শুধু গাছ লাগিয়ে কেন জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না

জলবায়ু সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গাছ লাগানো। কিন্তু শুধু গাছ লাগিয়েই এই জটিল সমস্যা সমাধান করা যাবে না। কারণ, বর্তমানে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ অনেক। সে তুলনায় গাছের বৃদ্ধি খুব ধীর। তাহলে জলবায়ু সমস্যা সমাধানের উপায় কী?

‘যে বনে একটিমাত্র গাছ’ শিরোনামে প্রথম আলো সম্প্রতি একটি লেখা প্রকাশ করেছে। এই লেখা থেকে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সুন্দরবন আজ বিলুপ্তপ্রায়। একসময় এর আয়তন ছিল ৩০ বর্গকিলোমিটারের বেশি। এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য এখন টিকে আছে কেবল একটি শ্বাসমূলীয় গাছ। এককালে যেখানে বাঘ, হরিণসহ নানা পশুপাখি ও সামুদ্রিক মাছের সমাহার ছিল, এখন সেখানে কেবল মাছের ঘের আর লবণের মাঠ। 

এই ঘটনার সাহায্যে আমাদের বনজ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা যায়। আমরা প্রায় সব গাছ কেটে ফেলেছি। যদিও গাড়ির পেছনে আমরা লিখে রাখি ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলাপে এখনো মানুষ এই তথ্য প্রচার করে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে বলে। কিন্তু নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন, গাছ লাগালেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আমরা বাঁচতে পারব না।

আরও পড়ুন

গাছ লাগানোর ধারণাটি বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বিশ্বের বনভূমি রক্ষার জন্য এবং কেটে ফেলা গাছ আবার লাগানোর জন্য একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করেছেন।  এই প্রচারণা কাজে লেগেছে। যুক্তরাজ্য সরকার গত এক দশকে লাখ লাখ গাছ লাগিয়েছে। ২০১৬ সালে ভারতের একটি রাজ্য একদিনে ৫ কোটি গাছ লাগানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইথিওপিয়া একদিনে ৩৫ কোটি গাছ লাগানোর দাবি করেছে। সরকার থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠানই গাছ লাগাতে উৎসাহিত করে, প্রচারণা চালায়। কিন্তু আসলে কি কাজের কাজ কিছু হচ্ছে?

বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?

যে বন এখনো টিকে আছে, সে বন রক্ষা করা এবং নতুন গাছ লাগানো নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, গাছের ওপর খুব বেশি ভরসা করা ঠিক হবে না। বিশেষ করে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, আমরা যদি অতিরিক্ত এক ট্রিলিয়ন গাছ লাগাতে পারি, তবে বর্তমানে বাতাসে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইডের এক চতুর্থাংশ অপসারণ করতে পারব। এই পরিসংখ্যানগুলোকে অনেকে অতিরঞ্জিত বলেছেন। তবে এ থেকে বোঝা যায়, এত বিপুল সংখ্যক গাছ লাগানো শুধু কঠিন না, প্রায় অসম্ভব। এত বিপুল পরিমাণ গাছ লাগাতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ধীর হতে সাহায্য করবে। তবে এত গাছ লাগিয়েও জলবায়ু পরিবর্তনকে আমরা ঠেকিয়ে দিতে পারব না।

এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল আমরা টের পাচ্ছি। গ্রিনহাউস গ্যাস, বিশেষ করে কার্বন ডাইঅক্সাইড পৃথিবীর জলবায়ুকে এমনভাবে উত্তপ্ত করেছে, যা ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। ফলে মেরু অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ বরফের স্তরগুলো গলে যাচ্ছে। বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন এবং খরার মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো ঘন ঘন ঘটছে।

আরও পড়ুন
মানবজাতিকে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বাতাস থেকে কার্বন অপসারণের আরও উপায়ও খুঁজে বের করতে হবে।

গাছ লাগানোর আগে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করা জরুরি

বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন টেনে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো গাছ। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ধীর করতে আমাদের সব গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বন্ধ করতে হবে। যেমন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সৌরশক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করতে হবে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের সবচেয়ে বড় উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো বন উজাড় করা। কারণ, গাছ কাটার সময় সেগুলোতে জমে থাকা বেশিরভাগ কার্বন বাতাসে নির্গত হয়। বিশেষ করে যদি কাঠ পোড়ানো হয়। যেমন, ২০১৭ সালে ভূমি ব্যবহারের প্রয়োজনে বন উজাড় করার হিসাব থেকে দেখা গেছে, বিশ্বের মোট ৪১ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মধ্যে প্রায় চার বিলিয়ন টন শুধু বন উজারের কারণে হয়েছে। মানে, যদি পুরোপুরি গাছ কাটা বন্ধ করা যায়, তবে বার্ষিক কার্বন নির্গমন প্রায় ১০ শতাংশ কমে যাবে।

