বেশির ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের হাত-পায়ে নখ দেখা যায়। দেখতে সাদা ও পাতলা নখ আসলে দেহের একধরনের মৃতকোষ। কেরাটিন নামের একপ্রকার প্রোটিন দিয়ে এই মৃতকোষ তৈরি।
দেহে নানা জৈবিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় কেরাটিন। নানা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সেসব কেরাটিন একত্রিত হয়ে হাত বা পায়ের আঙুলের কাছ দিয়ে দেহের বাইরে বেরিয়ে পড়ে, সেটাই নখ। এটি তার নিচের নরম ও সংবেদনশীল অংশকে ঢেকে রেখে রক্ষা করে। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ করে নখ। এক হিসেবে দেখা গেছে, হাত-পায়ের নখ প্রতিবছর গড়ে দুই ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পায়। অবশ্য মানুষের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নখের বৃদ্ধিও তুলনামুলকভাবে কমে যায়। আবার পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
মৃতকোষ হওয়ার কারণে নখে কোনো স্নায়ু কোষ থাকে না। স্নায়ু কোষের মাধ্যমে আমরা দেহে ব্যথার অনুভূতি পাই।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নখের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। নখের অবস্থা দেখেই চিকিৎসকরা কারো শরীরের রোগ সম্পর্কে আঁচ করতে পারেন। কারণ রক্ত, ধমনী, যকৃত বা ফুসফুসের নানা রোগের লক্ষণ নখে ফুটে ওঠে। যেমন বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের নখ নীলচে রঙের, তাদের সংবহন তন্ত্রে সমস্যা আছে। আবার যাদের নখ ভঙ্গুর, তাদের দুর্বল সংবহন তন্ত্র অথবা পুষ্টিগত সমস্যা থাকে।
মৃতকোষ হওয়ার কারণে নখে কোনো স্নায়ু কোষ থাকে না। স্নায়ু কোষের মাধ্যমে আমরা দেহে ব্যথার অনুভূতি পাই। তাই নখ কাটলে কোনো ব্যথা লাগে না। একই কারণে চুল কাটলেও ব্যথা লাগে না।