বছরজুড়ে মহাকাশবিজ্ঞানের আলোচিত ১০

২০২৩ সালে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, গবেষণা ও অভিযানে দারুণ অগ্রগতি এসেছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মানুষ এখন আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতে পারছে। দুরবিনের ক্যামেরায় ধরা দিচ্ছে মহাবিশ্বের সুপ্রাচীন অতীত। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে অনেক নতুন তথ্য। রহস্যের সমাধান যেমন মিলেছে, তেমনি জমাট বেঁধেছে নতুন রহস্য। বিজ্ঞানচিন্তার মাধ্যমে বাঙালি পাঠক সারা বছর এরকম অনেক ঘটনার কথাই শুনেছেন। বছরজুড়ে আলোচিত এরকম বিভিন্ন ঘটনা থেকে নির্বাচিত ১০টি নিয়ে এই আয়োজন। তবে এগুলোর কোনোটিই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ লেখা তাই গুরুত্বের ক্রমানুসারে সাজানো নয়।

চলুন, ফিরে তাকানো যাক।

বেনু গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহ

কয়েক বছরের দীর্ঘ গবেষণা শেষে গ্রহাণু থেকে নমুনা নিয়ে ফিরেছে ওসাইরিস-রেক্স নভোযান। ২০১৬ সালে ১০০ কোটি বাজেটের এ নভোযান যাত্রা শুরু করে। দুই বছর পরে নভোযানটি গিয়ে পৌঁছায় বেনু গ্রহাণুর কাছে। আরও দুই বছর পরে, ২০২০ সালে রোবটিক আর্ম ব্যবহার করে বেনু গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করে নমুনা। সেই নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে লাগে আরও প্রায় আড়াই বছর। নমুনা নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে ফেরে নভোযানটি।

বেনু থেকে সংগৃহীত নমুনায় পাওয়া গেছে পানি ও কার্বন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, মোট সংগৃহীত উপাদানের ৫ শতাংশ কার্বন। পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয় কার্বন ও পানিকে। সুতরাং, এই নমুনা গবেষণা করে উন্মোচিত হতে পারে পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য। কারণ বেনু গ্রহাণুটির বয়স প্রায় ৪৫০ কোটি বছর। আনুমানিক এই সময়েই সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবী।

বেনুর নমুনা নিয়ে আরও পড়ুন: কী পাওয়া গেল বেনু গ্রহাণুর নমুনায়

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারত

সরাসরি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসাবে ইতিহাস গড়েছে ভারত। ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ নভোযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদে অবতরণ করে। ল্যান্ডারের ভেতরে ছিল আরও একটা রোভার। নাম প্রজ্ঞান। রোভারটি টানা ১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পাড়ি দিয়েছে প্রায় ১০০ মিটার পথ। হাজারো ছবি তুলে পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকে।

গত ১৪ জুলাই ভারতের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে এ নভোযান উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত হয় এলএমভি-৩ রকেট। পরে পৃথিবীর মহাকর্ষ শক্তি কাজে লাগিয়ে টানা ৪০ দিন পর চাঁদে পৌঁছে নভোযানটি। এতে সবচেয়ে কম খরচে, মাত্র ৭৪.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে চাঁদে পৌঁছানোর রেকর্ডও করেছে ভারত।

এ মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বায়ুমণ্ডল, চাঁদের প্রকৃতি নির্ণয় ও চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে কী আছে, তা খুঁজে দেখেছে চন্দ্রযান-৩। এটি ছিল চাঁদের উদ্দেশে ভারতের তৃতীয় অভিযান। আগের দুটি বিফল হলেও এ যাত্রায় ঠিকই সফল হয়েছে ভারত। প্রায় একই দিনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল রুশ নভোযান লুনা ২৫-এর। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে মনুষ্যবিহীন নভোযানটি।

