নভেম্বর মাসে সর্বাধিক পঠিত লেখাগুলো দেখে নিন

নভেম্বর মাসে বিজ্ঞানচিন্তায় সর্বোচ্চ পঠিত ১০টি লেখা লিংকসহ আছে এখানে। একনজরে সেগুলো দেখে নিন।

পৃথিবীতে এত পাখি থাকতে আমরা শুধু মুরগি খাই কেন

আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে মানুষ এই লড়াকু পাখিদের দিয়ে বাজি ধরত

ফ্রাইড চিকেন, বাটার চিকেন, চিকেন নাগেট, বার্গার আমাদের অনেকের প্রিয় খাবার। কিন্তু এসব মুরগি ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ! আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত মুরগি খাই। যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাধারণ মানুষ বছরে গড়ে প্রায় ৪৫ কেজি মুরগির মাংস খান। কিন্তু কখনো কি আয়েশ করে চিকেন ফ্রাই খেতে খেতে ভেবে দেখেছেন, পৃথিবীতে এত এত পাখি থাকতে আমরা শুধু মুরগিই খাই কেন? আমরা কি রাজহাঁস বা গাঙচিল খেতে পারতাম না?

পৃথিবীর যেসব প্রাণীদের মারা প্রায় অসম্ভব

বনের রাজা সিংহ
ছবি: শাটারস্টোক

পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাণী আছে, যাদের কোনো প্রাকৃতিক শত্রু নেই। মনের সুখে সেগুলো যেদিকে ইচ্ছে ঘুরে বেড়ায়। এদেরকে বলে এপেক্স প্রিডেটর বা শীর্ষ শিকারি। নোনাপানির কুমিরটি হলো সেই খাদ্য শৃঙ্খলের একেবারে চূড়ায় বসে থাকা এক রাজা।

কিন্তু এই দলে আর কারা আছে? 

আমরা কেন ডলফিনের মাংস খাই না

ছবি: শাটারস্টোক

পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে প্রায় সব ধরনের প্রাণীই খাওয়া হয়। ঘানায় কুকুর, সুইজারল্যান্ডে বিড়াল, চীনে বিপন্ন হাঙরের পাখনা, ফ্রান্সে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বানানো হাঁসের কলিজা। আসলে তালিকাটা বেশ লম্বা। তবে তিমি বা ডলফিনের মাংস খাওয়া নিয়ে বিতর্কটা একটু বেশি। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ডলফিনের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন?

গণিত অলিম্পিয়াডের নিবন্ধন শুরু

গণিতে উৎসবে পরীক্ষা দিচ্ছেন এক শিক্ষার্থী
ছবি: নাসির খান সৈকত

শুরু হতে যাচ্ছে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৬। ইতিমধ্যেই অনলাইনে শুরু হয়েছে নিবন্ধন। চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গণিত উৎসবে অংশগ্রহণ করতে প্রত্যেককে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। আগের বছরগুলোয় যারা অংশগ্রহণ করেছে, আবার অংশ নিতে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন করতে হবে তাদেরও।

যেসব কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলে বাড়বে বিপদ

চ্যাটজিপিটি অনেক সময় বানিয়ে তথ্য দেয়
ছবি: রয়টার্স

চ্যাটজিপিটি এখন সবার মুখে মুখে। আপনি হয়তো অনেক কাজেই এটা ব্যবহার করছেন। কিন্তু যেকোনো শক্তিশালী জিনিসের মতো, এটা ঠিকভাবে ব্যবহার না করলে সমস্যা হতে পারে। এমন কিছু কাজ আছে, যা চ্যাটজিপিটি দিয়ে করা একদমই উচিত নয়। এই ভুলগুলো করলে আপনি বড় বিপদেও পড়তে পারেন! 

