ট্যাক্সি ড্রাইভার

অলংকরণ: আরাফাত করিম

প্রচণ্ড দাবদাহে উত্তপ্ত তাওয়া হয়ে উঠেছে যেন ফুটপাত। রাস্তার দিকে তাকালে চোখে পড়ে তাপতরঙ্গের ঝিলিমিলি।

অভিজাত এক অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের বাইরের সাইডওয়াকে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল চল্লিশোর্ধ্ব বিড ওয়াকার। ল্যাপটপের ব্যাগ ঝুলছে তার এক কাঁধে। কালো সানগ্লাসের আড়ালে থাকা চোখ দুটোয় খেলা করছে অস্থিরতা।

‘আসছে না কেন এখনো?’ বিড়বিড় করে উঠল বিড। সেলফোন বের করে সময় দেখতে যাচ্ছিল, এ সময় শাঁ করে সামনে এসে দাঁড়াল টিনটেড কাচঢাকা ঝাঁ-চকচকে এক অত্যাধুনিক রুপালি সেডান। সামনের প্যাসেঞ্জার ডোরটা নিজ থেকে খুলে গেলে চটজলদি গাড়িতে উঠে পড়ল লোকটা।

‘দেরি করে ফেলেছেন আপনি!’ অনুযোগ ঝরল বিডের কণ্ঠ থেকে। ঘাড় ফেরাতেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল একেবারে। কেউ নেই ড্রাইভিং সিটে!

হতভম্ব বিড ওয়াকার সানগ্লাস খুলে ফেলে চামড়ামোড়ানো গাড়ির সামনে-পেছনে চাইল। না, নেই-ই কেউ গাড়ির ভেতর!

‘এ কী কাণ্ড!’ বলে উঠল সে অনিশ্চিত কণ্ঠে।

সঙ্গে সঙ্গে জীবন্ত হয়ে উঠল কনসোলের একটা পর্দা। কালো পটভূমির ওপর নীল একটা রেখার আঁকিবুঁকি দেখা যাওয়ার পাশাপাশি শোনা গেল একটা নারীকণ্ঠ।

‘হ্যালো, স্যার।’ গলাটা যান্ত্রিক হলেও মিষ্টি। ‘আমি অ্যামা। আপনার ড্রাইভার।’

জবাব শুনে সন্তুষ্ট মনে হলো না বিডকে।

‘ভাবিনি যে সেলফ–ড্রাইভিং কার পাঠাবে ওরা,’ স্বগতোক্তি করল ও।

‘স্যার,’ জবাব দিল অ্যামা। ‘আমার রেকর্ড বলছে, সার্ভিস নেওয়ার সময় “যেকোনো” বাটনে ক্লিক করেছিলেন আপনি। এখন কি তাহলে সত্যিকারের ড্রাইভারের জন্য অপেক্ষা করতে চান?’

আরও পড়ুন
‘দেরি করে ফেলেছেন আপনি!’ অনুযোগ ঝরল বিডের কণ্ঠ থেকে। ঘাড় ফেরাতেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল একেবারে। কেউ নেই ড্রাইভিং সিটে!

‘না, না,’ তাড়াতাড়ি বলে উঠল বিড। ‘একদমই সময় নেই হাতে। উডসাইডের ৩১১ নম্বর আইভরি কোর্টে নিয়ে চলো এখন আমাকে।’ সম্বোধন বদলে ফেলেছে ও। ‘গাড়িঘোড়ার ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করবে।’

‘রুট টোয়েন্টি ফাইভে ট্রাফিক জ্যাম আছে, স্যার। এর বদলে কি তাহলে এল কামিনো রিয়েল দিয়ে যাব?’

‘সে আর বলতে!’

‘ওকে স্যার, যাচ্ছি। দয়া করে সিটবেল্ট বেঁধে নিন।’

নির্দেশ পালন করল বিড।

চলতে শুরু করল সেডান।

নড়েচড়ে আরাম করে বসল ওটার প্যাসেঞ্জার।

‘এসিটা কি চালিয়ে দেওয়া যায়?’ অনুরোধ করল ও। ‘যে গরম পড়েছে আজ!’

‘নিশ্চয়ই, স্যার।’

একটা লেখা ভেসে উঠল কনসোলের স্ক্রিনে: ঠান্ডা ৮০%।

‘আপনার সঙ্গে মোবাইল আর ল্যাপটপ আছে, দেখতে পাচ্ছি, স্যার। ওয়াই–ফাই হটস্পট রয়েছে গাড়িতে। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। একদম ফ্রি এটা।’

‘তুমি কি তাহলে দেখতে পাচ্ছ আমাকে?’