ভারতের চাঁদ অভিযানের বিস্তারিত: চাঁদের ঠিকানায় ভারত

এত কম খরচে কীভাবে গেল, জানতে পড়ুন: এত কম খরচে কীভাবে চাঁদে গেল ভারত

ভবিষ্যতের চন্দ্রজয়ীদের নাম ঘোষণা

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রায় ৫০ বছর পর আবার চাঁদে মানুষ পাঠাবে। সে জন্য সংস্থাটি আর্টেমিস প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে নভোচারীহীন আর্টেমিস ১ মিশন। আগামী বছরের নভেম্বরে পরিচালিত হবে আর্টেমিস ২ মিশন। এতে চার নভোচারীকে নিয়ে চাঁদের কক্ষপথে ঘুরে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরবে আর্টেমিস ২।

সেই অভিযানে কারা থাকবেন, তা গত এপ্রিল মাসে প্রকাশ করেছে নাসা। চার জনের নাম জানানো হয়েছে। সম্ভবত এই চার নভোচারীই ২০২৫ সালে আর্টেমিস ৩ মিশনে চাঁদের বুকে অবতরণ করবেন, যদিও এটি এখনো শতভাগ নিশ্চিত করেনি নাসা আনুষ্ঠানিকভাবে। এই চার নভোচারী হলেন: কমান্ডার রিড উইজম্যান, পাইলট ভিক্টর গ্লোভার, মিশন বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা হ্যামক কোচ ও জেরেমি হ্যানসেন। সব ঠিক থাকলে প্রথম নারী হিসেবে ক্রিস্টিনা কোচ চাঁদের বুকে পা রাখবেন। 

এরপর ২০২৫ সালে উৎক্ষেপণ করা হবে আর্টেমিস ৩ মিশন। অবতরণ করবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। এ মিশনের মূল লক্ষ্য, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করা এবং নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানচর্চায় অনুপ্রাণিত করা। পৃথিবী, চাঁদ এবং আমাদের সৌরজগতের উৎপত্তি ও ইতিহাস সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে এ মিশনের মাধ্যমে।

আর্টেমিস নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে: আর্টেমিস প্রোগ্রামের আদ্যোপান্ত

বৃহস্পতিতে জুস মিশন

গ্যাসদানব বৃহস্পতি এবং এর তিনটি উপগ্রহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পাঠানো হয়েছে জুস মিশন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইসা পরিচালিত এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে জুপিটার আইসি মুনস এক্সপ্লোরার মিশন, সংক্ষেপে জুস (JUICE)।

৮ বছর পরে, ২০৩১ সালে নভোযানটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাবে। প্রথমে গিয়ে বৃহস্পতির চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে প্রায় সাড়ে তিন বছর। একই সঙ্গে বৃহস্পতির তিনটি বড় উপগ্রহ গ্যানিমেড, ক্যালিস্টো এবং ইউরোপাকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। তবে অভিযানের শেষ দিকে নভোযানটি শুধু গ্যানিমেডকে প্রদক্ষিণ করবে। ফলে সৌরজগতের বাইরের দিকের কোনো গ্রহের উপগ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরা প্রথম মহাকাশযান হবে এটা। গ্যানিমেড, ক্যালিস্টো এবং ইউরোপা আগাগোড়া বরফে আচ্ছাদিত। বরফের আস্তরণের নিচে তরল পানির মহাসমুদ্র আছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। সরেজমিনে সেই পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা যাবে জুস মিশনের মাধ্যমে। 

জুস মিশন নিয়ে আরও জানতে পড়ুন: জুস যাচ্ছে বৃহস্পতি গ্রহে

ডার্ক ইউনিভার্স সম্পর্কে জানাবে ইউক্লিড নভোদুরবিন 

জ্যোতির্বিজ্ঞানে ডার্ক ইউনিভার্স এক বড় রহস্য। ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি নিয়ে এই জগৎ। ডার্ক ম্যাটার মানে অজানা বা গুপ্তবস্তু। আর ডার্ক এনার্জি মানে গুপ্তশক্তি। অর্থাৎ মহাবিশ্বের যে ৯৫ শতাংশের মতো আমরা কোনোভাবে শনাক্ত করতে পারি না, তাই ডার্ক ইউনিভার্স। এই ডার্ক ইউনিভার্সের রহস্য সমাধান করতে গত জুলাইয়ে ইউক্লিড নভোদূরবিন উৎক্ষেপণ করে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসা। 

