আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের দিনলিপি

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দল

ক্যাঙ্গারু, সিডনি অপেরা হাউজ, শেন ওয়ার্ন আর ক্রিকেট—শব্দগুলো শুনলেই চোখের সামনে অস্ট্রেলিয়ার দৃশ্য ভেসে ওঠে। সেই অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত সানশাইন কোস্ট প্রকৃতির এক স্বর্গের মতোই। একদিকে বিশাল নীল সমুদ্রের গর্জন, অন্যদিকে সবুজে মোড়ানো পাহাড়ের হাতছানি। এই মনোরম পরিবেশই এবছর বিশ্বের অন্যতম কঠিন এক মেধার লড়াইয়ে ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়ছে। অলিম্পিয়াড কিন্তু শুধু গণিতের জটিল সমস্যার সমাধানের জায়গা নয়। তরুণ গণিতবিদদের জন্য এটা ছিল এক বৈশ্বিক মিলনমেলা।

এবারের প্রতিযোগিতায় ১১০টি দেশের ৬৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। যদিও লিবিয়া ও বুরকিনা ফাসো থেকে কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। প্রথমবারের মতো শুধু দলনেতা পাঠিয়ে অংশ নিয়েছে লিবিয়া। এ ছাড়া লিখটেনস্টাইন ও ঘানা থেকে একজন করে শিক্ষার্থী অংশ নেয়। বতসোয়ানা, কিউবা, সাইপ্রাস, হন্ডুরাস ও আরব আমিরাত থেকে সবচেয়ে বেশি নারী শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে—৩ জন করে।

আরও পড়ুন

যাত্রার শুরু

১২ জুলাই। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ গণিত দল অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছায়। দলে ছিল ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মনামী জামান, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জাওয়াদ হামীম চৌধুরী, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের এম জামিউল হোসেন, চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি কলেজের জিতেন্দ্র বড়ুয়া, চট্টগ্রাম কলেজের মো. রায়হান সিদ্দিকী এবং ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের তাহসিন খান। তাদের সঙ্গে দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ গণিত দলের কোচ মাহবুবুল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ গণিত দলের উপদলনেতা ও গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। আর পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলাম আমি।

৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল ১৪ জুলাই। বিশ্ব গণিতের সেরা সব তারকারা একত্রিত হয়েছিলে এই আয়োজনে। উদ্বোধনী আয়োজন যেন এক উষ্ণ আবেশে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছিল। ১০০টির বেশি দেশের খুদে গণিতবিদদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল সানশাইন কোস্ট কনভেনশন সেন্টার ও তার আশপাশ। হোটেল থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ পেরিয়ে যখন সবাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিকে যাচ্ছিল, তখন সকালের হালকা শীত উপেক্ষা করে তাদের চোখেমুখে ছিল উৎসবের আনন্দ।

দ্বিতীয় এবং শেষ দিনের পরীক্ষা শেষে কোচ মাহবুব মজুমদারের সঙ্গে কথা বলছে শিক্ষার্থীরা

এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি ভিন্ন প্রথা দেখা গেল। সাধারণত দেশগুলো বর্ণানুক্রমিকভাবে মঞ্চে আসে। এবার দীর্ঘতম পথ পাড়ি দেওয়া দেশগুলো পেল সবার আগে মঞ্চে আসার সম্মান। আর এই সম্মান প্রথম পেল আফ্রিকার মরক্কো। অনুষ্ঠানে পুরোনো অনেক গণিত দলের সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ম্যাথ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জেফ্রি শিউট্রিম সবাইকে উষ্ণ আমন্ত্রণ জানান। আইএমও প্রেসিডেন্ট গ্রেগর ডলিনার তাঁর বক্তৃতায় এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড়, পুরোনো আর সম্মানজনক বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিযোগিতায় সবাইকে আমন্ত্রণ। এখানে আসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমী মনের দিকটি আমরা দেখতে পাচ্ছি। গণিতের এই বৈশ্বিক উৎসব প্রমাণ করে, যুক্তির দুনিয়ায় সীমানা বলে কিছু নেই, আছে শুধু অসীম সম্ভাবনা আর অফুরন্ত জ্ঞানান্বেষণের আকাঙ্ক্ষা।’

