কফি খেয়ে তারপর ফিরলাম। এসে দেখি কম্পিউটারে প্রচুর মেইল জমা হয়েছে। এগুলো একদম আশা করিনি। একটা, দুটো বা তিনটা মেইল পড়লেই বোঝা যায় নোবেল পুরস্কার নিয়ে কথা হচ্ছে। সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, হয়তো মেইলে জানাচ্ছে যে আজ নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হয়েছে। কারণ, প্রথম মেইলে আমার নোবেল পাওয়ার বিষয়টার সরাসরি উল্লেখ ছিল না। ফলে আমি ভেবেছি, অন্য কারো নোবেল পাওয়ার খবরটা আমাকে মেইলে জানানো হয়েছে। তৃতীয় মেইলটা না পড়া পর্যন্ত বুঝতেই পারিনি যে আমিই নোবেল পেয়েছি। চতুর্থ মেইলটা পড়ার পর নিশ্চিত হয়েছি যে এ বছর নোবেল পুরস্কার আমিই পেয়েছি।
অ্যাডাম স্মিথ: এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বার উন্মোচনের জন্য। কিন্তু আমার মনে হয়, আপনি শুধু টুল তৈরির জন্য কাজটি করেননি। বরং মস্তিষ্কে নিউরনের জাল থেকে কীভাবে মনন তৈরি হয়, সেটা বোঝার চেষ্টা থেকে করেছেন।
জন হপফিল্ড: একদম ঠিক। অনুপ্রেরণা পেয়েছি মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, তা দেখে। চিন্তা-চেতনা বা ভাবনা কীভাবে কাজ করে, তা বোঝার জন্য মস্তিষ্কের কাজের পদ্ধতি বোঝা খুব জরুরি। আর কোনো না কোনোভাবে এটা নেটওয়ার্কের সম্মিলিত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ জন্য মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, তা জানার আগ্রহ থেকে ধীরে ধীরে আমার সামনে একটা প্রশ্ন চলে আসে। কীভাবে কোনো হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার বা অন্য কিছু—ওয়েটওয়্যারের মাধ্যমে এরকম কিছু একটা করা যায়। আমার জ্ঞান ও উপলব্ধির কেন্দ্রবিন্দু ধীরে ধীরে পদার্থবিজ্ঞান থেকে সরে নিউরোবায়োলজির দিকে গেছে। কোনোভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নেটওয়ার্ক, নিউরাল নেটওয়ার্ক এবং পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে এ সংযোগ তৈরি হয়েছে।
অ্যাডাম স্মিথ: বছরের পর বছর আপনি জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রশ্ন পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখেছেন। আমার বিস্ময় জাগে। কীসের তাড়নায় আপনি এটা করলেন? একজন পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে কি আপনার কাছে এগুলো জটিল সমস্যা মনে হয়?
জন হপফিল্ড: হ্যাঁ। পদার্থবিজ্ঞানের কোনো সমস্যায় আপনার কাছে একটা সুসংজ্ঞায়িত সিস্টেম বা ব্যবস্থা থাকে। সেখানে সামগ্রিকভাবে জিনিসটা কীভাবে কাজ করে, তা আপনি বুঝতে পারবেন। শুধু ছোট ছোট অংশ বোঝার চেয়ে এটা অনেক কঠিন। মন কীভাবে কাজ করে, তা আপনি একসঙ্গে বুঝতে পারবেন না। গোড়া থেকে ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে। আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করলে হয়তো বলবেন, আমি ঝড় বুঝতে চাই, কিন্তু বাতাসে নাইট্রোজেনের কণাগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া করে, তা বুঝতে চাই না। মূলত সঠিক জায়গায় আপনার কাছে সঠিক প্রশ্নটা থাকতে হবে। প্রশ্নের স্তর কী হবে, তা সবসময় নির্ধারণ করা যায় না। ফলে এলোমেলো নানা কাজে সময় চলে যায়। অনেক কিছুই হয়, কিন্তু পরিল্পনামাফিক কাজ এগোয় না।
অ্যাডাম স্মিথ: অবশ্যই। মস্তিষ্ক ও মন নিয়ে গবেষণা করার অনেক ইতিহাস আছে পদার্থবিজ্ঞানীদের। যেমন ফ্রান্সিস ক্রিক বা ডন গ্লাসারের কথা বলা যায়। এখানে মূল বিষয় হলো, সঠিক জায়গায় সঠিক প্রশ্নটা করা হলো কি না, তাই তো?