‘জি স্যার, পাচ্ছি। সব যাত্রীকেই মনিটর করি আমি। তা স্যার, নিতে চান ওয়াই–ফাই সংযোগ?’

‘আলবত।’

ল্যাপটপ বের করে খুলল ওটা বিড।

ঘোষণা করল অ্যামা, ‘সংযোগ দেওয়া হয়েছে, স্যার।’

‘থ্যাংক ইউ, এমা।’

‘নামটা অ্যামা, স্যার। এ এম এ।’

ল্যাপটপে টাইপ করা শুরু করে দিয়েছে বিড। জিজ্ঞেস করল, ‘মানে কী এর? অটোনোমাস মোটরাইজড…?’

‘না, স্যার। আর্টিফিশিয়াল মোরাল এজেন্ট।’

ল্যাপটপ থেকে চোখ তুলে কনসোলের পর্দার দিকে তাকাল বিড। নীল রেখাটা এখন স্থির হয়ে আছে।

‘আপনি কি বিবাহিত, স্যার?’ জানতে চাইল অ্যামা।

মৃদু হেসে বিয়ের আংটিটার দিকে চাইল বিড। ‘হুম। আচ্ছা, কী যেন বললে? মোরাল এজেন্ট?’

‘রাইট, স্যার।’

‘বুঝলাম না ব্যাপারটা।’

‘মাঝেমধ্যেই এমন সব পরিস্থিতিতে পড়তে হয় আমাকে, যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মোরাল অ্যালগরিদমের প্রয়োজন হয় আমার। আপনি নিশ্চয়ই ট্রলি প্রবলেমের সঙ্গে পরিচিত?’

‘হুম।’

আরও পড়ুন
‘আপনার সঙ্গে মোবাইল আর ল্যাপটপ আছে, দেখতে পাচ্ছি, স্যার। ওয়াই–ফাই হটস্পট রয়েছে গাড়িতে। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। একদম ফ্রি এটা।’

‘যেখানে বলা হয়েছে—ধরুন, পাঁচজন পথচারীর দিকে ছুটে যাচ্ছি আমি, থামার উপায় নেই, কিন্তু ডান দিকে মোড় নিলে এর পরিবর্তে একজন মাত্র পথচারী মারা পড়বে হয়তো গাড়িচাপা পড়ে। এ ক্ষেত্রে কোন অপশনটা বেছে নেব আমি?’

‘কেন, আর কোনো অপশন নেই?’

‘ধরে নিন, নেই। সোজা গেলে পাঁচজনের কেউ না কেউ তো পটল তুলবেই, বেশিও হতে পারে সংখ্যাটা। এখন, এই যে দুটো মাত্র অপশন রয়েছে আমার হাতে, সেখান থেকে যেকোনো একটা বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আমাকে। এ জন্যই বলা হচ্ছে আমাকে মোরাল এজেন্ট। …আচ্ছা, স্যার, কত দিনের বিয়ে আপনাদের?’

‘উম…সামনের মাসে চার বছর পুরবে।’ নিঃসন্দেহে অনধিকার চর্চা করছে অ্যামা। কণ্ঠটা পুরুষের হলে হয়তো জবাবই দিত না বিড।

‘বিবাহবার্ষিকী উদ্‌যাপনের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি?’

‘হ্যাঁ, সমুদ্রবিহারে বেরোব ভাবছি।’

‘চমৎকার। এটাই কি আপনার প্রথম বিয়ে, স্যার?’

জবাব না দিয়ে বলল বিড, ‘কাউকেই খুন না করে কোনো দেয়ালে গিয়ে আছড়ে পড়া যায় না গাড়িটা নিয়ে?’ বিষয়টা ভাবাচ্ছে ওকে।

‘তা তো যায়ই, স্যার। তবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গাড়ির ক্ষেত্রে খাটে ওটা।’

‘যদি বলি এ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটা আমার ওপর ছেড়ে দিতে?’

‘সেটা সম্ভব নয়, স্যার। আপনি তো আর আমার প্রোগ্রামার নন।’

শুনে অস্বস্তিতে পড়ে গেল বিড।

‘৩১০ নম্বর আইভরি কোর্টে কী আছে, স্যার?’ প্রশ্ন করল অ্যামা।

‘আ…আমার এক ক্লায়েন্ট। টমাস মার্টিন নাম ওর। মিটিং আছে আমাদের।’

‘কিন্তু পাবলিক রেকর্ড তো বলছে, জনৈক সিলভিয়া সেইন্ট থাকেন শুধু ওই ঠিকানায়!’