আরও পড়ুন

এক টুকরো স্বর্গে

এবারের আইএমও আসরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত সানশাইন কোস্টকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আর এটি যেন সত্যিই এক টুকরো স্বর্গ। বিখ্যাত সিডনি শহর থেকে প্রায় ১ হাজার মাইল দূরের এই উপকূলীয় অঞ্চলটি তার মনোরম সৈকত, উষ্ণ জলবায়ু আর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। একদিকে যেমন প্রশান্ত মহাসাগরের হাতছানি, অন্যদিকে বিশাল পর্বতমালার উপস্থিতি এই শহরের এক দারুণ বৈশিষ্ট্য। ট্রেকিংপ্রেমীদের জন্য এটি এক দারুণ জায়গা। এখানকার স্থানীয় সামুদ্রিক খাবার আর টাটকা ফলের স্বাদ ভোলার মতো নয়। প্রতিদিনই এই শহরের বিভিন্ন পথে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছি। এখানকার পরিবেশ এতই মুগ্ধকর যে, অলিম্পিয়াডের শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া জু, থিম পার্কসহ নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছে। সব মিলিয়ে প্রকৃতি ও আধুনিকতার এক দারুণ মিশেল এই সানশাইন কোস্ট।

রিসোর্টের ভেতরে লেকে ছিল ভলিবল ও নৌকা চালানোর ব্যবস্থা
আরও পড়ুন

গণিতের রণাঙ্গনে দুই দিন

পরীক্ষার প্রথম দিন ছিল ১৫ জুলাই। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল অন্যরকম ঔৎসুক্য। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় সানশাইন কোস্ট কনভেনশন সেন্টারের বিশাল হলরুমে পরীক্ষা শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দিন তিনটি সমস্যা সমাধানের জন্য সময় ছিল সাড়ে চার ঘণ্টা। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ছিল কম্বিনেটরিক্স, জ্যামিতি আর সংখ্যাতত্ত্বের তিনটি সমস্যা। ১৬ জুলাই ছিল দ্বিতীয় এবং শেষ দিনের পরীক্ষা। আইএমওর পরীক্ষা শেষে ১৭ ও ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের গাণিতিক চাপ কমাতে সাংস্কৃতিক ও ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। দুই দিনের পরীক্ষার ফাঁকেই বিকেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এর বিষয় ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গণিত শিক্ষা। এই সেমিনার থেকে কীভাবে গণিতের সমস্যা ও সমাধানের জন্য জিপিটি ব্যবহার করা যায়, তা শেখানো হয়। এটি ছিল গণিত ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনকে তুলে ধরার এক দারুণ সুযোগ। এ ছাড়া আইএমওর অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ দাবা প্রতিযোগিতা। কারণ, দাবার সঙ্গেও গণিতের গভীর সংযোগ আছে।

ব্রাজিল দলের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের শিক্ষার্থীরা
আরও পড়ুন
চারিদিকে সবুজের সমারোহ, পাখির কিচিরমিচির আর বন্যপ্রাণীর আভাস। শিক্ষার্থীদের কাছে কোয়ালা বেশ মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল

ক্যাঙ্গারু দেখা

পরীক্ষা পর্ব শেষে ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছিল এক ভিন্ন আয়োজন। সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়া জুতে। ১৮ জুলাই নিয়ে যাওয়া হয় অজিওয়ার্ল্ড নামে এক চমৎকার জায়গায়। গণিত অলিম্পিয়াডের কঠিন চাপ কাটিয়ে বন্যপ্রাণী ও অ্যাডভেঞ্চার উপভোগের জন্য এই ভ্রমণ ছিল দারুণ এক সুযোগ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে দেখা অদ্ভুত সব প্রাণীর খোঁজে খুদে গণিতবিদকে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়া জুতে। নীল জার্সি পরে, মাথায় হ্যাট আর দুরবিন নিয়ে তারা ঘুরে বেড়িয়েছে সবুজ প্রাঙ্গণে। অস্ট্রেলিয়া জু ৭০০ একর জায়গা নিয়ে তৈরি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য এটি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এর প্রবেশপথেই যেন এক অন্য জগতের হাতছানি। চারিদিকে সবুজের সমারোহ, পাখির কিচিরমিচির আর বন্যপ্রাণীর আভাস। শিক্ষার্থীদের কাছে কোয়ালা বেশ মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। তার অদ্ভুত ঘুমন্ত ভঙ্গি আর ইউক্যালিপটাস পাতা চিবানোর দৃশ্য যেন আরও বেশি আকর্ষণীয় ছিল।

আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের শিক্ষার্থীরা

এরপর আমরা গেলাম ক্যাঙ্গারু দেখতে। ক্যাঙ্গারুরা তাদের বিশাল পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছিল, সেই দৃশ্য ছিল সত্যিই মনোমুগ্ধকর। চিড়িয়াখানার ভেতরে প্রবেশ করতেই সবার চোখ আটকে গেল এক বিশাল খাঁচার দিকে। সেখানে দেখা যায় এক রাজকীয় বাঘ। তার চালচলনে অদ্ভুত আভিজাত্য। আমরা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেশের মানুষ বলে স্বভাবতই বাঘের প্রতি এক ভিন্ন টান অনুভব করি। দূর থেকে বাঘ মামাকে দেখেই আমরা সবাই  হাই জানিয়েছিলাম।

অস্ট্রেলিয়া জুর অন্যতম আকর্ষণ ছিল ক্রোকোসিয়ামের ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ারিয়র্স শো। দুপুরের শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। বিশাল অ্যারেনায় প্রশিক্ষকরা বিশাল আকৃতির কুমিরদের নিয়ে আসছিলেন ও নানা কসরত দেখাচ্ছিলেন। তাদের অবিশ্বাস্য শক্তি আর গতি দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম। শুধু কুমিরই নয়, মনোমুগ্ধকর নানা বর্ণের অচেনা পাখি আর সাপের খেলাও আমাদের আনন্দ দেয়। আফ্রিকান জিরাফ থেকে শুরু করে গন্ডার দেখে আমরা অবাক হই।

অস্ট্রেলিয়া জু-তে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ক্যাঙ্গারুর সঙ্গে ছবি তুলছে

গণিত অলিম্পিয়াডের চাপ কাটিয়ে এই ঘোরাঘুরি ও মজার মজার আয়োজনগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনের দারুণ সুযোগ করে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি গণিতকে ভিন্নভাবে ভালোবাসার এক জায়গা। বিশ্বের অনেক আলোচিত বিজ্ঞানী ও ব্যক্তিত্ব কৈশোরে এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছেন।

পদকের গল্প

১৯ জুলাই বিকেলে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয় এবারের আয়োজন। এবার মোট ৪২ নম্বরের মধ্যে যারা ৩৫ নম্বরের ওপরে পেয়েছে তারা স্বর্ণপদক; ২৮ নম্বরের ওপরে রৌপ্যপদক এবং ১৯ নম্বরের ওপরে ব্রোঞ্জপদক পাবে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সানশাইন কোস্ট কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র মারিয়া সুয়ারেজ বলেন, ‘১০ দিন ধরে বিশ্বের সেরা সব শিক্ষার্থীরা এই শহরে এসেছে বলে আমরা কৃতজ্ঞ। এমন একটি বৈশ্বিক আসরে সবার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা দেখার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত।’

এ বছর ১৩২ জন সম্মানজনক স্বীকৃতি লাভ করে। ৫ অঞ্চল থেকে ৫ জন মেধাবী নারী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় মির্জাখানি পদক। এরপর একে একে ব্রোঞ্জপদক, রৌপ্যপদক ও স্বর্ণপদকজয়ীদের মঞ্চে ডাকা হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ৬৭ জন স্বর্ণপদক, ১০৩ জন রৌপ্যপদক এবং ১৪৫ জন ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। বাংলাদেশ দল এবার ৩টি ব্রোঞ্জপদক ও ৩টি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ দল এবার ৩টি ব্রোঞ্জপদক ও ৩টি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে

গণিতের ৬৬তম বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ দল দলীয়ভাবে মোট ১১৩ নম্বর পেয়েছে। এবার বাংলাদেশ ২১তম বারের মতো আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ১টি স্বর্ণপদক, ৭টি রৌপ্যপদক, ৪০টি ব্রোঞ্জপদক ও ৪৭টি সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে।

সবশেষে, অস্ট্রেলিয়া দল চীনের গণিত অলিম্পিয়াড দলের হাতে আগামী বছরের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা হস্তান্তর করে। ২০২৬ সালের ৬৭তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড চীনের সাংহাইতে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুপ্রেরণাই যেন সব

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি গণিতকে ভিন্নভাবে ভালোবাসার এক জায়গা। বিশ্বের অনেক আলোচিত বিজ্ঞানী ও ব্যক্তিত্ব কৈশোরে এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার গণিতবিদ টেরেন্স টাও ২০০৬ সালে গণিতের নোবেল বলে পরিচিত ফিল্ডস মেডেল লাভ করেন। তিনি ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে একটি বিশেষ লেকচার দেন। এ ধরনের অভিজ্ঞতা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে দারুণভাবে পরিবর্তন আনতে পারে। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড এ বছরের আসর আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

উল্লেখ্য, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়। সেখান থেকেই ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য ছয় সদস্যের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচন করা হয়েছে।