তবে সব নির্গমন বন্ধ করলেই জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো সম্ভব হবে না। এই মুহূর্তে আমরা এত কার্বন নির্গত করছি, পাশাপাশি নির্গমন কমানোর পদক্ষেপ নিতেও দেশগুলো এত দেরি করেছে যে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় উষ্ণতা সীমিত করার লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা নিশ্চিতভাবে ব্যর্থ হতে যাচ্ছি। এর মানে, মানবজাতিকে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বাতাস থেকে কার্বন অপসারণের আরও উপায়ও খুঁজে বের করতে হবে।

কারখানা থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে

গাছের জীবনচক্র এবং কার্বন শোষণ

যতদিন একটি গাছ বেঁচে থাকে, ততদিন কার্বন সেই গাছের মধ্যে আটকে থাকে। একটি গাছ কয়েক দশক বা শতাব্দী ধরে বাঁচতে পারে। তবে একটি নতুন গাছ তৈরি হতে সময় লাগে। গাছ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। নতুন গাছ লাগানো খুব ভালো। কিন্তু গাছ খুব ধীরে বাড়ে। একটি গাছে বেশি কার্বন শোষণ করার মতো বড় হতে কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশক লেগে যায়। সমস্যা হলো, এই সময়ের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোর নিঃসরণ বন্ধ থাকে না। তাই শুধু গাছ লাগিয়ে কার্বন নিঃসরণের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সম্ভব নয়।

শুধু গাছ লাগালেই হবে না। মূলত বনগুলোকেও রক্ষা করতে হবে। বন কেটে ফেলার মতো সমস্যা আমাদের আছে। যেমন শুরুতে বলেছি, একটি বনে টিকে আছে মাত্র একটি গাছ। এভাবে আমাদের দেশসহ বিশ্বের বহু দেশে বন কেটে চাষের জমি বের করা হয়েছে। এটি একটি বড় সমস্যা। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক কিছু দুর্যোগও আছে। যেমন দাবানল। দাবানল বিশ্বের বহু দেশের মূল্যবান বন ধ্বংস করে দেয়। গাছগুলোতে জমা কার্বন বাতাসে ছেড়ে দেয়। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও দ্রুত করে তোলে। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবানলের সংখ্যা এবং তীব্রতা দুটোই বাড়ছে। গত কয়েক মাসে সিরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়ানক দাবানল দেখেছে বিশ্ববাসী। তাই গাছ লাগানোর পাশাপাশি দাবানল ঠেকানোও খুব জরুরি। 

পাশাপাশি একটা বন ধ্বংস হলে সেখানকার বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। যেমন কক্সবাজারের বনে টিকে নেই কোনো প্রাণী। জলবায়ু পরিবর্তনও বাস্তুতন্ত্রকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। গাছ এই জটিল বাস্তুতন্ত্রের একটি অংশ। বিভিন্ন ধরনের জীবের টিকে থাকার জন্য গাছ জরুরি। শুধু নতুন গাছ লাগালেই এই জটিল বাস্তুতন্ত্র পুরোপুরি ঠিক হবে না। বন এবং বাস্তুতন্ত্র তৈরি হতে অনেক বছর, এমনকি কয়েক দশক সময় লেগে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ওই সময়টা আমাদের হাতে নেই।

আরও পড়ুন
গাছ শুধু অক্সিজেন নির্গত করে না। উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে। এর জটিল প্রভাব রয়েছে। একে বলে এরোসল। গাছের কারণে বনে হালকা কুয়াশা তৈরি করে।

সবখানে গাছ লাগানো সমাধান না

ধরে নেওয়া যাক, আমরা অতিরিক্ত গাছ লাগাতে সক্ষম হলাম। এতেও সমস্যা রয়েছে। গাছ নানা উপায়ে জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। প্রথম সমস্যা হলো, গাছ জমিকে ঢেকে দেয়। গাছের নিচে থাকে ছায়া। আরও গাছ লাগালে সাধারণত জমি আরও অন্ধকার হবে। যেহেতু অন্ধকার পৃষ্ঠগুলো বেশি তাপ শোষণ করে, একটি গাছ দিয়ে ঢাকা অন্ধকার পৃষ্ঠ সূর্যের তাপ আরও আটকে রাখবে। এভাবে স্থানীয় জলবায়ু আরও উষ্ণ হবে। অবশ্য অন্য বিজ্ঞানীরা এই সমস্যাটি অতিরঞ্জিত বলেছেন।