বর্তমানে এটি পৃথিবী থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ কিলোমিটার দূরে, পৃথিবী-সূর্যের ২য় ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্টে অবস্থান করছে। টেলিস্কোপটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। পাঠিয়েছে বেশ কিছু ছবি। সব ঠিক থাকলে আগামী ৬ বছর সচল থাকবে ইউক্লিড।

ইউক্লিডের প্রথম পাঠানো ছবিগুলো নিয়ে পড়ুন: ইউক্লিডের প্রথম পাঠানো ছবিতে কী দেখা গেল

শনির নতুন ৬২ উপগ্রহের সন্ধান

বুধ ও শুক্র গ্রহ ছাড়া সৌরজগতের বাকি সব গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে। কোনোটার কম, কোনোটার বেশি। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উপগ্রহের মালিক শনি। একসঙ্গে শনির ৬২টি নতুন উপগ্রহ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই ৬২ উপগ্রহসহ শনির মোট চাঁদ হলো ১৪৫টি।

এসব উপগ্রহ আবিষ্কারের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন ‘শিফট অ্যান্ড স্ট্যাক’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একই গতিতে চলমান মহাকাশের একগুচ্ছ ছবি নেওয়া হয়। এরপর এসব ছবি বিশ্লেষণ করে নতুন চাঁদ শনাক্ত করা হয়। আকারে ছোট ও অনুজ্জ্বল হওয়ার কারণে অনেক চাঁদ একক ছবিতে ধরা পড়ে না। এসব চাঁদ খুঁজে পাওয়ার জন্য এটি তাই বেশ কার্যকর এ পদ্ধতি।

এ নিয়ে আরও জানতে পড়ুন: শনির নতুন আরও ৬২ চাঁদ

জেমস ওয়েবের বহুমুখী চমক

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইসা ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি মিলে দুই বছর আগে মহাকাশে পাঠিয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এই নভোদুরবিন বছরের শুরুতেই প্রায় ৪১ আলোকবর্ষ দূরের একটি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করে—এলএইচএস ৪৭৫ বি (LHS 475 b)। নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিগুলোর সঙ্গে জেমস ওয়েবের পাঠানো ছবিগুলোর তুলনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এ গ্রহের অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়াও জেমস ওয়েব নভোদুরবিন ইতিহাসের প্রাচীনতম ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছে। প্রাচীন এই দানবীয় কৃষ্ণগহ্বরের ভর ১.৬ মিলিয়ন বা ১৬ লাখ সূর্যের সমান। বিগ ব্যাংয়ের মাত্র ৪৪০ মিলিয়ন বছর পরের শিশু গ্যালাক্সি—জিএন-জেড১১ (GN-z11)-এর কেন্দ্রে পাওয়া গেছে এই কৃষ্ণগহ্বরটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেমস ওয়েবের সংগৃহীত তথ্য বদলে দিতে পারে জ্যোতির্বিজ্ঞানের খোলনলচে।

এলএইচএস ৪৭৫ বি সম্পর্কে আরও জানুন: জেমস ওয়েবের প্রথম এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার

প্রাচীনতম কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে জানতে পড়ুন: জেমস ওয়েবের ক্যামেরায় ইতিহাসের প্রাচীনতম ব্ল্যাকহোল

সাইকির উদ্দেশে সাইকি

সাইকি একটি গ্রহাণুর নাম। এ গ্রহাণুতে গবেষণার জন্য যে নভোযান পাঠানো হয়েছে, তার নাম গ্রহাণুটির নাম অনুসারে দেওয়া হয়েছে সাইকি। এই অভিযানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ধাতব গ্রহাণুতে অনুসন্ধান শুরু হবে। 