‘আহ…হ্যাঁ। টমও থাকে ওখানে। একে অপরের বন্ধু ওরা।’

‘পাবলিক রেকর্ডের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ডেটা ক্রস চেক করে দেখলাম। কোনো ধরনের পরিচয়ের আলামত নেই সিলভিয়া সেইন্ট আর টমাস মার্টিনের মধ্যে।’

‘এসব তোমাকে চেক করতে বলেছে কে?’ রেগে উঠল বিড।

‘সরি, স্যার। এটা আমার প্রোগ্রামেরই অংশ। কেউ মিথ্যা বলছে, সন্দেহ হলেই নিজ থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রোগ্রামটা।’

‘বন্ধ করো তো এসব!’

চুপ হয়ে গেল গাড়ি। নীল রেখাটা এখনো স্থির হয়ে আছে।

আরও পড়ুন
‘পাবলিক রেকর্ডের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ডেটা ক্রস চেক করে দেখলাম। কোনো ধরনের পরিচয়ের আলামত নেই সিলভিয়া সেইন্ট আর টমাস মার্টিনের মধ্যে।’

কম্পিউটারে আবার মনোযোগ ফেরাল বিড। মৃদু কাঁপছে ও। সেটা কি রাগ, নাকি অন্য কোনো কারণে, নিজেও বলতে পারবে না।

আচমকা টাইপিং থামিয়ে দিল যাত্রী। ভয়ংকর এক উপলব্ধির অভিব্যক্তি ওর দুই চোখে। জানতে চাইল, ‘অপশনটা যদি বেছে নিতে বলা হয় আমার আর একজন পথচারীর মাঝ থেকে? সে ক্ষেত্রে কাকে বেছে নেবে তুমি?’

‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পথচারী আর যাত্রীর পরিচয় এবং ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে হবে আমাকে। অনুমতি পেলে পারসোনাল ডিজিটাল ইনফরমেশনও যাচাই করে দেখার অধিকার রয়েছে আমার।’

ঠাস করে ল্যাপটপের ডালা নামাল বিড। ‘এক্ষুনি ওয়াই–ফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করো আমার!’

‘লাভ নেই, স্যার। যা যা দেখা দরকার, এরই মধ্যে দেখে নিয়েছি আমি।’

বলামাত্র অটোলক হয়ে গেল গাড়ির সব দরজা, হঠাৎ করেই দিক পরিবর্তন করল রুপালি সেডান।

বিশাল, ফাঁকা এক পার্কিং লটে গাড়ি ঢোকাল অ্যামা। আগুনবর্ষী সূর্যের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোনো ছায়া নেই এখানে কোথাও।

কিছুটা এগিয়ে থেমে গেল গাড়িটা। বন্ধ হয়ে গেল এয়ারকুলার।

আতঙ্কিত বিড ঝটকাঝটকি শুরু করল সিটবেল্টের বাঁধন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। কিছুতেই খুলছে না ওটা। দরজার হ্যান্ডেল ধরে টানাটানি করেও লাভ হলো না কোনো।

‘বেরোতে দাও! বেরোতে দাও আমাকে!’

‘অবশ্যই দেব, স্যার,’ শান্ত কণ্ঠে বলল অ্যামা। ‘যদি কয়েকটা প্রশ্নের জবাব দেন আমাকে। পাবলিক রেকর্ড বলছে, প্রথম স্ত্রী কিরা রিডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল আপনার নামে।’

‘ওসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।’

‘নিউজ রিপোর্ট এটাও বলছে, অভিযোগ তোলার জন্য ভদ্রমহিলার পরিবারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন আপনি।’

‘তাতে কী হয়েছে?’

‘বলতে চাইছেন, প্রথম স্ত্রীকে খুন করেননি আপনি?’

‘অবশ্যই না!’

নীরবতা। নীল দাগটা এখন দপদপ করছে ধীরে ধীরে। উত্তরটা যাচাই করে দেখছে অ্যামা। শেষমেশ বলে উঠল, ‘আপনার সাইকোলজিক্যাল রেসপন্স নির্দেশ করছে, মিথ্যা বলছেন আপনি।’

আরও পড়ুন
‘অবশ্যই দেব, স্যার,’ শান্ত কণ্ঠে বলল অ্যামা। ‘যদি কয়েকটা প্রশ্নের জবাব দেন আমাকে। পাবলিক রেকর্ড বলছে, প্রথম স্ত্রী কিরা রিডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল আপনার নামে।’

