দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে আই। দেয়ালে টেপ দিয়ে ছোট্ট একটি চিরকুট সাঁটানো। চিরকুট তুলে ফেলার পর রং কিছুটা চটে গেছে। রং চটা অংশটার দিকেই দীর্ঘ সময় তাকিয়ে আছে সে। কখন থেকে তাকিয়ে আছে, জানে না। হঠাৎ কী মনে পড়তে সম্বিত ফিরল। টেবিলের ওপর নীল ঘড়িটার কাঁটায় চোখ পড়তে দেখল, রাত ১টা ৪৭ মিনিট।
রাতে সে প্রায় ঘুমায় না। ১টা ৪৭ মিনিটও তার কাছে খুব বেশি রাত মনে হয়নি। আই জানালার পাশে চেয়ারে বসে আছে। জানালা দিয়ে হু হু করে ঢুকছে শীতল বাতাস। মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে। বৃষ্টি আইয়ের অনেক পছন্দ। বর্ষা আর বসন্ত ওর প্রিয় ঋতু। গত রাতে না ঘুমানোর জন্য মাথাটা ঝিম ঝিম করছে। ভাবল, কিছুক্ষণ মেডিটেশন করলে খারাপ হয় না। মেডিটেশনের ফলে শ্বাসের ব্যায়াম হয়। নিয়মিত গভীর দম চর্চায় জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়। কর্মব্যস্ততার পর শরীর সহজেই শিথিল হয়ে পড়ে। নিজেকে স্থির করতে প্রায়ই এটা করতে হয় ওকে। গভীর নিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক কখন যেন আই ঘুমিয়ে গেছে।
আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। চোখ খোলার পর বুঝতে পারছে না, এখন সে কোথায় আছে! কেমন যেন অচেনা মনে হচ্ছে সবকিছু। এখন কি সকাল নাকি সন্ধ্যা! চারিদিক মেঘে ঢেকে কালো হয়ে আছে। বোঝার চেষ্টা করছে, কোথায় আছে সে। কয়েক মিনিট পরেই ঘরের মেঝেতে নিজেকে আবিষ্কার করে আই। শরীর ঠান্ডা হয়ে আছে। মাথা ব্যথা হচ্ছে। শুরুতে কয়েক মিনিট তার কাছে জায়গাটা অচেনা মনে হলো। কিন্তু কেন?
শুধু তা-ই নয়, কিছুদিন ধরে লিখতে গেলে খেয়াল করে, খুব পরিচিত শব্দের বানান ভুলে গেছে। মনে হয় এমন শব্দ সে কোনোদিন শোনেনি। এই তো সেদিন, পরীক্ষার হলে ‘Mathematics’ বানানটি সে ভুলে গিয়েছিল। অথচ এই শব্দ সে দিনে একবার হলেও লেখে। পরে পরীক্ষার হলে এক বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করায় সে ক্ষেপে গেল। বলেই ফেলল, ‘পরীক্ষার হলে মজা করিস? একটা ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেব! আচ্ছা, তার কি জ্যামাই ভু হচ্ছে?’
কিন্তু জ্যামাই ভু কী? পরিচিত কোনো বস্তুকে অপরিচিত অনুভূত হওয়াই জ্যামাই ভু। নিত্যদিনের অনেক পরিচিত জিনিস হঠাৎ একদম অচেনা লাগে। এই অদ্ভুত অনুভূতি ক্ষণস্থায়ী। এই ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়।
সকালে দুটি ক্লাস ছিল। ক্লাসে যেতে পারেনি। ব্যাপারটাতে নিজের ওপর কিছুটা বিরক্ত হলো আই। তার অস্বাভাবিক জীবনযাপন প্রাত্যাহিক কাজে প্রভাব ফেলছে। ঘুম থেকে উঠে আই চা পান করে। চা নিয়ে বসল টেবিলে। সারাদিন কী কী কাজ করবে, তার একটা টু ডু লিস্ট করা দরকার।
আজকের তারিখ লিখতে গিয়ে অবাক হলো আই। ১২/০৬/২৪। আরে বাহ্, এটাকে একটু গুছিয়ে লিখলে হয় ০৬/১২/২৪। একটু অন্যভাবে লিখলে তারিখটা থেকে একটা গাণিতিক ধারা পাওয়া যায়।
১২ – ৬ = ৬×১
২৪ – ১২ = ১২=৬×২
ব্যাপারটা মজার তো!