বর্তমানে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝমাঝি জায়গায় অবস্থান করছে সাইকি গ্রহাণু। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য, এটি ধাতব গ্রহাণু। স্বর্ণ, নিকেল, লোহাসহ আরও অনেক ধাতুতে পরিপূর্ণ গ্রহাণুটি সৌরজগতের প্রথম দিকে সৃষ্ট গ্রহগুলোর কোর বা কেন্দ্রের মতো। এর ব্যাস প্রায় ২২৬ কিলোমিটার, চাঁদের ১০০ ভাগের ১ ভাগ। 

পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে ধাতব কোর। কিন্তু পৃথিবীর ওপরের দিকে থাকা পাথুরে আবরণ ভেদ করে সেখানে পৌঁছানো বা তা নিয়ে গবেষণা করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সাইকি গ্রহাণুটির সাহায্যে সেই অসম্ভব কাজটিই সম্ভব হতে পারে। এখানেই নতুন গবেষণার দুয়ার খুলে দিচ্ছে সাইকি মিশন। 

এ ছাড়াও এ অভিযানে প্রথমবারের মতো বেতার তরঙ্গের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে নিয়ার-ইনফ্রারেড আলো। এর সাহায্যে আগের চেয়ে আরও দ্রুত আরও বেশি পরিমাণ তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে পৃথিবীর সঙ্গে। নাসার তৈরি নতুন এ প্রযুক্তির নাম ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশন বা ডি-সক (DSOC)। কোটি মাইল দূর থেকে এ প্রযুক্তিতে ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে সফলভাবে বার্তা পাঠিয়েছে সাইকি নভোযান।

সাইকি অভিযানের বিস্তারিত: ধাতব গ্রহাণুর উদ্দেশে ছুটছে সাইকি

ডি-সক নিয়ে জানতে: কোটি মাইল দূরের সাইকি থেকে বার্তা পেল নাসা

বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট

পৃথিবীর প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট টেরান ১। ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ যন্ত্রে এর জটিল সব যন্ত্রাংশ প্রিন্ট করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মহাকাশ প্রযুক্তি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান রিলেটিভিটি স্পেস তৈরি করেছে এ রকেট। চলতি বছর মার্চে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

রকেটটির ৮ মিনিটে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে। যাত্রাপথে সংগ্রহ করেছে নানা তথ্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট ব্যবহার করলে খরচ অনেক কমিয়ে আনা যাবে। এ রকেট উৎক্ষেপণে খরচ হয়েছে ১২ মিলিয়ন ডলার।

আরও জানতে পড়ুন: বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট

পার্কার সোলার প্রোবের সর্বোচ্চ গতি

নাসার পার্কার সোলার প্রোব আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর আগে মানুষের তৈরি কোনো বস্তুর গতি এত বেশি হয়নি। শুক্রের মহাকর্ষ কাজে লাগিয়ে সূর্যের জলন্ত পৃষ্ঠের কাছ দিয়ে ছুটে যাওয়ার সময় নভোযানটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ কিলোমিটার গতিবেগ অর্জন করে। ২০২৪ সালে নভেম্বরে শেষবারের মতো শুক্রের পাশ দিয়ে উড়বে পার্কার সোলার প্রোব। তখন অবশ্য এ গতির রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে। সে সময় নভোযানটির গতিবেগ আরও বেড়ে যেতে পারে। 

সূর্য গবেষণার উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে পার্কার সোলার প্রোব উৎক্ষেপণ করা হয়। সূর্যের করোনা অঞ্চল সম্পর্কে বিশদভাবে জানতেই এই নভোযান পাঠানো হয়েছে। ২০২৫ সালে শেষ হবে পার্কার সোলার প্রোবের ৭ বছরের গবেষণা।

পার্কারের সর্বোচ্চ গতি নিয়ে জানতে পড়ুন: মানুষের তৈরি সর্বোচ্চ গতি অর্জন করলো পার্কার সোলার প্রোব

সূত্র: অ্যাস্ট্রোনমি ডটকম, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, স্পেস ডটকম, লাইভ সায়েন্স, নাসা, ইসা, বিজ্ঞানচিন্তা