আইনস্টাইনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল যে ৫ বই

আইনস্টাইনের জন্মগত প্রতিভাকে আরও শানিত করেছিল তাঁর বই পড়ার অদম্য নেশা
ছবি: মিডিয়াম

আইনস্টাইনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন তিনি নিজের নম্বর বা ঠিকানা মনে রাখেন না? তিনি বলেছিলেন, ‘যে তথ্য বই বা ডায়েরিতে পাওয়া যায়, তা মস্তিষ্কে জমিয়ে রাখার কী দরকার?’ তবে তিনি এটাও বলতেন, ‘তোমার যেটুকু না জানলেই নয়, তা হলো লাইব্রেরিটা কোথায়।’

প্রথমবার ডার্ক ম্যাটার ‘দেখার’ দাবি বিজ্ঞানীদের

গ্যালাকটিক কেন্দ্রের প্রায় ১০০ ডিগ্রি এলাকাজুড়ে গামা-রশ্মির তীব্রতার মানচিত্র
ছবি: তোমোনোরি তোতানি, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই জানেন, মহাবিশ্বের বেশির ভাগ জায়গাজুড়ে এমন এক ভুতুড়ে বস্তু আছে, যাকে দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না; কিন্তু তার মহাকর্ষ বলের টানে গ্যালাক্সিগুলো টিকে আছে। এর নাম ডার্ক ম্যাটার।

শত বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এই অদৃশ্য বস্তুর খোঁজ করছেন। অবশেষে নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপ হয়তো সেই ‘ভূতের’ দেখা পেয়েছে! যদি এটা সত্যি হয়, তবে মানব ইতিহাসে এই প্রথম আমরা ডার্ক ম্যাটারের ‘দেখা’ পেলাম! 

রাতের বেলা টিনের চালে লাফালাফি করে কে? ভূত না অন্যকিছু?

২০২১ সালের ডিসেম্বরে কুষ্টিয়া শহর থেকে দু-তিন কিলোমিটার দূরের বারাদী মাঠে পাকা ধান কাটছিলেন কয়েকজন কৃষিশ্রমিক। জায়গায় জায়গায় বাবলাগাছের সারি, নানা রকম ঝোপঝাড়ও অনেক। কৃষিশ্রমিক মো. দাউদ দেখতে পেলেন একটি গাছখাটাশ বা গন্ধগোকুলের বাচ্চা। সেটি চুপটি করে বসে আছে ধানখেত–সংলগ্ন একটি ঘন ঝোপে। অমনি মাথায় কুবুদ্ধি এল। মারতে হবে সেটিকে। এরা কলা-পেয়ারাসহ নানা রকম ফল খেয়ে সর্বনাশ করে। হাঁস-মুরগির ছানা ও পোষা কবুতরও খায়। এ ছাড়া বন্য প্রাণী মারার ভেতরে একটা অন্য রকম আনন্দ যেন আছে! তিনি চিৎকার দিতেই সবাই মিলে করলেন ধাওয়া।

সময় কখন শুরু হয়েছিল

একটি ক্ষুদ্র বিন্দু থেকে প্রসারিত হয়ে আজকের মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে
ছবি: বিবিসি নিউজ

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ১ হাজার ৪০০ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমে সময়ের সূচনা হয়। ধারণা করা হয়, এরপর একটি ক্ষুদ্র বিন্দু থেকে প্রসারিত হয়ে আজকের মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। মহাবিস্ফোরণের আগে সময় ও পদার্থবিদ্যার সূত্রগুলোর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ভবিষ্যতে কোনো সময় মহাবিশ্ব সংকুচিত হতে পারে। সুতরাং সময়ের শেষও হতে পারে। কিন্তু আগামী সপ্তাহে যদি সময় থেমে যায়?

১০

এয়ারপ্লেন মোড চালু না থাকলে কি প্লেন ক্র্যাশ করবে

প্লেনে চড়ে থাকলে নিশ্চয়ই একটা ঘোষণা খেয়াল করেছেন—‘যাত্রীরা দয়া করে আপনাদের ফোনটি এয়ারপ্লেন মোডে রাখুন।’ আমরা সবাই এই বাটনটা চিনি। কিন্তু এই আধুনিক যুগে এসেও কি এই বাটনটার কোনো দরকার আছে? এখন তো প্লেনের ভেতরেই ওয়াই-ফাই পাওয়া যায়, ব্লুটুথ হেডফোনও চলে দিব্যি। তাহলে ফোনে এয়ারপ্লেন মোড কি পুরোনো অভ্যাসের কারণেই দেওয়া হচ্ছে? নাকি শুধু ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার জন্যই এই বাটন?