এর পাশাপাশি গাছের কার্বন গ্রহণ করা এবং অতিরিক্ত তাপ আটকে রাখার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য রয়েছে। মানে গাছ লাগালে কেবল নির্দিষ্ট কিছু স্থানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ২০০৭ সালের একটি গবেষণা নিশ্চিত করেছে, নতুন গাছ লাগানোর সেরা জায়গা হল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল। এ অঞ্চলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সবচেয়ে বেশি কার্বন আটকে রাখে। এর বিপরীতে, মেরু অঞ্চলের বরফময় অঞ্চলে গাছ লাগালে গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। এভাবে নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতে—যেমন যুক্তরাজ্য, ইউরোপের বেশিরভাগ অংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে গাছ লাগানো হলে জলবায়ুতে গড়ে তেমন কোনো প্রভাব নাও থাকতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা বনায়ন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলেন। 

দাবানলে পুড়ে যায় বন

গাছ শুধু অক্সিজেন নির্গত করে না। উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে। এর জটিল প্রভাব রয়েছে। একে বলে এরোসল। গাছের কারণে বনে হালকা কুয়াশা তৈরি করে। এটি সূর্যের আলো মহাকাশে ফিরিয়ে দেয়। ফলে স্থানীয় পরিবেশ শীতল থাকে। তবে গাছ লাগানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হলো, এই গাছ থেকে বের হওয়া পানির কণা এবং উদ্বায়ী পদার্থ মেঘের ফোঁটার বীজ হিসেবে কাজ করে। নিচু মেঘ তৈরি করে। ঘন নিচু মেঘ সূর্যের আলোকে মহাকাশে ফিরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন

গাছ জলবায়ু সমস্যা সমাধানে কতটা সাহায্য করতে পারে

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি গ্রিনহাউস গ্যাস অপসারণ প্রযুক্তি বিষয়ে ২০১৮ সালের রিপোর্টে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তারা অনুমান করেছে, বনায়ন প্রতি বছর তিন বিলিয়ন থেকে ১৮ বিলিয়ন টন কার্বন অপসারণ করতে পারে।  

তবে গাছ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। যেমন, জলবায়ু আরও অনেক দশক ধরে পরিবর্তিত হতে থাকবে। এটি গাছের আচরণ ও বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করবে। তবে আমরা এখনো জানি না ঠিক কীভাবে এই প্রভাব দেখা যাবে। গবেষকেরা প্রশ্ন করছেন, নতুন গাছ লাগালে সেগুলো কি সঠিক পুষ্টি পাবে? অতিরক্ত দাবানল বা খরা কি গাছের বৃদ্ধি কমিয়ে দেবে? অন্যদিকে শুষ্ক অঞ্চলে গাছ লাগানো হলে পানির অভাব দেখা দিতে পারে। কারণ, গাছ অনেক পানি শোষণ করে।

গাছ লাগানোর বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। যেমন, ২০১৮ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শুষ্ক গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে ব্যাপক গাছ লাগালে আবহাওয়ার ধরণে পরিবর্তন আসবে। এতে স্থলভাগে আরও বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ফলে বাড়বে উদ্ভিদের বৃদ্ধি। এতে আরও কার্বন জমা হওয়ার সুযোগ পাবে।

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক গাছ লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে দ্রুত বর্ধনশীল বাণিজ্যিক প্রজাতির গাছ। যেমন ইউক্যালিপটাস। এর কোনো জীববৈচিত্র্যগত সুবিধা নেই।

গাছ লাগানো শুধু জলবায়ু পরিবর্তন থামানোর বিষয় না। জলবায়ুর এই জরুরি অবস্থায় আমরা একটি জীববৈচিত্র্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছি। তাই গাছ লাগানো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যদি আমরা বনায়নে জন্য গবেষণা করে সঠিকভাবে গাছ লাগাই। যদি আমরা জীববৈচিত্র টিকিয়ে রাখতে বনায়নের পরিকল্পনা করি।

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক গাছ লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে দ্রুত বর্ধনশীল বাণিজ্যিক প্রজাতির গাছ। যেমন ইউক্যালিপটাস। এর কোনো জীববৈচিত্র্যগত সুবিধা নেই। স্থানীয় প্রজাতি বা বন পুনরুদ্ধার করার জন্য পরীকল্পনা করে গাছ লাগাতে হবে। স্থানীয় জীববৈচিত্র্য টিকলে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে। 

তবে যেসব এলাকা এখন কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ছাগল বা ভেড়ার মতো পশু চড়ে, সেখানে গাছ লাগিয়ে বন পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব। তাই সামাজিকভাবে কৃষিকে বিবেচনায় নিয়ে বনায়ন করতে হবে। জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কৃষি ও বনজ পরিবেশের মধ্যে এই ধরনের বিরোধ সব দেশেই আছে। তাই মুখে আমরা যতই বলি, ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’। গাছ বা বন টিকিয়ে রাখা আমাদের মতো কৃষিভিত্তিক সমাজে খুব কঠিন।

লেখক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, কিশোর আলো

সূত্র: বিবিসি এবং সায়েন্স এবিসি