জন হপফিল্ড: আমি ডন গ্লাসারের কিছু লেখা পড়েছি। তাঁর পদার্থবিজ্ঞানে কল্পনার মাত্রা ছিল ব্যাপক। তবে জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত তাঁর কাজগুলোকে ঠিক ‘ভালো জীববিজ্ঞান চর্চা’ বলা যায় না। একটা ব্যাপারে ঐকমত্য রয়েছে যে আপনাকে পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেরিয়ে যা করতে চাচ্ছেন, সেই পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। আর জীববিজ্ঞান নিয়ে কাজ করতে হলে সেটা যথেষ্ট পরিমাণ জানতে হবে, যাতে পুরো বিষয়টা অর্থবহ হয়ে ওঠে। আর এমনভাবে আইডিয়াগুলো তুলে ধরতে হবে যেন একটা কমিউনিটি গড়ে ওঠে। তখন বুঝিনি, আজ বুঝি—আমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল, পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান থেকে আসা মানুষদের এক হয়ে একটা যৌথ কমিউনিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করা। তাঁরা যে শুধু ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে কাজ করেছেন, তা নয়। সামগ্রিকভাবে পুরো বিষয়টা বোঝা ও বড় প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজারও চেষ্টা করেছেন।
অ্যাডাম স্মিথ: হ্যাঁ। আপনি কমিউনিটি এক করেছেন। আর হপফিল্ড নেটওয়ার্কও মানুষের জন্য একটা বড় ব্রেকথ্রু ছিল। এবার আপনাকে ভিন্ন একটা প্রশ্ন করি। আপনার সহ-নোবেলজয়ী জেফরি হিন্টন মেশিন লার্নিং এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে বেশ সরব। আপনিও এ নিয়ে চিন্তিত?
জন হপফিল্ড: হ্যাঁ, আমারও এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা হয়। কোনো কিছু যখন খুব শক্তিশালী মনে হয় এবং তা কত শক্তিশালী তা জানা থাকে না, তখন দুশ্চিন্তা হয়। কারণ, পুরোপুরি না বোঝার অর্থ হলো, এটা কীভাবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তা আপনি জানেন না। সত্যিকার অর্থে জিনিসটা যদি না বোঝেন এবং মনগড়া বলে দেন যে এটা গাণিতিকভাবে কাজ করে, কিন্তু কীভাবে কাজ করে তা জানেন না, তবে তা যথেষ্ট নয়। আসলে আমি বুঝতে চাই, কীভাবে অতিক্ষুদ্র অংশের পদার্থবিজ্ঞান এত বড় একটা সিস্টেমের সামগ্রিক বৈশিষ্ট্য তৈরি করে।
অ্যাডাম স্মিথ: আপনি কি মনে করেন, নোবেল পুরস্কার এখানে বড় কোনো বার্তা দিতে পারে? এটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে দেওয়া প্রথম নোবেল পুরস্কার, যদি আপনি গ্রহণ করেন!
জন হপফিল্ড: আমি মনে করি, নিউটোনিয়ান পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ে মাইন্ড বা মননের মতো গভীর সমস্যাগুলো বোঝা কঠিন। এ জন্য কাঠামো ও বৈশিষ্ট্য এবং কাঠামোগত গতিবিদ্যা ও বৈশিষ্ট্যের মধ্যকার সম্পর্ক বোঝা দরকার। আর এটা করতে হলে প্রয়োজন কিছুটা পদার্থবিজ্ঞান, কিছুটা রসায়ন ও কিছুটা জীববিজ্ঞান। এই সবগুলো মিলে একটা গবেষণাক্ষেত্র তৈরি করা প্রয়োজন।
অ্যাডাম স্মিথ: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর বলেছেন। শেষ করার আগে আরেকটা বিষয় বলি। আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি খবরটা সেলবোর্নে থাকা অবস্থায় শুনেছেন। এই জায়গাটি গিলবার্ট হোয়াইট এর দ্য ন্যাচারাল হিস্ট্রি অব সেলবর্ন বইয়ের বিষয়বস্তু।
জন হপফিল্ড: বাহ! আপনি গিলবার্ট হোয়াইটের খোঁজ পেয়ে গেছেন! আপনার জন্য শুভকামনা।
অ্যাডাম স্মিথ: এটা কিন্তু সেলবোর্নের জন্য ভালো। ওখানে বসে আপনি পুরস্কারের ঘোষণা শুনলেন। জায়গাটায় ন্যাচারাল সায়েন্স চর্চার প্রাচীন ইতিহাস আছে।
জন হপফিল্ড: হ্যাঁ, গিলবার্ট বেশ ভালো পর্যবেক্ষক ছিলেন।
অ্যাডাম স্মিথ: হ্যাঁ। আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আজকের সংবাদের জন্য আপনাকে আবারও অভিনন্দন জানাই।
জন হপফিল্ড: ধন্যবাদ। আমি জানি আমার ইন্টারভিউ নেওয়া সহজ ছিল না, কারণ আমি নিজেই একধরনের হতভম্ভ পরিস্থিতিতে আছি।
অ্যাডাম স্মিথ: বুঝতে পারছি। তবে বিষয়টা আসলে চমৎকার। পরিস্থিতি শান্ত হলে আমি আবার ভবিষ্যতে আপনার সঙ্গে এ নিয়ে দীর্ঘ কথা বলতে চাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
জন হপফিল্ড: ঠিক আছে। বাই, বাই।
অ্যাডাম স্মিথ: বাই। বাই।