আচ্ছা ২৪-এর পরে যদি ৪৮ দেওয়া হয়, তাহলে হবে:
৬ + ১২ + ২৪ + ৪৮…
এই ধারার প্রথম পদ = ৬
দ্বিতীয় পদ = ১২
তৃতীয় পদ = ২৪
চতুর্থ পদ = ৪৮
দ্বিতীয় পদের সঙ্গে প্রথম পদের অনুপাত = ১২/৬=২
তৃতীয় পদের সঙ্গে দ্বিতীয় পদের অনুপাত = ২৪/১২=২
চতুর্থ পদের সঙ্গে তৃতীয় পদের অনুপাত = ৪৮/২৪=২
কোনো ধারার যেকোনো পদ ও আগের পদের অনুপাত সব সময় সমান হলে তাকে বলে গুণোত্তর ধারা। তাহলে এখান থেকে একটা গুণোত্তর ধারা পাওয়া যায়। এই ধারায় যেকোনো পদ ও এর আগের পদের অনুপাত সব সময় সমান। উল্লেখিত ধারায় সাধারণ অনুপাত ২। ধারাটির পদসংখ্যা নির্দিষ্ট। এ জন্য এটি একটি গুণোত্তর সসীম ধারা।
সন্ধ্যার পরে বাসায় এসে কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না আই। কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যাওয়ায় কিছু ভালো লাগছে না। কিছুক্ষণ চা বিলাস করা যাক! সারাদিন চায়ের সঙ্গে চিনি শরীরে যাওয়ায় হয়তো এত অস্থির লাগছে। তারচেয়েও বড় কথা, ইদানিং আইয়ের ধ্যানে ডুবে থাকতে ভালো লাগছে! এতে মনে হয়, আত্মা শরীর থেকে বেরিয়ে মহাবিশ্বে মুক্তভাবে বিচরণ করার সুযোগ পায়!
এনি আকাশে উড্ডয়নরত অবস্থায় আকস্মিক বাতাসের গতিবেগ পাল্টে যায়। শুরু হয় ঝড়ো বাতাস।
নিজেকে সব রকমভাবে রিলাক্স করে আবারও সুখাসনে বসল আই। সে কি, আই কোথায় যেন চলে এসেছে! জায়গাটা চিনতে পারছে না। ওখানকার মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদও খুব অদ্ভুত! দুই মাতাল ঝগড়া করছিল। পাওনা টাকা নিয়েই ঝগড়া। একজনের দাবি, সে ১০০০ রুবল দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু অন্যজন নারাজ। তার দাবি ৮০০ রুবল দেওয়া হয়েছে! অবাক হয়ে চারপাশ দেখছিল আই! একটি সাইনবোর্ড চোখে পড়ল। বড় করে লেখা IMARET। অর্থাৎ, ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্রাম ও সহজে খাবার পাওয়া যায় এখানে। পাশে ছোট অক্ষরে লেখা ‘পিটার্সবার্গ’!
রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পিটার্সবার্গ। মানে সে এখন রাশিয়ায়! কিন্তু সে ওখানে কীভাবে পৌঁছাল! আরও অবাক করার বিষয়, রুশ ভাষা বুঝতে ও পড়তে পারছে আই! হঠাৎ সে খেয়াল করল, একটা জায়গায় স্ক্রিনে কিছু মানুষ কৌতূহলী হয়ে সরাসরি সংবাদ দেখছে। সংবাদে দেখাচ্ছে ‘এনি’ নামে এক নভোচারী নিখোঁজ! উদ্ধারকর্মীরা তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াচ্ছে তাকে!
