ওশান ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২৫

আমাদের এই বিশাল পৃথিবীর প্রায় ৭১ শতাংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। এই বিশাল জলরাশিতে আছে অগণিত জীবজন্তু। তবে সেই জগৎ সম্পর্কে আমরা এখনো খুব কম জানি। জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং আবাসস্থল ধ্বংসের মতো নানা সমস্যা এখন এই জগতের প্রাণিকুলকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই পরিস্থিতির নানা দিক উঠে এসেছে এবারের ‘ওশান ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ প্রতিযোগিতার সেরা ছবিগুলোতে। সেখান থেকে বিজ্ঞানচিন্তা পাঠকদের জন্য সেরা কিছু ছবি প্রকাশ করা হলো।

১ / ৭

১. কিলার তিমি

ইফান লিং ছবিটি তোলেন ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বার্ড রকসের কাছ থেকে। ছবিটিতে মাত্র একবছর বয়সী একটি কিলার তিমি অর্কা (Orca) মুখে একটি সিল মাছ ধরে আছে। শিকারের সময় রুকের গায়ে এসে পড়েছে সূর্যাস্তের আলো।

২ / ৭

২. মিঙ্কে তিমি

অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে ছবিটি তুলেছেন মার্সিয়া রাইডার। গ্রীষ্মকালে ডোয়ার্ফ মিঙ্কে তিমিরা আসে এখানে। বিশ্বে এটিই একমাত্র জায়গা, যেখানে এই তিমিদের নিয়মিত দেখা যায়। দেহের গাঢ় ধূসর ও সাদা রঙের জন্য এরা শিকারিদের চোখে পড়ে সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন
৩ / ৭

৩. বাস্তবতা

প্রতিবছর মানুষের হাতে ১০ কোটির বেশি হাঙর মারা যায়। এর বেশির ভাগই অনিচ্ছাকৃতভাবে মাছ ধরার জালে আটকে যায়। ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়ায় এই ছবি তুলেছেন ড্যানিয়েল ফ্লোরম্যান। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাগরে পাতা জালে আটকে তিনটি হাঙর মারা গেছে। আর পাশেই একটি অর্ধেক লেজ কাটা তিমি হাঙর তথা হোয়েল শার্ক।

৪ / ৭

৪. আটকে পড়া জীবন

অস্ট্রেলিয়ার একটি উপকূলে আটকা পড়া হাম্পব্যাক তিমির খবর পান ফটোগ্রাফার ক্রেগ প্যারি। সঙ্গে সঙ্গে ওয়াইল্ডলাইফ সিওয়ার্ল্ড মেরিন রেসকিউসহ অন্যান্য সংস্থাকে খবর দেন। এরপর ১৫ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকারী দল ও স্থানীয় বাসিন্দারা অক্লান্তভাবে এই তিমিকে বাঁচানোর জন্য কাজ করে। দুঃখজনকভাবে, তাদের সব চেষ্টা সত্ত্বেও তিমিটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন
৫ / ৭

৫. স্পার্ম তিমির সঙ্গে সখ্যতা

ছোটবেলা থেকেই তিমির প্রতি দুর্বলতা ছিল ফটোগ্রাফার রোমাইন বারাটসের। তাই জীবনে প্রথমবারের মতো ক্যারাবিয়ান দ্বীপদেশ ডোমিনিকায় স্পার্ম তিমির সঙ্গে সাঁতার কাটার সুযোগ হাত ছাড়া করেননি তিনি। প্রথম দিনেই ১৫টি তিমিকে একসঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। সাগর উত্তাল থাকলেও সেই অসাধারণ দৃশ্য দেখে তিনি পানিতে নামেন। যখন তিমিগুলো চলে যেতে শুরু করে, তখন তিনি হঠাৎ দেখতে পান তার এক সঙ্গীকে তিমিগুলো ঘিরে ধরেছে। তিনি সেই মুহূর্তটি ক্যামেরায় বন্দী করতে সক্ষম হন। যেখানে তার সঙ্গী স্পার্ম তিমিদের মাঝে সাঁতার কাটছিলেন।

৬ / ৭

৬. লাজুক ইস্টার্ন গবলগাটস

ফটোগ্রাফার ড্যানিয়েল স্লাই বলেন, প্রতি গ্রীষ্মে পুরুষ ইস্টার্ন গবলগাটস মাছগুলো পেটের বদলে ডিম মুখের ভেতরে বহন করে। এরা সাধারণত রাতে চলাফেরা করে। স্বভাবে খুব লাজুক। সামান্য শব্দ পেলেই লুকিয়ে পড়ে। এই ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবারে একটি জেটির নিচে রাতে ডুব দেওয়ার সময় তোলা হয়।

আরও পড়ুন
৭ / ৭

৭. জেন্টু পেঙ্গুইনের গতি

অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপ থেকে তোলা এই ছবিটির আলোকচিত্রীও রোমাইন বারাটস। এতে দেখা যাচ্ছে, জেন্টু পেঙ্গুইনরা পানিতে ডুব দিচ্ছে। এই পেঙ্গুইনগুলো ঘণ্টায় ৩৬ কিলোমিটার বেগে সাঁতার কাটতে পারে। এরা ১৭ প্রজাতির পেঙ্গুইনের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম সাঁতারু। এদের মসৃণ, টরপেডো-আকৃতির শরীর এবং শক্তিশালী পাখনাগুলো এত দ্রুত গতিতে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।

সূত্র: পপুলার সায়েন্স