বিল গেটস ও মার্ক জাকারবার্গকে সফল হতে সাহায্য করেছিল যে ৫ বই
বিশ্বের সবচেয়ে সফল আর ধনী মানুষদের মধ্যে বিল গেটস ও মার্ক জাকারবার্গ অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কিংবা ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ একটা কথা বারবার বলেন। তাঁদের এই আকাশছোঁয়া সাফল্যের পেছনে অন্যতম বড় ভূমিকা রেখেছে তাঁদের বই পড়ার অভ্যাস।
ভাবছেন, কতটা বইপাগল তাঁরা? শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন! বিল গেটস বছরে প্রায় ৫০টি বই শেষ করেন। আর জাকারবার্গ তো রীতিমতো একটি অনলাইন বুক ক্লাব খুলেছেন। সেখানে তিনি প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে নতুন বই পড়েন।
গত কয়েক বছরে এই দুই ধনকুবের যে বইগুলো সবাইকে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন, সেখান থেকে ৫টি বই সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
১. ক্রিয়েটিভিটি, ইনক.—এড ক্যাটমুল
পিক্সারের নাম হয়তো শুনে থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যানিমেশন জায়ান্ট একের পর এক ব্লকবাস্টার মুভি উপহার দিয়েছে। পিক্সারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এড ক্যাটমুল। এই বইয়ে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি কোম্পানি চালানো উচিত আর কীভাবে কর্মীদের সৃজনশীলতাকে গলা টিপে মারা উচিত নয়। জাকারবার্গ বলেন, এই বই পড়লে জানা যায়, বড় কোম্পানিগুলো কীভাবে উদ্ভাবনকে বাঁচিয়ে রাখে।
২. দ্য জিন: অ্যান ইন্টিমেট হিস্ট্রি—সিদ্ধার্থ মুখার্জি
বিজ্ঞান আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে কীভাবে বদলে দিতে পারে? এই কঠিন বিষয়কেই খুব সহজ করে তুলে ধরেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক ও চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখার্জি। বিল গেটস এই বইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গেটস মনে করেন, নতুন জিনোম প্রযুক্তি যেহেতু আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করবে, তাই সাধারণ মানুষের এই বই পড়া জরুরি।
৩. স্যাপিয়েনস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড—ইউভাল নোয়া হারারি
আজ আমরা যেমন একা, কিন্তু চিরকাল কি এমনই ছিল? না! প্রায় ১ লাখ বছর আগেও আমাদের মতো আরও অন্তত ছয় প্রজাতির মানুষ ছিল। তাহলে হোমো স্যাপিয়েনস বা আধুনিক মানুষই কেন টিকে থাকল? এই রহস্যের জবাব খোঁজা হয়েছে মাত্র ৪০০ পাতার এই বইয়ে। বিল গেটস আর তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা বইটি পড়েছিলেন। গেটসের মতে, যাঁরা নিজেদের প্রজাতি ও তার ভবিষ্যৎ জানতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এ বইটি দারুণ।
৪. শু ডগ—ফিল নাইট
জুতা তৈরির কোম্পানি নাইকির সহপ্রতিষ্ঠাতা ফিল নাইট। এই বইয়ে ফিল নাইট নাইকি তৈরির ভেতরের গল্প বলেছেন। বিল গেটস বইটিকে দ্বিধাহীন সত্যের এক স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করেন। গেটস বলেছেন, সাফল্যের রাস্তা কখনো সোজা হয় না। এটা আসলে ভুল সিদ্ধান্ত, ব্যর্থতার গল্পভরা এক আঁকাবাঁকা পথ। প্রধান নির্বাহীরা সাধারণত নিজেদের ব্যর্থতার কথা বলেন না, কিন্তু এই বইয়ে নাইট যেভাবে নিজের ব্যর্থতার কথা বলেছেন, তা বিরল।
৫. দ্য স্ট্রাকচার অব সায়েন্টিফিক রেভল্যুশনস—টমাস এস কুন
বিজ্ঞান কীভাবে বদলে যায়? কীভাবে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা নিউটনীয় বলবিদ্যাকে প্রতিস্থাপন করেছিল? ১৯৬২ সালে প্রকাশিত এই বইটিতে কুন সেই ধারণাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। জাকারবার্গ মনে করেন, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সমাজকে কীভাবে বদলে দেয়, তা জানতে এই বই পড়া উচিত।