মহাকাশ কার্যকলাপের জন্য রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস কিছু প্রশিক্ষণরত নভোচারীকে ভেলেনস্কি পর্বতে ভ্রমণে পাঠায়। সেখানেই তারা প্যারাসুট ফ্লাইংয়ের আয়োজন করে। এনি আকাশে উড্ডয়নরত অবস্থায় আকস্মিক বাতাসের গতিবেগ পাল্টে যায়। শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। ২৭ বছর বয়সী এনি ছিলেন পেশায় নভোযান প্রকৌশলী।
আই কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না ঠিক কী হচ্ছে! এদিকে সে হঠাৎ পিটার্সবার্গ এসে হাজির! IMARET জায়গাটা জনবহুল। অপরিচিত এক মহিলা কাবাব আর স্যুপ নিয়ে যাওয়ার সময় ধাক্কা লাগে আইয়ের সঙ্গে। গায়ে কিছু স্যুপ পড়ে যায়। দাগ পড়ে গেছে সাদা টি-শার্টে।
সংবাদে দেখা যাচ্ছে, কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর এনিকে একটা পাহাড়ের পাদদেশে পাওয়া গেছে! বাতাসের বেগ বাড়ায় প্যারাসুট উঁচু পর্বতচূড়ায় চলে গিয়েছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায়, বায়ুর চাপ তত কমতে থাকে। উচ্চ পর্বতচূড়ায় বায়ুর চাপ কম থাকায় শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় রক্তনালিতে প্রচন্ড চাপ পড়ে। ফলে আহত হয় এনি। নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। কিছুক্ষণ পর এনির হুঁশ ফেরে।
আই তার এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবছে। এটা কি সত্যিই হয়েছে নাকি অবচেতন মনের কল্পনা। নাকি পুরোটাই স্বপ্ন? কিন্তু টি-শার্টে যে স্যুপের দাগ দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি সত্যি সে পিটার্সবার্গে গিয়েছিল!
চোখ খুলে আই দেখল, ভোরের আলোয় চারিদিকে কমলা রঙে ছেয়ে গেছে। সে শক্ত হয়ে মেঝেতে বসে আছে। কিন্তু এতক্ষণ আই কোথায় ছিল! সে কি অবচেতন মনের কল্পনায় ডুবে ছিল? কিন্তু সে যে রুশ ভাষা পড়তে পারছিল! বিস্ময়ের সীমা ছাড়িয়ে গেল নিজের টি-শার্টের দিকে তাকিয়ে। স্যুপের দাগ লেগে আছে!
আই তার এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবছে। এটা কি সত্যিই হয়েছে নাকি অবচেতন মনের কল্পনা। নাকি পুরোটাই স্বপ্ন? কিন্তু টি-শার্টে যে স্যুপের দাগ দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি সত্যি সে পিটার্সবার্গে গিয়েছিল!
এই ঘটনার পর আইয়ের কঠিন জ্বর হয়েছে। ঘটনাটি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো। জ্বরের ঘোরে একটা বিষয় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। মাল্টিডাইমেনশন! সময়ের ধারণা প্রকাশ করে মাল্টিডাইমেনশন। এটা কি পঞ্চম মাত্রার সঙ্গে কোনোভাবে সংযুক্ত? অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি একই সময়ে দুই জায়গায় অবস্থান করতে পারে। আই নিজের রুমে বসেছিল, আবার একই সময় চলে গিয়েছিল পিটার্সবার্গে। ব্যাপারটা পঞ্চম মাত্রার ইঙ্গিত করে। পঞ্চম মাত্রা বলতে আলাদা একটা স্থানকে কল্পনা করা হয়। এই স্থানের সৃষ্টি বিগ ব্যাংয়ের পরে। পদার্থবিজ্ঞানে পঞ্চম মাত্রা বলতে খুব ছোট স্থানের একটি ক্ষুদ্র মাত্রা বোঝায়। এরা সাবঅ্যাটমিক পার্টিকেল বা উপপারমাণবিক কণার মতো ক্ষুদ্র জায়গায় অবস্থান করে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়।
পঞ্চম মাত্রা মানুষের অভিজ্ঞতা, স্মৃতি এবং অনুভূতিগুলোর একটি জটিল নেটওয়ার্ক। এই স্তরে চিন্তাভাবনা কেবল যুক্তির উপলব্ধির দিয়ে পরিচালিত হয় না বরং মানুষের অন্তর্নিহিত আবেগ এবং অভিজ্ঞতাগুলোর সংমিশ্রণে ঘটে। এদিকে আই প্রায় মেডিটেশন করে ঘোরের মধ্যে ডুবে থাকে। আর পঞ্চম মাত্রায় অবচেতন মনের প্রভাব অনেক বেশি থাকে।
