ভবিষ্যৎ পৃথিবীটা কেমন হবে? এআই প্রযুক্তি এগোচ্ছে তরতর করে। রোবট আর মানুষের সহাবস্থানের পৃথিবী কি সেটা হতে পারে? নাকি ভেঙে পড়তে পারে সমাজ ব্যবস্থা? এমনই এক পৃথিবীর গল্প দ্য ইলেকট্রিক স্টেট। যেখানে ভেঙেচুরে গেছে পৃথিবী, রোবটদের মানুষ শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং রীতিমতো ভয়ংকর এক যুদ্ধে হয়ে গেছে মানুষ ও রোবটদের। সেই পৃথিবীতে মিচেল নামে এক তরুণী তার হারিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজতে বেরিয়েছে। তার সঙ্গী? এক অদ্ভুত দর্শন রোবট!
এই পথচলায় তারা ভয়ংকর সব বিপদে পড়বে, পাড়ি দিতে হবে কান্তার মরু। আর দেখা হয়ে যাবে এক চোরাচালানকারীর সঙ্গে। এর ফলেই ঘুরে যাবে গল্পের মোড়। মিচেল কি তার ভাইকে ফিরে পাবে? রোবটরা কি মানুষের জন্য খারাপ? নাকি পৃথিবীর আজন্ম দুর্ভাগ্য-বারবার তাকে ভেঙে চুরে ফেলবে সভ্যতার কেন্দ্রে থাকা সভ্য মানুষ? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এই মুভিতে।
দুর্বল চিত্রনাট্য, ধীর গতি, চরিত্রগুলোর গভীরতার অভাব দর্শককে একটু বিরক্তও করতে পারে। অবশ্য রটেন টমেটোস-এ সমালোচকদের কাছে ভালো রেটিং না পেলেও প্রায় ৬৮% ভালো রিভিউ পেয়েছে দর্শকদের কাছে।
একটা মুভি কি একই সঙ্গে লাইভ অ্যাকশন আর অ্যানিমেটেড হতে পারে? এই মুভিকে ঠিক তা-ই বলা যায়। লাইভ অ্যাকশন আর অ্যানিমেটেড মুভির মিশেল। মনে হবে, যেন হুট করে ঢুকে পড়েছেন বিচিত্র এক অ্যানিমেটেড দুনিয়ায়। কিংবা কমিকস বইয়ের ভেতরে। চোখ জুড়ানো স্বপ্নময় দৃশ্য, দুর্দান্ত ভিজ্যুয়াল মুগ্ধ করতে পারে। সেই সঙ্গে স্ট্রেঞ্জার থিংসখ্যাত মিলি ববি ব্রাউনের অভিনয় যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের তো ভালো লাগবেই।
একজনরে
মুভির নাম: দ্য ইলেকট্রিক স্টেট
পরিচালক: অ্যান্টনি রুশো এবং জো রুশো
ধরন: অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, ড্রামা
প্রকাশকাল: ২০২৫
ব্যাপ্তি: ২ ঘণ্টা ৪ মিনিট
আইএমডিবি রেটিং: ৫.৯
সর্বকালের সেরা না হোক, ভবিষ্যতের অদ্ভুত পৃথিবী, রোবট বনাম মানুষ, অ্যাডভেঞ্চার ইত্যাদি যাঁরা পছন্দ করেন, দুর্দান্ত অ্যানিমেশন দেখতে চান, তাঁরা হতাশ হবেন না।
সাইমন স্ট্যালেনহাগের সুইডিশ ইলাস্ট্রেটেড নভেল প্যাসাজেন (দ্য প্যাসেজ) ইংরেজিতে এসে নাম বদলে হয়ে গেছে দ্য ইলেকট্রিক স্টেট। তবে দ্য প্যাসেজ বা ‘পথচলা’ বলেই হয়তো মুভিটিকে ভালো বোঝানো যায়। তবে দ্য গার্ডিয়ান এক রিভিউতে লিখেছে, গল্পটা যতটা আকর্ষণীয় হতে পারত, ততটা হয়নি। কথাটা সত্যি। দুর্বল চিত্রনাট্য, ধীর গতি, চরিত্রগুলোর গভীরতার অভাব দর্শককে একটু বিরক্তও করতে পারে। অবশ্য রটেন টমেটোস-এ সমালোচকদের কাছে ভালো রেটিং না পেলেও প্রায় ৬৮% ভালো রিভিউ পেয়েছে দর্শকদের কাছে। কাজেই সাধারণ দর্শক হিসেবে আপনার ভালো লাগতে পারে মুভিটি।
সর্বকালের সেরা না হোক, ভবিষ্যতের অদ্ভুত পৃথিবী, রোবট বনাম মানুষ, অ্যাডভেঞ্চার ইত্যাদি যাঁরা পছন্দ করেন, দুর্দান্ত অ্যানিমেশন দেখতে চান, তাঁরা হতাশ হবেন না। অন্তত একবার তো দেখতেই পারেন। দেখতে দেখতে টের পাবেন, চোখে লেগে আছে দুর্দান্ত অ্যানিমেশনগুলো। তবে পরিচালক হিসেবে ‘রুশো ব্রাদার্স’-এর নাম জানার পর আফসোস হতেই পারে যে মুভিটা আরও ভালো হতেও পারত!