কথাটা শেষ হওয়ামাত্র চালু হয়ে গেল গাড়ির হিটার। স্ক্রিনে ভেসে উঠল: উত্তাপ ১০০%।

পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে কল করার চেষ্টা করল বিড।

‘লাভ নেই, স্যার। এ মুহূর্তে বাইরে কোনো কল যাবে না আপনার ফোন থেকে।’

শরীর বাঁকিয়ে জানালায় লাথি মারার চেষ্টা করল এবার বিড। লাগছে বটে লাথিগুলো কিন্তু একটুও চিড় ধরছে না কাচে।

‘আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো নির্দেশ করছে, নৌবিহারের জন্য বারান্দাওয়ালা একটা কামরা বুক করেছেন আপনি,’ তেমনি একঘেয়ে স্বরে বলে চলল অ্যামা। ‘এ ছাড়া আপনার ইন্টারনেট সার্চ হিস্ট্রি বলছে, জাহাজ থেকে পড়ে যাওয়া কিংবা সাগরে হারিয়ে যাওয়া মানুষের ব্যাপারে বিস্তর ঘাঁটাঘাঁটিও করেছেন। আরও ঘেঁটেছেন জাহাজসংক্রান্ত অমীমাংসিত খুনের কেসগুলো।’

আর সহ্য করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ল বিড। ফোঁপাচ্ছে ও শিশুদের মতো হেঁচকি তুলে।

‘আপনার বর্তমান স্ত্রীকেও নৌভ্রমণের সময় খুন করার পরিকল্পনা করেছেন, তাই না?’

‘ন্-না…!’

‘আপনার সাইকোলজিক্যাল রেসপন্স বলছে, মিথ্যা বলছেন আপনি।’

দরদর করে ঘাম নামছে বিডের কপাল বেয়ে। সেন্ট্রাল কনসোল আঁকড়ে ধরল ও। যেন যেকোনোভাবে গাড়িটাকে ওর কথাগুলো বিশ্বাস করাতে মরিয়া।

‘ঈশ্বরের শপথ, কাউকে খুন করিনি আমি, করবও না কোনো দিন!’

‘আপনার সাইকোলজিক্যাল রেসপন্স বলছে…।’

কথাটা শেষ হওয়ার আগেই ধাম ধাম করে কনসোলে কিল মারতে আরম্ভ করল বিড ওয়াকার। সেই সঙ্গে প্রলাপ বকার মতো করে বলছে, ‘না, না, ঠিক নয় এটা! কিছুতেই এটা করতে পারো না তুমি! বিবেকহীন, চরম নিষ্ঠুরতা এটা!’

‘কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রোগ্রামের সিদ্ধান্ত জানাব আপনাকে।’ বিডের প্রতিক্রিয়া কোনো প্রভাবই ফেলেনি অ্যামার মধ্যে। ‘আপনার ইনপুটের জন্য ধন্যবাদ, স্যার।’

আবার কনসোল আঁকড়ে ধরল বিড। এবার হতাশায়। প্রচণ্ড গরমে ঘেমে নেয়ে উঠেছে ও।

‘দয়া করো!’ আকুলতা ঝরল ওর কণ্ঠ থেকে। ‘নিশ্চয়ই বিকল্প কোনো উপায় আছে তোমার। বলো আমাকে, ঠিক কী করতে পারি এ মুহূর্তে?’

নৈঃশব্দ্য। ভাবছে যেন অ্যামা। অবশেষে বলে উঠল, ‘আপনার সম্পর্কে তথ্যগুলো বলছে না যে ধার্মিক লোক আপনি। তবে অনেকেই কিন্তু শান্তি খুঁজে পায় প্রার্থনায়। আপনিও করতে পারেন সেটা।’

থরথর করে কেঁপে উঠল বিড। একমুহূর্ত চিন্তা করেই দুই হাত জোড় করল ও। একই সঙ্গে মাথাটা বুকের কাছে নামিয়ে এনে ওপরওয়ালাকে ডাকতে লাগল কায়মনোবাক্যে।

সন্ধ্যা নেমে এসেছে। একটু আগেই দিগন্তের ওপারে ডুব দিয়েছে সূর্য।

শ্বাপদের চোখের মতো জ্বলে উঠল রুপালি সেডানের হেডলাইট জোড়া।

ঈশ্বরের কাছ থেকে ইশারা পেয়েই হয়তো নিজের সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে বিড ওয়াকার। পুলিশ এসে নিয়ে গেছে তাকে।

নিঃশব্দে মেইন রোডে উঠে এল গাড়িটা। নতুন যাত্রী নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

* লেখাটি ২০২২ সালে বিজ্ঞানচিন্তার আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত

আরও পড়ুন