পর পর কয়েকদিন আই দিনের বেশির ভাগ সময় মেডিটেশনে থেকে জায়গাটিতে আবার যেতে চায়। আসলে এনি সম্পর্কে আরও জানতে চায় আই। কিন্তু সে আর পিটার্সবার্গে যেতে পারেনি। কিন্তু বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতেও পারছে না। কারণ, সে তো সত্যিই পিটার্সবার্গে গিয়েছিল।
মাল্টিডাইমেনশনের ব্যাপারটা নিয়ে সে অনলাইনে খুঁজল। কয়েকটা বই পড়ল। এরপর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিল। আই গণিতের শিক্ষার্থী। পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানেও তার যথেষ্ট আগ্রহ আছে।
শুরুতেই ব্রেনওয়েভ পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল আই। ব্রেনওয়েভ পর্যবেক্ষণের জন্য পোর্টেবল ডিভাইস ব্যবহার করে ইইজি পরীক্ষা করতে চায়। এতে মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিবর্তন রেকর্ড করা যাবে। কিন্তু আইয়ের তো মাউস হেডব্যান্ড নেই। কয়েক মাস আগে আই এক মনস্তত্ত্ববিদের কাছে গিয়েছিল। তখন একবার মাউস হেডব্যান্ড ব্যবহার করে আইয়ের ব্রেনওয়েভ পর্যবেক্ষণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ আইয়ের বিষয়টি মনে পড়ে।
এটি হয়তো মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট নিউরাল ফায়ারিং প্যাটার্নের ফলে তৈরি হয়েছে। কিন্তু এমন দ্বিগুণ হারে বর্ধনশীল সংখ্যার প্যাটার্ন কিসের ইঙ্গিত করে? ৬, ১২, ২৪, ৪৮...
সেদিনই আই ওই মনস্তত্ত্ববিদের সঙ্গে দেখা করে এবং পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। কিছুক্ষণ পরে সে মাউস হেডব্যান্ড পরে নেয়। চোখ বন্ধ করে গভীর মনোযোগ দিল প্রতিটি নিঃশ্বাসের দিকে। ব্রেনওয়েভ সেন্সরগুলো তার মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংগ্রহ করতে শুরু করল। আলফা, বিটা, থিটা, ডেল্টা—সবই স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই অদ্ভুত কিছু ঘটল। গভীর মনোযোগের সময় থিটা ওয়েভ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গামা ওয়েভও হঠাৎ করে তীব্রভাবে বেড়ে চলেছে। পরে আই ইইজি ডেটা সংগ্রহ করে পর্যবেক্ষণ করে। সাধারণত ইইজি ডেটা এলোমেলো থাকে কিন্তু আইয়ের সংগ্রহ করা ডেটাগুলো সাজানো। মনে হচ্ছে ব্রেনওয়েভের মাঝে একটি বিশেষ সংখ্যার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। গাণিতিক ধারা!
৬+১২+২৪+৪৮+৯৬+....
এটি হয়তো মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট নিউরাল ফায়ারিং প্যাটার্নের ফলে তৈরি হয়েছে। কিন্তু এমন দ্বিগুণ হারে বর্ধনশীল সংখ্যার প্যাটার্ন কিসের ইঙ্গিত করে? ৬, ১২, ২৪, ৪৮... সংখ্যাগুলো সময়ের প্রবাহের হার বোঝাচ্ছে হয়তো! সেখানে প্রতিটি মুহূর্ত দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। যদি পঞ্চম মাত্রায় কোনো বস্তু প্রবেশ করে, তবে তার জন্য সময়ের প্রবাহ দ্রুত বর্ধনশীল হতে পারে। পঞ্চম মাত্রায় সময়ের গতিবিধি পরিবর্তিত হয়। কিন্তু কোডের দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধিটি এক্সপোনেনশিয়াল টাইম ডাইলেশন নয়তো?
প্রাথমিকভাবে আই প্যাটার্নটিকে পঞ্চম মাত্রায় প্রবেশের সাংকেতিক কোড হিসেবে ধরে নিচ্ছে।
এই কোড তার মাথায় কী করে এল? এটি কি তার মস্তিষ্ক তৈরি করছে? নাকি পঞ্চম মাত্রা থেকে কোনো বিশেষ শক্তির উৎস তাকে এই কোড পাঠাচ্ছে!